X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গি সম্পৃক্ততা আড়াল করতেই বিএনপির অজুহাত!

আশরাফ সিদ্দিকী বিটু
০৮ আগস্ট ২০১৬, ১২:১৪আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ২১:৪৪

আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এখন সংবাদ সম্মেলনে উচ্চাবাচ্য করা ছাড়া বিএনপির কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই, দলটির ঘোষিত কর্মসূচিতেও আগের তুলনায় কর্মী সমাগম কম। তারেক রহমানের সাজা হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক সুষ্ঠু প্রতিবাদ করতে পারেনি বিএনপি। তারেক রহমান দেশে ফিরলে এই সাজা ভোগ করতেই হবে। কারণ উচ্চ আদালতের রায়েই প্রমাণিত তিনি দুর্নীতিবাজ। ফলে তারেক রহমান ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতাও হারিয়েছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলন বা বিবৃতিতে সরকারের দমন-পীড়নের অভিযোগের অন্ত নেই, যার সত্যতা নিয়ে সবাই সন্দিহান।  এমনকি বিএনপির লোকজনও। মূলত বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমেই দলের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ। যদিও প্রায় ৬ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো। বিএনপির এসব বক্তৃতা বিবৃতিতে দলের নেতারা একেক সময় একেক কথা তুলে ধরেন। যেগুলোর সারমর্ম এমন—‘জঙ্গিবাদ দমনে সরকার ব্যর্থ, বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়, সরকার দেশকে ভারতের সিকিম বানাতে চায়, জাতীয় ঐক্য, জঙ্গি দমনে গণতন্ত্র চর্চা, সর্বোপরি সবখাতে সরকার ব্যর্থ’। এসবই বলার জন্য বলা। দেশবাসী এসব বোঝে, কারণ দেশের মানুষ এখন অনেক শিক্ষিত ও যথেষ্ট রাজনৈতিক সচেতন। আসলে সংলাপ, ঐক্য, গণতন্ত্র চর্চা এসব বলে বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইছে এবং হরতাল অবরোধে মানুষ হত্যার রাজনীতির কারণে জনসমর্থন হারিয়ে আবার দলকে কিছুটা চাঙ্গা রাখতে চাইছে, সঙ্গে সস্তা সমালোচনার পথ বেছে নিয়েছে। এই সময়ে তাদের রাজনীতির ধরন কী হবে এটা তারা ঠিক করতে পারেনি, কারণ যখন জঙ্গিদের পক্ষে স্বয়ং খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন, তখন বোঝাই যায় যে বিএনপি আসলে পিঠ বাঁচাতে গণতন্ত্র, ঐক্য ও ভারতবিরোধিতার পুরানো ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করতে চায় কিন্তু তারা হয়ত ভুলে গেছে এসব কৌশল অনেক আগেই অচল হয়ে গেছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষ নেওয়া, দলে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হওয়া ও অতি জামায়াতপ্রীতি দলের মধ্যেই এ নিয়ে সংকটের সৃষ্টি করেছে। যে কারণে দলের নীতি নির্ধারকরাই দ্বিধাবিভক্ত এবং একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। জামায়াতকে ত্যাগ করার দাবি উঠলেও দলের ডানপন্থীদের চাপে তা থেকে সরে এসেছে দলটি। জনমনে প্রশ্ন—আদৌ বিএনপি জামায়াতকে ছাড়বে নাকি, এটা কথার কথা মাত্র? কিন্তু ইতিহাস বলে, বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক আদর্শিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট এবং অবিচ্ছেদ্য। বিএনপি-জামায়তের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘকালের, যাতে ভোটের চেয়ে পারস্পারিক সহযোগিতা, আস্থা ও আদর্শের ভিত্তিতে তারা নিবিড় সম্পর্কে আবদ্ধ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সম্পর্ক অতিগুরুত্বপূর্ণ কারণ তিনিই এদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে জামায়াতকে রাজনীতি করার ব্যবস্থা করে দেন। ওই সময় জামায়াত ও ছাত্রশিবির পুনরায় দেশের রাজনীতি করার সুযোগ পায়। গোলাম আযম মাকে দেখতে আসার নাম করে দেশে ঢুকে থাকা শুরু করেন। অথচ ওই সময় এ সবের বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমান কোনও ব্যবস্থা নেননি। জিয়া সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে তার মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
জামায়াত জিয়াউর রহমানের আমলে নতুন ফ্রন্ট করে রাজনীতি শুরু করে। ১৯৭৭ সালের ২৩ এপ্রিল সামরিক ফরমান জারি করে রাষ্ট্রীয় আদর্শ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার অবসান ঘটিয়ে তাদের রাজনীতির সুযোগ করে দেয়। ১৯৭৯ সালের ২৫-২৭ মে প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে জামায়াত বাংলাদেশে দল হিসেবে পুনরায় আবির্ভূত হয়। এরপর শুরু হয় জামায়াত শিবিরের তৎপরতা। এ হলো স্বাধীন বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের ইতিবৃত্ত।  

খালেদা জিয়ার আমলে গোলাম আযমের নাগরিকত্বের বৈধতা দেওয়া হয়। জামায়াত ৯১-এর নির্বাচনে ১৮টি আসন পায়। জিয়াউর রহমান যেমন জামায়াত নেতাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, খালেদা জিয়াও তা অব্যাহত রাখেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় এসে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মন্ত্রী বানান। সবার মন থেকে মুছে যায়নি—২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এদেশে ৫৪টি জঙ্গি সংগঠনের উদ্ভব হয়। বাংলা ভাই, জেএমবি, হুজির সৃষ্টি হয়, যারা মূলত জামায়াত শিবির থেকে বেরিয়ে বা এদের পরোক্ষ মদদেই জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টি করেছিল।

মূলত এদের বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ভূমিকা জোট সরকার নিতে পারেনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়। সারাদেশে ৫০০ স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়। তখন বিএনপি জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছিল। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ভোটের রাজনীতি কিংবা নির্বাচনি জোটের কথা বললেও স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার-আলবদর-আল শামসদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশয় এবং ঐক্য বিএনপির সঙ্গে জামায়তের আর্দশিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বর্তমানে তা অটুট আছে বলেই ২০ দলীয় জোটে জামায়াত তাদের অন্যতম শরিক।

আরও প্রমাণস্বরূপ বলা যায় কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক স্থানে বিএনপি জামায়াত এক হয়ে নির্বাচন করেছে, একে অন্যকে ছাড় দিয়েছে এমনকি আওয়ামী লীগ বিরোধিতায় অন্যদের সঙ্গে এক হয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছে, যেখানে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি সেখানে জামায়াত প্রার্থী দিয়েছে এবং উল্টোটাও করেছে। এই ঐক্য তখনও দৃশ্যমান হয়েছে।

জামায়াত আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, নির্বাচন কমিশন আদালতের রায় মোতাবেক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। একটা প্রশ্ন সামনে আসতেই পারে—ভবিষ্যতে জামায়াতের ভোট কাদের পক্ষে যাবে? উত্তর হলো—সারাদেশে যত ভোট আছে, সেগুলো বিএনপির পক্ষেই পড়েছিল এবং ভবিষ্যতেও পড়বে, এর ব্যত্যয় হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই নতুবা উভয়েরই রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা সবাই জানি তারেক রহমান ২০০৪ সালে শিবিরের এক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘শিবির-ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই সন্তান’। এ কথা কোনোভাবেই নির্বাচনি বক্তব্য নয়। এমন কথা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীও বলেছিলেন, যা বহুল সমালোচিত। আসলে জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতি আদর্শিক এবং সে আদর্শ হলো প্রতিক্রিয়াশীলতার আদর্শ, স্বাধীনতাবিরোধীদের ঐক্যের আদর্শ। উভয় দল সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে একে অন্যের প্রতি তীব্রভাবে নির্ভরশীল। তাই যারা ভাবছেন বিএনপি জামায়াত ছাড়লে হয়ত বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে আসবে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

অনেক গুণীজন খালেদা জিয়াকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দিলেও তা কাজে আসেনি, এটা যে ফলপ্রসূ হবে না তা সেই গুণীজনরা (!) না বুঝলেও জাতি ঠিকই বোঝে। আসলে এরা আওয়ামীবিরোধিতার মানসিকতা ধারণ করে আর সেজন্য বিএনপিকে ভর করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যস্ত, হতে পারে জামায়াতকে দূরে রাখার প্রস্তাব জনমনে তাদের বা বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর স্থূল কৌশল মাত্র যা অঙ্কুরেই ব্যর্থ হয়েছে।

গুলশানে ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের পর তাদের দাবি জাতীয় ঐক্যের। কিন্তু গুলশান হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি একেক সময় একেক বক্তব্য দিল, খালেদা জিয়া প্রথমে বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘রক্তাক্ত অভ্যুত্থান’ বললেন। পরে আবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানালেন। এর দু-তিনদির পর আবার বললেন—কমান্ডো অভিযান নাকি দেরিতে হয়েছে, সরকার এসব সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ বিএনপি কোনও সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি এবং জঙ্গিদের পক্ষই নিয়েছে। তা না হলে বলবে কেন যে জঙ্গিদের কেন জীবিত ধরা হচ্ছে না। অর্বাচীনের মতো কথা শুধু বিএনপির নেতৃবৃন্দের পক্ষেই বলা সম্ভব। সারাবিশ্ব কিভাবে হোস্টেজদের উদ্ধার করে তা সবাই টিভিতে দেখতে পায়। তারপরও এহেন বক্তব্য দেওয়া নিশ্চয় উদ্দেশ্যমূলক যা দেশের রাজনীতি ও মানুষের জন্য হতাশাজনক।

যদিও মিথ্যাচার ও ধর্মের অপব্যবহারে বিএনপি-জামায়াত সবসময়ই পটু। এরা পবিত্র ধর্মকে পুঁজি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। বিজেপি প্রধান অমিত শাহের ফোনালাপ নিয়ে অসত্য প্রচার, ৬ কংগ্রেসম্যানের বিবৃতি নিয়ে স্বাক্ষর জাল করে অপপ্রচার চালিয়ে তা পরে প্রত্যাহার করে।

এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় গুলশান হত্যাকাণ্ড, শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা ও কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন সরকার ও  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়োপযোপী পদক্ষেপই গ্রহণ করেছে এবং সারাবিশ্ব নেতৃত্ব সরকারের প্রশংসা করেছে। গুলশানের হত্যাকাণ্ডের এমন জঙ্গি ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম তবু সরকার সঠিকভাবেই উদ্ধার কাজ করে জঙ্গিদের পরাস্ত করেছে। কিন্তু কেন জানি বিএনপির তা ভালো লাগেনি, উল্টোপাল্টা কথা বলল বিএনপির নেতৃত্ব, তবে কি আরও মানুষ হত্যা হলে, দেশের ভাবমূর্তি নিশ্চিহ্ন হলে তারা তৃপ্ত হতেন? এ প্রেক্ষাপটে অনেকেই ধারণা করা অস্বাভাবিক নয় যে, জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগ থাকতেই পারে। কারণ ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জঙ্গির পরিচয় বের হয়ে এসেছে, যাদের অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করত নতুবা স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিবারের সদস্য (যাদের একজন কুখ্যাত মোনায়েম খানের নাতি আরেকজন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সময় ডিজেএফআই-এর প্রধানের নাতি), বাকি দুই-একজনকে বিপথে নেওয়া হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধীদের বংশধর ও জামায়াত-শিবিরের অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই। আর এ কারণেই হয়তো বিপথগামী জঙ্গিদের জন্য বিএনপির এত দরদ!

আসলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ফল না পেলে ধর্মীয় উগ্রবাদের বিপথ বেছে নিয়ে এইসব ন্যাক্কারজনক ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে, কোনও প্রকৃত মুসলমান আরেক মুসলামানকে হত্যা করতে পারে না, কোনও মানুষকেই হত্যা করতে পারে না। মূলত রাজনৈতিক স্বার্থেই ইসলামে অপব্যাখ্যা দিয়ে সেই একই স্বাধীনতাবিরোধী অপগোষ্ঠী এসব জঘন্য কাজ করছে, এতে কাদের ইন্ধন আছে তা আজ পরিষ্কার।

উল্লেখ্য যে জঙ্গিদের পরিবার পরিজন জাতির কাছে ক্ষমা চাইছে এবং তাদের লাশ নিতে চাইছে না, জানাজায় লোক হচ্ছে না কিন্তু বিএনপি কেন জানি জঙ্গিদের প্রতি যথেষ্ট টান অনুভব করছে। এমনকি নিহত জঙ্গি ফাহিমের পক্ষে খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিলেন। বিএনপি জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় ঐক্যে কথা বললেও সমগ্র জাতি, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেদিন সারাদেশে মানববন্ধন করল, সেদিন বিএনপি কেন অংশগ্রহণ করল না। আসলে ঐক্যের কথা বলে জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের গোপন ও পরোক্ষ সম্পর্ককে আড়াল করতে চাইছে। ভুলে গেলে চলবে না শাক দিয়ে আর মাছ ঢাকা যাবে না। আরেকটা কথা—বিএনপি বা তাদের কোনও নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কোনোভাবে সাহায্য করেছে বা করতে চায় তার কোনও প্রমাণ বিএনপি দিতে পারবে না।

বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হয়েছে আর এই কারণে লাখ-লাখ মানুষ রাজপথে নেমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে যেখানে বিএনপির ভূমিকা শূন্য। আমাদের হাজার বছরের ইতহাস ও ঐতিহ্যে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও জীবনাচার তাতে আমাদের বিশ্বাস, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ অতীতের মতোই পরাজিত হবে। এদের দোসররাও ইতিহাসের অতলে হারিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই।

লেখক: পরিচালক, সিআরআই

আরও খবর: তারেকের স্ত্রী জোবাইদার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
এই জন্মদিনে আরেক সিনেমার ঘোষণা
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক
স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হচ্ছে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: তুরস্ক
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ