X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডায়রিয়া-নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু বাড়ছে কুড়িগ্রামে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১২ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৫১আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৫১

সারারাত ঝড়ছে কুয়াশা, সকাল হলেও মেঘলা আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে থাকায় ঠাণ্ডার প্রকোপ কিছুটা কম। তারপরও এমন আবহাওয়ায় কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।

জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ( কৃষি ও সিনপটিক) থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মেঘলা আকাশ থাকায় জেলার চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হলেও শীতের তীব্রতা কিছুটা কম।

এদিকে কুয়াশা আর মেঘলা আকাশে রোদের অনুপস্থিতি মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা বাড়িয়েছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও রাতে শীতের দাপুটে উপস্থিতিতে মানুষের অবস্থা জবুথুবু হয়ে পড়ছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। রোগী বাড়ছে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালেও।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৮। তবে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধির হার আরও বেশি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩২। এদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। আর নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮, এদের সবাই শিশু।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। এসব রোগীর বেশিরভাগই শিশু। আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় যাবতীয় ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।

শিশুদের সুরক্ষায় পরামর্শ দিয়ে ডা. পুলক কুমার সরকার বলেন,‘এই শীতে শিশুদের ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। শীতের পোশাক পরাতে হবে, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা এড়াতে হবে। শিশুদের যতটা সম্ভব ঘরে রাখতে পারলে অনেকটা সুরক্ষা মিলবে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি প্রয়োজনে গরম পানি খাওয়ালে ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা মিলবে।

কুয়াশা আর হিম বাতাসে বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। বিশেষ করে দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কাজে বের হতে না পারায় শ্রম বিক্রি করতে পারছেন না। এতে করে অনেকে পরিবারের ভরণ পোষণ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তাদের দাবি শুধু কম্বল নয়, পাশাপাশি শীতবস্ত্র হিসেবে সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট দেওয়াটা জরুরি।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল এবং ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব যা বিতরণ চলছে। এছাড়াও শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য উপজেলা প্রতি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।

জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ( কৃষি ও সিনপটিক) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আকাশ মেঘলা থাকায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কম। আগামী দুই থেকে চারদিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তবে এরপর তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা