X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুবির তিন শিক্ষকরে স্বপদে বহালের দাবিতে ৬৬ শিক্ষকের বিবৃতি

ঢাবি প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৮আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৯

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা বন্ধ করে তাদের স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ৬৬ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। একইসঙ্গে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে এই বিবৃতি দেন শিক্ষকরা।

গত ১৮ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানো তিন শিক্ষককে অপসারণের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান এবং দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ‘গত কয়েক মাসে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তিন জন শিক্ষককে প্রতিহিংসা পরায়ণভাবে শিক্ষকতা পেশা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের (আবাসন-সংকট সমাধানসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া) প্রতি সংহতি প্রকাশ যেকোনও শিক্ষকের সাধারণ কর্তব্যবোধের পরিচায়ক; আর ওই শিক্ষকবৃন্দ সেটাই করেছিলেন। সাধারণ শিক্ষকসুলভ আচরণকে কর্তৃপক্ষ যে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, তার থেকেই আমরা বুঝতে পারি কর্তৃপক্ষের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের চিঠির ভাষা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে এটা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় যে, তারা ওখানে অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা কায়েম রাখার পক্ষে। আর এটা চরম পরিহাসের যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি “রাজনীতিমুক্ত” তকমা নিয়ে গর্ব বোধ করে আর লাগাতার কর্তৃত্বশালী “রাজনৈতিক” ক্ষমতা চর্চা করে থাকে। আমরা সুনিশ্চিত যে, তিন জন শিক্ষক ও দুই জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অসৎ উদ্দেশ্য ও ব্যক্তিস্বার্থ থেকে প্রেষিত, হার-জিতের গোঁয়ার্তুমি থেকে উত্থিত এবং ক্যাম্পাসের “রাজনৈতিক” দাবা খেলার ফল।’

বিবৃতিদাতা শিক্ষকবৃন্দ কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘমেয়াদে ‘ক্ষতিকর ও অপ্রশাসকসুলভ হঠকারিতার রাস্তা’ ত্যাগ করার আহ্বান জানান।

বিবৃতিটিতে ‘ই-স্বাক্ষর’ করেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. কামরুল হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, একই বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানানো, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, একই ডিসিপ্লিনের শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে অপসারণের চূড়ান্ত নোটিশ দেয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরও আগে, গত বছর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ ও অ্যাকাডেমিক কাজে বাধাদানের জেরে ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুম ইসলাম সোহান ও বাংলা ডিসিপ্লিনের মোবারক হোসেন নোমানকে বহিষ্কার করা হয়।

 

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
পাকিস্তানে জাপানি নাগরিকদের লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন