স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য সর্বাত্মক লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসনে এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে এম এ আজিজের এক দফাই আমাদের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশ রক্ষায় একই এক দফা হলো জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কারণ বাংলাদেশ এখনও নিরাপদ নয়। একজন খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ আজিজের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এম এ আজিজের পারিবারিক কবরস্থান সংলগ্ন প্রাঙ্গণে এই স্মরণসভার আয়োজন করে মহানগর আওয়ামী লীগ। সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এম এ আজিজ ৬ দফাকে ১ দফা পরিণত করার প্রধান উদ্যোক্তা। তিনি বাঙালির আশা জাগানিয়া শক্তির প্রেরণা হয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। জঙ্গিবাদ সভ্যতার দুশমন। এরা আমাদের ঘরে আশ্রয় নিচ্ছে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পরিচয় হলো আমরা সর্বহারার মানুষ, আমরা নৌকার মানুষ, আমরা ঠেলাগাড়ির মানুষ। তাই আজকে নৌকার জন্য এখানে এসেছি, ঠেলাগাড়ির জন্য এখানে এসেছি। আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয় করতে হবে। তাই আজকে বন্ধুরা আমার ভুল করবেন না।’ প্রসঙ্গত ৩৭ নম্বর মুনির নগর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতীক হচ্ছে ঠেলাগাড়ি।
সভায় তিনি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে বহু ‘খেলা’ হয়ে গেছে। বহু তামাশা হয়েছে। এবার যেটি হয়েছে এটি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। যার কারণে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে। এমন হলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় একসাথে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। সেই সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যেত না, যেতে পারতো না। কেন এমন হলো, কিসের জন্য হলো? কার সুবিধার জন্য হলো?
তিনি আরও বলেন, ‘একবার ভুল করলে ২০ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। তাই বলতেছি সাবধান হয়ে যান। এখানে কোন্দল করবেন না, দলাদলি করবেন না। বহিরাগতরা চট্টগ্রাম মহানগরে এসে মাথা ঘামাবেন না। সাবধান হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি। আমি একজন বীরের ফ্যামিলির সন্তান। আমি বেঁচে থাকতে জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান হিসেবে বলছি, কোনও বহিরাগত চট্টগ্রাম মহানগরে মাথা ঘামাবেন না।’
আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ অর্জনকে ধরে রাখার জন্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। আসন্ন চসিক নির্বাচন নিয়ে কোনও একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিনিয়ত বিচার দিচ্ছেন। জঙ্গিবাদের সাথে যাদের সামান্য সম্পর্কও আছে তাদের চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এম.এ.আজিজ এ দেশে মাটি ও মানুষের স্বরাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শিক বাতিঘর। আজিজ-জহুর আমাদের অহঙ্কার। এ দু’জনের পথ ধরেই ত্যাগ তিতিক্ষার ব্রত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে বয়কট করুন।