বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ জার্সি বানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু প্রশংসার বদলে সমলোচনাই বেশি শুনতে হয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে! জার্সির বুকে বড় করে স্পন্সরের নাম থাকলেও কোথাও নেই ‘বাংলাদেশ’ লেখা। প্রবল সমালোচনার মুখে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সেই জার্সিতে বসেছে ‘বাংলাদেশ’।
যে স্বাধীনতায় বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে সেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তৈরি করা জার্সিতেই কিনা দেশের নাম নেই! কেন? এর ব্যাখ্যায় বিসিবি জানিয়েছে, তাদের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলেই’ এমনটা হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজে বাংলাদেশ দলের বিশেষায়িত জার্সির নকশা প্রকাশ করে বিসিবি। কিন্তু জার্সিতে ছিল না বাংলাদেশের নাম। যা দেখে সমর্থকদের একটি বড় অংশ সমালোচকের ভূমিকা নেন। তাদের অবস্থানের পরই জার্সিতে পরিবর্তন আনা হয়। কী কারণে দেশের নাম বাদ পড়েছিল, সোমবার সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘যেটা দেওয়া হয়েছিল, হয়তো ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। দুটি জার্সি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যে জার্সিটা দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখানো হয়েছে। ডিজাইনের জন্য একটা রাখা ছিল। জার্সিতে বাংলাদেশ তো অবশ্যই থাকতে হবে।’
উইন্ডিজ সিরিজেও বাংলাদেশ দলের টিম স্পন্সর হিসেবে যুক্ত আছে ‘খণ্ডকালীন’ স্পন্সর বেক্সিমকো। তাদের সহ-প্রতিষ্ঠান আকাশ ডিটিএইচের পাশাপাশি বেক্সিমকোর লোগোও স্থান পেয়েছে জার্সিতে। ‘বাংলাদেশ’ লেখা রয়েছে ওই লোগোর নিচে। এ নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। ফলে জার্সিতে স্পন্সরের চেয়ে বাংলাদেশের নাম ছোট হওয়া নিয়েও সমালোচনা শুনতে হচ্ছে বিসিবিকে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, “আইসিসির একটা প্রটোকল কোড দেওয়া আছে। ওপরে কত বড় হবে, সব কিছু দেওয়া আছে। আমরা এর বাইরে কিন্তু দিতে পারবো না। ‘বাংলাদেশ’ ছোট কী বড় হয়েছে, তা অবশ্যই আমরা দেখবো। যদি সত্যিই অমন কিছু হয়ে থাকে, আমরা এটা ঠিক করে দেবো।”