X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমাদের সমাজে মিস ওয়ার্ল্ডের কি দরকার আছে?

ড. নিলুফার ইসলাম
০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫৯আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫৯

১৯৭০ সালের মিস ওয়ার্ল্ডের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হলিউড চলচ্চিত্র ‘মিসবিহেভিয়ার’ ছবিটি নিশ্চয়ই অনেকে দেখেছেন। যেখানে একজন শ্বেতবর্ণ নারীবাদী অ্যাক্টিভিস্ট এবং পৃথিবীর সর্বপ্রথম কৃষ্ণবর্ণ মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৭০ - জেনিফার হোস্টেন কথা বলছিলেন। তাদের  কথোপকথনটা ছিল-

অ্যাক্টিভিস্ট, অভিনন্দন!

জেনিফার– আমার মনে হয় না তুমি মন থেকে বলছো। আমি তোমাকে দেখেছি টেলিভিশনে মিস ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতে।

অ্যাক্টিভিস্ট– আমি তোমার ওপর রাগ করিনি, আমি আসলে...

জেনিফার– তুমি কি জানো আজকের পর আরেকটি কালো চামড়ার মেয়ে আমাকে দেখে ভাববে– নাহ, এই পৃথিবীতে সেও সুন্দর!

অ্যাক্টিভিস্ট তখন নিশ্চুপ ছিলেন।

জেনিফার– তোমার নাম কী?  

অ্যাক্টিভিস্ট– শেলী।

জেনিফার– শেলী,  আজ থেকে মিস ওয়ার্ল্ড হয়ে আমিও তোমার মতো উপভোগ করার  সুযোগ পাবো।

অ্যাক্টিভিস্ট তখনও নিশ্চুপ ছিলেন।  

মিস ওয়ার্ল্ড (১৯৭০) জেনিফার পরে একজন ডিপ্লোম্যাট হন এবং কানাডিয়ান হাইকমিশনার হয়ে ঢাকাতেও কিছু দিন কাজ করেছেন।

আমরা সাধারণ জনগণ প্যাজেন্ট (যাকে বাংলাদেশে বলা  হয় বিউটি কনটেস্ট বা সুন্দরী প্রতিযোগিতা) নিয়ে যত ‘ত্যানা প্যাঁচাই’,  ১৯৭০ সালের  কৃষ্ণবর্ণ জেনিফার হোস্টেনের বিজয়কে আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারবো না। ওই ঘটনার পর পাশ্চাত্য দেশের মানুষের মাথায় একটু একটু করে আসতে থাকে যে চামড়ার রঙের সঙ্গে সৌন্দর্যের কোনও সম্পর্ক নেই। আর এখন তো প্যাজেন্ট দুনিয়ায় এমন হয়েছে যে কৃষ্ণবর্ণের মেয়েরা থাকে সবার আগে।  

খুব শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা ২০২২-এর আসর। জানি, এ প্রতিযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের অনেকেই তেমন ইতিবাচক নয়। এ ধরনের প্রতিযোগিতা নিয়ে ভালো কিছু যেন আমরা চিন্তাই করতে পারি না। অথচ আমরা কি জানি মিস ওয়ার্ল্ডের মূল নীল মুকুটটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে পাওয়া উপহার? তারপরও মিস ওয়ার্ল্ডের মতো একটি সম্মানজনক প্যাজেন্ট নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন এবং নেতিবাচক চিন্তা। যেমন,
 
– ‘নারীদের পণ্য বানিয়ে ছাড়ে এই প্যাজেন্ট’;

– ‘নায়িকা বা মডেল না হলে আমার পড়ুয়া মেয়েটি কেন এখানে যাবে?’;

– ‘সমাজ সেবা করতে চাইলে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় কেন যেতে হবে?’;

এমন অনেক অনেক প্রশ্ন ঘুরতে থাকে চারপাশে। তাই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার কিছু ইতিহাস, বিবর্তন এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে আজ সবাইকে জানাতে চাই, যা একবার হলেও অনেককে ভাবাবে এই প্রতিযোগিতা আমাদের মেয়েটির জীবনে বড় কিছুর সুযোগ কী করে খুব সহজে এনে দিতে পারে।

‌১. মিস ওয়ার্ল্ড পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ও অন্যতম প্যাজেন্টগুলোর একটি। এর শুরু হয় ১৯৫১ সালে। শুরুটা হয়েছিল সুইমস্যুট পর্ব দিয়েই, নিছক পর্যটকদের বিনোদনের জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই প্রতিযোগিতায় নারী আয়োজক জুলিয়া মোরলের সংযুক্ত হওয়ায় একের পর এক পরিবর্তন আসতে থাকে। যেমন, সুইমস্যুট পর্বটি অনিয়মিত করার সঙ্গে সঙ্গে তারা যুক্ত করেন প্রশ্ন-উত্তর পর্ব, সমাজসেবামূলক কাজ, ফিটনেস পর্বসহ আরও অনেক প্রয়োজনীয় পর্ব।  

২. অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল প্যাজেন্টগুলো নিজেদের ভিউ আর পপুলারিটি ধরে রাখতে সুইমস্যুট রাউন্ড থেকে বিকিনি রাউন্ড বানিয়ে ফেলেন! আর মিস ওয়ার্ল্ড সম্পূর্ণভাবে এই রাউন্ড ২০১৫ সাল থেকে উঠিয়ে দেয়, যাতে সব সংস্কৃতির মেয়েরা নির্দ্বিধায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এমনকি তারা গত বছর একজন হিজাবি মেয়েকে সেরা ১৩-তে স্থান দেন। সুতরাং, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-এ অংশগ্রহণ করতে হলে খোলামেলা পোশাক পরতে হবে, এটি ধারণাটা পুরোটাই অবান্তর।

৩. মিস ওয়ার্ল্ড সংগঠন সর্বপ্রথম সমাজসেবামূলক কাজ ‘বিউটি উইথ আ পারপাস’ শুরু করেন সত্তরের দশকে। এখন মিস ওয়ার্ল্ডের ‘বিউটি উইথ আ পারপাস’-এর মাধ্যমে তারা প্রায় ১৪০টি দেশকে সুযোগ করে দেন তাদের দেশের কোনও বিষয়ে বা কোনও এলাকার একটা বড় উন্নতি করতে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলো আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপাল।  সেখানে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব তুখোড় শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন মিস নেপাল প্রতিযোগিতায়। পরবর্তী সময়ে তাদের সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে মিস নেপাল কাজ করেন। নেপালের অনেক দুর্গম এলাকার বড় বড় উন্নতি করতেও সরকারকে সহযোগিতা করেন।

উদাহরণ হিসেবে মিস নেপাল ২০১৯, আনুশা শ্রেষ্ঠার (মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৯: শীর্ষ ১২) করা ‘বিউটি উইথ আ পারপাস’ প্রকল্পটির কথা বলা যেতে পারে। সেখানে এই মেয়েটি  নেপালের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত একটি এলাকার ১৪০টি বাড়ির মহিলাদের কর্মসংস্থান এবং তাদের শিশুদের পড়াশোনা সুনিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশের মতো একটা উন্নয়নশীল দেশে এই ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিলে নেপালের মতো প্রতিবছর আমরা বড় বড় কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবো এবং তা আমাদের দেশের জন্য কতটা উপকারী হতে পারে, তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না?

৪. মিস ওয়ার্ল্ড এখন ইনার-বিউটি নিয়ে এতটাই সোচ্চার যে  তাদের ক্যাটওয়াক পর্বটিও ফিনালেতে নেই। প্রিলিমিনারির একটি পর্ব এটি এবং এই পর্বে কোনও অবস্থান না থাকলেও অনেক মেয়েরা তাদের সমাজসেবামূলক কাজ দিয়ে যাচ্ছে টপ পজিশনে।

৫. ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ীরা পরে কাজ করেছেন ইউনাইটেড ন্যাশনস-সহ আরও বড় বড় সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। সমর্থন এবং সাহায্য পেয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, নেলসন ম্যান্ডেলাসহ আরও বড় বড় নেতানেত্রীর। আপনার মেয়েটি তাই এই প্রতিযোগিতা বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে পেতে পারেন এমন বিশালভাবে সমাজসেবামূলক কাজ করার মতো ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম।

৬. একজন মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী মেয়ে রাতারাতি এতটাই বিখ্যাত হয়ে যায় যে সে এই জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে করতে পারেন সমাজসেবামূলক কাজ, রাজনীতি, দাঁড় করাতে পারেন কোনও ব্র্যান্ড, হতে পারেন অভিনয় শিল্পী। এসব পেশাতেই জনগণের পাওয়া ভালোবাসা একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যা অর্জন করতে স্বাভাবিক একজন মানুষকে কাজ করতে হয় বছরের পর বছর! অথচ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমাদের মেয়েটি খুব দ্রুত পৌঁছাবে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।

আগেই বলেছি, মিস ওয়ার্ল্ড সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে একজন কৃষ্ণবর্ণের মেয়েকে বিজয়ী করেন, সেই সময়কার হট ফেভারিট শ্বেতবর্ণ সুন্দরী মিস ফিনল্যান্ডকে উপেক্ষা করে। ১৯৬৩ সালে সর্বপ্রথম মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার একজন বিজয়ী হন, তখনকার নেটিজেনদের কটাক্ষ পেরিয়ে এবং তাদের ফিনালেতে প্রায়ই প্রতি বছরই ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার মেয়ে দেখি আমরা। এমনকি মিস ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার জুলিয়া মোরলে নিশ্চিত করেন যে বিজয়ী পেতে তিনি কখনোই লম্বা কাউকে খোঁজেন না। তাদের বিজয়ীদের দিকে তাকালেই বুঝবেন যে এখানে বর্ণ, উচ্চতা দেখেই সর্বোচ্চ সুন্দরী নির্বাচন হয় না। তাদের বিজয়ী নির্বাচিত হয় ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবামূলক কাজে নিষ্ঠা এবং বাচনভঙ্গির ওপর।  

মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ীদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় মিডিয়া জগতে না গিয়ে রাজনীতি, ডাক্তার, আর্কিটেক্ট এবং ব্যবসায়ী হতে। যার উদাহরণ হিসেবে আছেন–

মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৯৩, লিসা হেনা। জ্যামাইকার প্রাক্তন মিনিস্টার অব  ইয়ুথ  অ্যান্ড কালচার।

– মিস ওয়ার্ল্ড ২০০৯, কাইয়ানে এলড্রিন। যিনি মাত্র ৩১ বছর বয়সেই হন জিব্রাল্টারের মেয়র।

– মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৬৬, ডা. রিতা ফারিয়া। আয়ারল্যান্ডের চিকিৎসক।

– মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৭১, ডা. ভিরা লুসিয়া। চিকিৎসক।

– মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৭০, জেনিফার  হোস্টার। ডিপ্লোম্যাট।

– মিস ওয়ার্ল্ড ১৯৮২, মারিয়াসেলা এলভারেজ। যিনি নিজ দেশের নামকরা একজন স্থপতি।

সুতরাং এটা কোনোভাবেই বলা যায় না যে মিস ওয়ার্ল্ড শুধুমাত্র গ্ল্যামারসম্পন্ন বিজয়ী-ই খোঁজে।

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার পর্বগুলোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে, খুব  অল্প বয়সেই আমাদের মেয়েটি শিখতে পারে জীবনের জন্য দরকারি বেশ কিছু প্রশিক্ষণ।  যেমন–

১। পাবলিক স্পিকিং অর্থাৎ বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতা।

২।  ফিটনেস। পুষ্টিকর খাদ্যাভাস।

৩।  সমাজসেবামূলক কাজ করে বাড়বে তার আত্মবিশ্বাস।

৪।  ক্যাটওয়াকের জন্য অনুশীলনের মাধ্যমে সে শিখবে পারফেক্ট পশ্চার।

৫ । বাড়বে অনেক মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার ক্ষমতা।

মিস ওয়ার্ল্ড আরেকটি বিষয় শেখায়, তা হলো সফ্ট স্কিল। যেমন, ইতিবাচক ব্যবহার, কনফ্লিক্ট রিজোলিউশন, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, টিমওয়ার্ক, সময়ানুবর্তিতার মতো অনেক অনেক স্কিল। যা মিডিয়াতে কেন আমাদের মেয়েটি যে পেশাকেই বেছে নিক, সে পেশার শীর্ষে পৌঁছাতে হতে পারে একটি বড় শিক্ষা।  যা কোনও স্কুল-কলেজেই শেখায় না, যা মানুষ শিখে বয়সের সঙ্গে এবং যা খুব অল্প বয়সেই অর্জন করে একজন মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী।

প্যাজেন্ট বিষয়ে নাসা ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মিস মিসিসিপি ইউএসএ (২০১৩) পারমিতা মিত্র তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেন– প্যাজেন্ট তাকে খুব অল্প বয়সে শেখায় সময়ানুবর্তিতা, ফিটনেস, ডায়েট এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির সূত্র!

মজার বিষয় হলো,  আমরা ১৯৯৪ সাল থেকে এই প্যাজেন্টগুলোতে অনিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছি,  অথচ পড়ে আছি ‘H2O’, ‘উইশ’, এখন হালের ‘মীর সাব্বির’ জড়িত ঘটনাকে নিয়ে। এদিকে মিস ওয়ার্ল্ডের আয়োজকরা ৩ হাজার কোটি টাকা ফান্ড উত্তোলনের মাধ্যমে করে ফেললেন অগণিত সমাজসেবা, নেপালের মেয়েরা লাখ লাখ টাকা সাহায্য আনলেন তাদের দেশে, মিস অস্ট্রেলিয়া মিস ইউনিভার্স ২০২১-এর আসরে পৌঁছে গেলেন সেরা ১০-এ মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে। প্যাজেন্ট থেকে পলিটিক্সেও যোগদান করে তুখোড় সমাজসেবী / রাজনীতিবিদ হলেন  ৫৪ জন প্রতিযোগী,  আমেরিকা-কানাডার মেয়েরা শিখলেন তুখোড় বক্তৃতা। আমরা পড়ে রইলাম প্যাজেন্ট দিয়ে এই হবে না, ওই হবে না- এসব আলোচনায়।

ভুলে গেলাম মিস ওয়ার্ল্ড হওয়া মানেই এখন রোল মডেল হয়ে সমাজে পরিবর্তন হওয়া, চামড়ায় সর্বোচ্চ সুন্দরী হওয়া নয়।

 

লেখক: প্রকৌশলী (প্রজেক্ট ম্যানেজার), ইন্ডিয়ানা, যুক্তরাষ্ট্র; অ্যাক্টিভিস্ট ও ফিলান্থ্রপিস্ট। 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে
কাতারের আমিরের সফররাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
পুড়ছে সড়ক, তবু অবিরাম কাজ তাদের
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ