দুজনেই নৌবাহিনীর অ্যাথলেট। এবার চারটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবকটিতে সোনার পদক জিতেছেন জহির রায়হান ও শিরিন আক্তার। তবে জহির সেরা অ্যাথলেট নির্বাচিত হতে পারলেও শিরিন পারেননি। হাইজাম্পে রেকর্ড গড়া রিতু আক্তার মেয়েদের মধ্যে সেরা অ্যাথলেট হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
শুরুতে শতমিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়েছেন শিরিন আক্তার। এরপর ২০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছেন। এছাড়া ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতেও সেরা হয়ে দৌড় শেষ করেছেন। অবশ্য তার সেরা হওয়ার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময় নিজ গ্রামের বাড়ি না গিয়ে অনুশীলন চালিয়ে গেছেন। সেই পরিশ্রমই তাকে চারটি ইভেন্টে সেরার আসনে বসিয়েছে। শিরিন তাই শেষ দিনে বলেছেন, ‘আমার এই সাফল্যে আমার পরিবার অনেক খুশি। এছাড়া নৌবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে বিকেএসপিতে আমার কোচ কাফি স্যারের অধীনে অনুশীলন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’
জহির রায়হান ২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা জেতার পর ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতেও সেরা হয়েছেন। এই সাফল্য তাকে দিয়েছে প্রতিযোগিতায় সেরা অ্যাথলেটের মর্যাদা। অথচ অতীতে দু’টির বেশি স্বর্ণপদক কখনও জেতেননি জহির, ‘চারটি স্বর্ণপদক জিতে নৌবাহিনীকে চ্যাম্পিয়ন করতে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। আমার মূল ইভেন্ট ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট। তবে অন্য ইভেন্টগুলোতেও চেষ্টা করি ভালো করতে। এই সাফল্য আমাকে সামনে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে। স্বপ্ন দেখি সামনের অলিম্পিক গেমসে দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবো।’
প্রতিযোগিতায় নৌবাহিনী ২১ টি সোনা, ১২ রুপা ও ১৩টি ব্রোঞ্জ জিতে চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রেখেছে । এর পরেই অবস্থান সেনাবাহিনীর। তাদের ঝুলিতে ১৩টি সোনা, ২০টি রুপা ও ৯টি ব্রোঞ্জ পদক। আর আনসার জিতেছে ১টি সোনা ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক।