X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও শিক্ষক অনুপাতে পিছিয়ে রাবি

রাবি প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:২৭আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:২৭

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যায় ঢাবি, জাবি ও চবি তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ইউজিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালর মধ্যে ঢাবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ১৭২ জন যার বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা ২ হাজার ৩৮৭ জন। অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয় শিক্ষার্থীর সংখ্যায় (৩৮ হাজার ২৯১ জন) এগিয়ে থাকলেও শিক্ষক সংখ্যা ঢাবির তুলনায় অর্ধেকেরও কম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে অন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিছিয়ে রাবি। ঢাবি ও চবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৬, যেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপাত ১:৩৩। এছাড়াও জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২১।

বৈশ্বিক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ন্যূনতম অনুপাত ১:২০ ধরা হয়। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন শিক্ষক। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখা গেছে প্রতি ৩৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১ জন শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষক সংখ্যা কম। তবে শিক্ষক বাড়লেই যে শিক্ষার মান বাড়বে এমনটাও মানতে নারাজ তারা। কারণ হিসেবে বলছেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনেকেই হাউজ বিল্ডিং, শেয়ার মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত। তারা একাডেমিক দিক থেকে ওই দিকেই বেশি আগ্রহী। তাছাড়া বর্তমান যে পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেক্ষেত্রে এ অনুপাত সমস্যা নয়।  

বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে দলাদলি ও মামলা মোকদ্দমার কারণে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে শিক্ষক সংখ্যা কম। আমাদের যে শিক্ষা পদ্ধতি, এখানে শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ক্লাসে সীমাবদ্ধ। সেক্ষেত্রে এ অনুপাত (১:৩৩) সমস্যা নয়। কারণ এক শিক্ষক ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস নিতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়ায় চলার কথা অর্থাৎ ক্লাসের বাইরে দিনের একটা সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের মিথস্ক্রিয়া থাকবে। তারা একসাথে গবেষণা করবে। সেক্ষেত্রে কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২০ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্থব্যয়ের প্রয়োজন নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ দিলেই যে শিক্ষার মান বেশি হবে, বিষয়টা এমন নয়। আমাদের যে সংখ্যক শিক্ষক আছে তাদের অনেকেই শেয়ার মার্কেটে যায়। আবার কিছু শিক্ষক হাউজ বিল্ডিং সোসাইটির কোনও প্রজেক্টের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা যদি সম্পুর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ডেডিকেটেড হয়, ইভোলুশনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকে তবে সংখ্যার অনুপাতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।’

তাছাড়া পোস্ট আছে বিজ্ঞপ্তিও হয়েছে, নিয়োগ হলে অনুপাত সংখ্যা কিছুটা কমে আসবে বলেও জানান এ উপ-উপাচার্য।

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক