X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৬

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৫৫আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৫৫

মেঘলা আকাশ আর কুয়াশাচ্ছন্ন চারদিক, কনকনে ঠাণ্ডায় জড়োসড়ো অবস্থা। এমন পরিবেশে সন্ধ্যা হতেই ঘরমুখো হচ্ছেন মানুষ। রাতে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়লে মনে হয় চারপাশ মনে হয় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে। ক্রমাগত তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাজারহাটে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে দুপুর নাগাদ সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করেছেন স্থানীয়রা।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) জানায়, জেলায় বর্তমানে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মেঘলা আকাশ থাকায় জেলার চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। আগামী দুই থেকে চার দিন এমন পরিস্থিতি চলমান থাকতে পারে।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু।

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৬ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোাগীর সংখ্যা ২২ এবং নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১১ জন।

তবে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধির হার আরও বেশি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৯। এদের মধ্যে ২১ জনই শিশু। আর নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ যাদের ১০ জনই শিশু।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, শীতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর বেশিরভাগই শিশু। আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যাবতীয় ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।

শিশুদের সুরক্ষায় পরার্মশ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই শীতে শিশুদের ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। শীতের পোশাক পরিধান, স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা পরিহার ও শিশুদের যথাসম্ভব ঘরে রাখতে পারলে অনেকটা সুরক্ষা মিলবে। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি প্রয়োজনে গরম পানি খাওয়ালে ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা মিলবে।

কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৬ এদিকে কুয়াশা আর হিম বাতাসে বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। বিশেষ করে দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন ঠাণ্ডায় কাজে বের হতে না পারায় শ্রম বিক্রি করতে পারছেন না। কনকনে ঠাণ্ডায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো রোপন শুরু হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন কৃষকরা। শীতার্তদের দাবি শুধু কম্বল নয়, শীত বস্ত্র হিসেবে সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট পেলে তাদের জন্য শীতে কাজে বের হতে সুবিধা হয়।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল এবং ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য উপজেলা প্রতি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।

জেলার রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ( কৃষি ও সিনপটিক) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আগামী দুই থেকে চারদিন জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
ডুবে যাওয়া জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার, সবার আগে লাফ দেওয়া মাস্টার নিখোঁজ
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
জাকার্তায় সোনা জিতে বাংলাদেশ পুলিশের ভানরুমের চমক
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা