চিংড়ি নামেই সুপরিচিত তারা। তবে সি ফুড মেন্যুতে আইটেম হিসেবে লবস্টার, প্রন আর শ্রিম্প দেখে আমরা অনেকেই দ্বিধায় পড়ি। এই তিনের পার্থক্য কী?
লবস্টারের বড় আর পেশিবহুল লেজের হয়। পাঁচ জোড়া পা থাকে। লাল ও বাদামি রঙের হয় লবস্টার। সামনে নখওয়ালা এক জোড়া বড় পা থাকে লবস্টারের। এটিই অন্য জাতের চিংড়ি থেকে আলাদা করে লবস্টারকে।
অপরদিকে ইউ আকৃতির হয় শ্রিম্প। হলুদ, কমলা অথবা বাদামি হয় রঙে। দশ পা ও লম্বা শরীরের হয় এটি। প্রন অনেকটা শ্রিম্পের মতোই দেখতে।
আকৃতির দিক থেকে সবচেয়ে বড় লবস্টার। এরপর প্রন ও একদম ছোট হচ্ছে শ্রিম্প। শ্রিম্প ফ্রেশ পানিতে বাঁচতে পারে। তবে লবস্টার নোনা পানি তথা সমুদ্র ছাড়া বাঁচে না। আবার প্রন বাঁচে ফ্রেশ পানির পাশাপাশি নোনা পানিতেও।
শ্রিম্প আর প্রন তুখোড় সাঁতারু। তবে লবস্টার চলে হামাগুড়ি দিয়ে! শ্রিম্প একদম বাঁকানো শরীরের হয়। তবে প্রনের শরীর তুলনামূলক সোজা থাকে।
লবস্টারের খোসা শক্ত হয়। সেই তুলনায় অনেকটাই নরম হয় প্রন আর শ্রিম্পের খোসা।