ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা না করায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছেলেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ আদেশ দেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার রাজারহাট উপজেলার উমরপান্থাবাড়ি (সাতভিটা) গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে মন্তাজুল আলমের (৩৬) বিবাহিত স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে সে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে দ্বিতীয় বিয়ের দাবিতে প্রায়ই পারিবারিক কলহ সৃষ্টি করতে থাকে। গত বছর (২০২০ সাল) ২০ মার্চ দুপুরে মন্তাজুল দ্বিতীয় বিয়ের দাবিতে তার মা মেহেরজান বেগম মিনুকে (৫৮) চাপ দিতে থাকে। এসময় তার মা এতে অস্বীকৃতি জানালে সে বাড়িতে থাকা কুড়াল দিয়ে মাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। এসময় মা মেহেরজানের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় মন্তাজুল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মা মেহেরজান বেগম। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্ত মন্তাজুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও অভিযুক্তের বাবা সোলায়মান আলী বাদী হয়ে ছেলে মন্তাজুলকে আসামি করে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ প্রতিবেদন (চার্জশিট) ও মামলার শুনানিতে মন্তাজুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্রাহাম লিংকন। আর আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন লিগ্যাল এইড নিযুক্ত অ্যাডভোকেট এরশাদুল হক শাহিন।