X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ‘ঔপনিবেশিক মন’

মো. আবুসালেহ সেকেন্দার
২৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:২৯আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৩০

মো. আবুসালেহ সেকেন্দার
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ তুলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বডি সিন্ডিকেটে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমাদের হতবাক করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে উপাচার্য ছাড়াও সমাজের নানা স্তরের গুণী মানুষদের সমাবেশ ঘটায় ওই বডি থেকে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত সর্বদা প্রত্যাশিত। অবশ্যই বর্তমান বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সরকার মনোনীত অনির্বাচিত সদস্যরা সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ায় তাদের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রে উপাচার্যের ইচ্ছার বাইরে মত প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার ক্ষেত্রে এমনটি ঘটেছে। উপাচার্যের ব্যক্তিগত মান-অভিমানের প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার ‘মৃত্যু’ ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় নানা ইস্যুতে দাবি উত্থাপন, প্রয়োজনে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখবেন এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন ভূমিকা তাই যুগে যুগে সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক তাদের নৈতিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের এমন অধিকার বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন ৭৩ সালে। ৭৩'র অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নানা মত ও পথের ছাত্র শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হওয়ার দ্বার তিনি উন্মুক্ত করেন। যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে ওই আইনে। সেই কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন, গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রদান বাধ্যতামূলক এবং পদোন্নতিতে এসিআরের ব্যবস্থা রাখলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত বিধিবিধান তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুর এমন উদার নীতির ফলে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও মেধাবী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এর ফল বঙ্গবন্ধু-উত্তর সময়ে বাংলাদেশ পেয়েছে শতগুণে। সামরিক শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিদান দিয়েছে। স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের সম্মিলিত আন্দোলন জাতিকে পথ দেখিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু-উত্তর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনে ৭৩'র অধ্যাদেশের সব বিধান যুক্ত না থাকলেও যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নৈতিক অধিকার হিসেবে সর্বদা বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা যা অর্জন করেছেন, স্বাধীনতা পূর্ব ও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস চর্চা করলে দেখা যাবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রধান সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতির ক্রান্তিলগ্নে নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ছাত্রদের ওইসব যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষকরা সব সময় পাশে থেকেছেন সারথি হয়ে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তিপ্রাপ্ত ওই সব ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের পূর্বসূরি সংগ্রামী ছাত্র-শিক্ষকদের পথ অনুসরণ করেছেন। তাই তাদের স্বাধীনতা পূর্ব ও স্বৈরাচারবিরোধী ওই সংগ্রামী ছাত্র-শিক্ষক সমাজের উত্তর প্রজন্ম বলে অভিহিত করা যায়। দলকানা ও সহমত ভাইয়ের এই যুগে এমন কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আছেন বলেই এখনও বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয় মনে হয়। গত কয়েক দশকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ‘চিংড়ি মাছ’ আর ‘তেলাপোকা’দের সংখ্যা বাড়লেও বিশ্ববিদ্যালয় আজও অন্ধকার কেটে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। তাই হলের হাউজ টিউটর হওয়া বা সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পাওয়ায় জন্য মেরুদণ্ড খোয়ানোর যুগে এমন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই জাতির বাতিঘর হয়ে পথ দেখায়।

দুই.

স্বাধীনতা পূর্ব উপনিবেশিক যুগে ও সামরিক শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করলে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র দাবি করে ওই সব আন্দোলন সংগ্রাম দমনের চেষ্টা সব সময় হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বহিষ্কারের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববিদ্যালয়বিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। যদিও বঙ্গবন্ধুর ওই আন্দোলন ছিল যৌক্তিক। ন্যায় ও নৈতিক। স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুকে বহিষ্কারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে যা প্রমাণিত হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্র শিক্ষকদের আন্দোলন পর্যালোচনা করলেও দেখা যাবে যে তারাও বঙ্গবন্ধুর মতো ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তাদের আন্দোলন ছিল, শিক্ষার্থীদের বেতন ফি কমানো ও আবাসিক সংকটের সমাধানসহ পাঁচ যৌক্তিক দাবিতে। ওই আন্দোলনের মধ্যে পাকিস্তানি শাসকদের পালিত ঔপনিবেশিক যুগের উপাচার্যদের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার উপাদান খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, গবেষণা ও পাঠন-পাঠন বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের এমন আন্দোলনের যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়লো কেন? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ছাত্র-শিক্ষকদের দাবি উত্থাপনের আগেই ওই সমস্যাগুলোর সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই তো সব ‘ল্যাটা চুকে’ যেত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের যৌক্তিক প্রয়োজনগুলো কেন সব সময় আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পেতে হয়? এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাসময়ে যথা কাজটি করলেই তো আর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়ে না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সেই কাজটি কেন করতে পারেননি, সেই জবাব কে দেবেন? অবশ্যই বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তাব্যক্তিদের আমলনামা ঘাঁটলে দেখা যাবে যে, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের স্বার্থ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন চিন্তা বাদ দিয়ে প্রায় সবাই নিজের পকেট ভারী করতে ব্যস্ত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসেও এমন উদাহরণ আছে ভূরি ভূরি। এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন সাবেক উপাচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা তার বড় প্রমাণ।

তিন.

বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইন বলে পরিচালিত হলেও অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কবজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রণয়ন না করে সরকারি কর্মচারী বিধিমালাকে আত্তীকরণ করেছে। যদিও বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে মাত্র এক মাসেই নিজস্ব শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই বিধিমালা প্রণয়নের মতো যোগ্য শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যুগ অতিক্রম করলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ওই বিধিমালা প্রণয়নের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই উপাচার্যের চেয়ারে বসার পর একেকজন লর্ড মাউন্ড ব্যাটেন হয়ে যান। উপাচার্যের চেয়ারকে ‘আয়ুব শাহীর গদি’ মনে করেন। ফলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা আত্তীকরণ করেন অথবা ওই বিধিমালার অনুসরণে নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যাতে খুব সহজে আইনের অপপ্রয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারি কর্মচারী বিধিমালার মাপকাঠিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-ছাত্রদের আন্দোলন সংগ্রামকে বিচার করায় তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী বিধিমালার ওই বিধানে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন সংগ্রাম তো দূরের কথা, সরকারের সমালোচনার অধিকার নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ধারণায় যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের অধিকার ও নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-শিক্ষকরা যথার্থভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। আর দায়িত্ব পালনের জন্য শাস্তিভোগ করা কেবল ঔপনিবেশিক শাসনেই ঘটে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ঔপনিবেশিক মনের অধিকারী লর্ড মাউন্ড ব্যাটেন অথবা আয়ুব শাহীদের দ্বারা শাসিত হচ্ছে, যা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক, অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার বিপরীত আইনের প্রয়োগ বন্ধের দাবি উত্থাপন করা এখন সবচেয়ে জরুরি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণকামী মানুষেরা বিষয়টি ভাববেন বলে আমরা আশা করি।

পরিশেষে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের শাস্তির ঘটনায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের নীরবতা বলে দেয় যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় অলিখিতভাবে ভয়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তচিন্তার পথ রুদ্ধ হয়েছে। ঔপনিবেশিক মন ও আইন বিশ্ববিদ্যালয়কে পশ্চাৎপদতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শঙ্কা ও ভয়যুক্ত পরিবেশে আর যাই হোক জ্ঞানচর্চা হয় না। নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য চাই মুক্তচিন্তার অনুকূল পরিবেশ। আর ওই অনুকূল পরিবেশ ক্যাম্পাসে সরকার বা বিরোধী দল প্রতিষ্ঠা করবে না। তার জন্য চাই মুক্তমনের অধিকারী ছাত্র-শিক্ষক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকদের নীরবতাই বলে দেয় সেই মুক্তমনের অধিকারী ছাত্র-শিক্ষকের অভাব রয়েছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারি কর্মচারীদের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষকতা পেশাকে চাকরি হিসেবে গণ্য করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর নেতাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শ্রেণি বা ব্যক্তিস্বার্থে আওয়াজ তোলা ছাড়া গণমানুষের বুদ্ধিজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র-শিক্ষকরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু উপনিবেশিক আইনের জালে ফেঁসে তারা শেষ পর্যন্ত পরাজিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওই গণমানুষের বুদ্ধিজীবী হওয়ার পথ আরও রুদ্ধ হয়ে পড়বে। পরাজিত হবে বাংলাদেশ।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘এখন দেখছি মরে গেলে লাশেরও নিরাপত্তা নেই’
কঙ্কাল চুরির পর বিক্ষুব্ধ স্বজন বললেন‘এখন দেখছি মরে গেলে লাশেরও নিরাপত্তা নেই’
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ
জবি শিক্ষার্থী মীমের অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন ডিবি হারুন
জবি শিক্ষার্থী মীমের অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন ডিবি হারুন
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ব্যাপারে যা বললেন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ব্যাপারে যা বললেন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ