X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুরান ঢাকার আকাশে আজও উড়ছে রঙিন ঘুড়ি!

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৫৭আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:০১

পৌষ সংক্রান্তির ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছে পুরান ঢাকাবাসী। তাদের কাছে এই উৎসবের নাম ‘সাকরাইন’। সাকরাইনের আজ দ্বিতীয় দিনেও উৎসবে কোনও ভাটা পড়েনি। আলোকসজ্জা, আতশবাজি আর গানবাজনা খানিকটা কম হলেও পুরান ঢাকার আকাশে আজও উড়েছে রঙিন ঘুড়ি। প্রতিযোগিতা চলছে ঘুড়ি কেটে ফেলার।  আনন্দ আয়োজনও চলছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে ‘সাকরাইন’ উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও আছে নানা আয়োজন।

ঘুড়ি পুরান ঢাকায় থাকা লেখক ও গবেষক আনিসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীন উৎসবসমূহের মধ্যে পুরান ঢাকার এই সাকরাইন উৎসব অন্যতম। যদিও এটা দেশব্যাপী পালিত হয় না, কিন্তু খুব জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পুরান ঢাকার সংস্কৃতির জন্য। এটাকে ঐক্য এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখেন এখানকার মানুষ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে এই উৎসবে। আগে এই আয়োজনগুলো হতো খোলা বড় মাঠে। এখন ফাঁকা জায়গায় বিল্ডিং উঠে যাওয়ায় আয়োজনগুলো চলে গেছে বাসার ছাদে। আনন্দ হচ্ছে পরিবারকেন্দ্রিক।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সরেজমিন দেখা যায়, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় আজও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদ এখনও সাজানো আছে, গান বাজছে আর আকাশে ঘুড়ি উড়ছে। কে কার ঘুড়ি কাটতে পেরেছে সেই প্রতিযোগিতা চলছে।

ঘুড়ি উড়ছে গতকাল প্রথম দিনে সাকরাইনে বেশিরভাগ বাড়ির ছাদেই ছিল গানবাজনার আয়োজন ও লাইটিং করা। বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়। ঘুড়ি ওড়ানো মানুষ কমই চোখে পড়েছে। আজকে সেই সংখ্যাটা বেড়েছে। কিন্তু সন্ধ্যায় আতশবাজি ও আগুন খেলা নেই বললেই চলে।

পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা মুসলিম আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই উৎসবকে মাথায় রেখে টানা এক সপ্তাহ পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর অধিকাংশ গলিতে ও খোলা ছাদে সুতা মাঞ্জা দেওয়ার ধুম পড়ে। পিঠা-পুলিসহ নানা ধরনের মিষ্টির আয়োজন হয়। গতকাল মূল উৎসব থাকলেও এটা চলবে আরও বেশ কয়েক দিন। যেমনটা প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগে থেকেই।’

সাকরাইন উপলক্ষে আলোকসজ্জা মুসলিম আলী বলেন, ‘আসলে আমাদের এখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যারা আছেন, তারা এটাকে পৌষ সংক্রান্তি বলেন। আমরা ঢাকাইয়ারা বলি সাকরাইন। তবে দুইটা একই। হিন্দুদের মধ্যে পূজার বিষয়টা আছে, মুসলমানদের মধ্যে সেটা নেই। তবে আনন্দ ভাগাভাগি হয়।’

অনেক অনেক বছর আগে জমিদার বাড়িগুলোতে ঘুড়ির উৎসব হতো। এখন সেই উৎসবের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে জৌলুসটা একটুও কমেনি; বরং বেড়েছে। এখনকার তরুণ প্রজন্ম সাদরে গ্রহণ করেছে সেই উৎসব। এই উৎসব দীর্ঘদিন টিকে থাকুক এটাই প্রত্যাশা পুরান ঢাকাবাসীর।

 

/এসএইচ/আইএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা