X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প মার্কিন সমাজেরই প্রতিবিম্ব

বাধন অধিকারী
১২ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪১আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৬, ২১:০৩

বাধন অধিকারী ডেমোক্র্যাটদের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আছে ৮ বছর ধরে। নব্য উদারবাদী ব্যবস্থার চরম দুর্দিনে এসে তাদের ‘ছদ্ম প্রগতিবাদের’ মুখোশ খুলে গেছে। শান্তির নোবেল প্রাপ্তির আড়ালে লুকিয়ে রাখা ওবামার পররাষ্ট্রনৈতিক বাধ্যবাধকতার যুদ্ধবাজ ভূমিকা (ব্যক্তি ওমাবা আমার কাছে এক দুর্দান্ত মানুষ, এক বিস্ময়) নগ্নভাবে দেখে ফেলেছে মার্কিনিরা।
উইকিলিকস  ন্যাশনাল কনভেনশনের সব নথি ফাঁস করে উলঙ্গ করে দিয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। ওইসব নথিতে দেখা গেছে,  জোর করে খানিকটা অ্যান্টি-স্টাবলিশমেন্টের বার্নি স্যান্ডার্সকে মনোনয়নপর্বে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে।  উইকিলিকস বের করে এনেছে হিলারির দুর্নীতির ভয়াবহ সব জীবন্ত দলিল। সবমিলে ডেমোক্র্যাটদের দলীয় অবস্থান এবং হিলারির ব্যক্তিগত অবস্থান ভয়াবহভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই বাস্তবতার বিপরীতে সংকীর্ণ-জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে কেউ তাকে পাগল বলেছে, কেউ বলেছে মুর্খ, কেউ বলেছে সার্কাস। তবে ট্রাম্প ঝানু রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ঠিকঠাক দক্ষ হাতে ছক কেটে ভোটের হিসেব-নিকেশ সম্পন্ন করেছেন। আর উতরেও গেছেন। ‘ট্রাম্পড’, কিংবা ‘ট্রাম্প মিরাকল’ সম্ভব হয়েছে।
তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া আসলে বিস্ময় নয়! নয় কোনও মিরাকল। এটি আসলে খুবই সাম্প্রতিক এক ইতিহাসপরম্পরার ধারাবাহিকতা। যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট ভোটের সঙ্গে এর তুলনা করা যায়। বেক্সিটের মতো এই ঘটনার ক্ষেত্রেও পশ্চিমের কথিত বিশ্বায়নের রাজনীতি ও অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নব্য উদারবাদী অর্থব্যবস্থা মানুষকে যেখানে বিপন্ন করেছে, পুরানো সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ সেখানে তার উত্থান ঘোষণা করছে। ট্রাম্পের বিজয় পুরানো সংকীর্ণ জাতীয়তারই বিজয়। নব্য উদারবাদ পুঁজির স্বাভাবিকগতিশীলতার স্বার্থে উদারতার মেকি ভান করে। সমাজের বৈচিত্র্যকে স্বীকার করে নেওযার ছল করে। সংকীর্ণ জাতীয়তা সেখানে সরাসরি বিভেদের দেওয়াল তুলে দেয়। ‘আমরা’  আর ‘ওরা’ বিভাজনের মধ্য দিয়ে ঘৃণার বেসাতি ছড়ায়। ঘৃণার রাজনৈতিক অস্ত্রে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চায়। আর তা করতে সমর্থও হয়। ট্রাম্পও তাই করেছেন। আর সমীকরণ মিলিয়ে জিতেও গেছেন।
আপনারা যারা বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত পাঠক, তারা খেয়াল করে থাকবেন উইকিলিকসে হিলারির দুর্নীতির তথ্যগুলো উন্মোচিত হয়েছে একের পর এক। ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের ফাঁস করা নথি থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে মনোনয়ন দৌড়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে জোর করে। পশ্চিমের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এইসব খবর ব্ল্যাক-আউট করার চেষ্টা করেছে বরাবরের মতোই। প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতা হিলারিকেই দেখতে চেয়েছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে। পুরো মার্কিন স্টাবলিশমেন্ট হিলারিকে প্রেসিডেন্ট বানাতে চেয়েছে। গোপন সিক্রেট গভর্নমেন্ট কিংবা ছায়া সরকার শ্যাডো গভর্নমেন্ট নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রকৃত শাসক শ্রেণির অংশ হিসেবে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, সেখানকার মেইনস্ট্রিম বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ কিংবা বিভিন্ন থিংকট্যাঙ্ক, এমনকি রিপাবলিকান স্টাবলিশমেন্টও চেয়েছে হিলারির জয়। তবে তাদের নিস্ফল হতাশায় ডুবিয়েছেন ট্রাম্প। তাই ট্রাম্পের জয়ের পর পশ্চিমা মিডিয়াগুলোকে স্তম্ভিত হওয়ার খবর লিখতে হয়েছে।

 ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানকে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র করেছিলেন ট্রাম্প। তার এই মহান আমেরিকা দিয়ে তিনি সেই কলম্বাসের আবিষ্কৃত আমেরিকাকে বুঝিয়ে থাকেন; যা শ্বেতাঙ্গ আাধিপত্যেরই নামান্তর। কালজয়ী ঐতিহাসিক হাওয়ার্ড জিন তার ‘পিপলস হিস্টরি অব আমেরিকা’য় লিখেছেন কিভাবে আদিবাসীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে এই কথিত আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য কায়েম করা হয়েছিল আর তার নাম দেওয়া হয়েছিল আমেরিকা আবিষ্কার। সেই শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজনীতির বিপরীতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্থাপন করেছেন ট্রাম্প। তাদের মধ্যকার বিভক্তিকে সামনে আনতে চেয়েছেন। মেক্সিকোর সীমান্ত নয় কেবল, মানুষের মনের মধ্যে থাকা বিভক্তির দেয়ালকে উসকে দিতে চেয়েছেন তিনি। আর তাতে সফল হয়েছেন। বিভক্তিই তার নির্বাচন জয়ের বীজমন্ত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মেটাল কোম্পানির প্রেসিডেন্ট স্টিফেন গ্লিসন মনে করেন,  ২০১৬ সালের নির্বাচন মার্কিন সমাজের কদর্যতাগুলোকে সামনে এনেছে। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্নাতক মনে করেন, ভাঙচুর-শারীরিক আঘাত-বড় মাত্রার বর্ণবাদী দাঙ্গা থেকে জঙ্গিবাদী বোমা হামলা এবং বিপণী কেন্দ্রে ছুরিকাঘাত; সবই বিভক্তিজনিত অস্থিরতার ফলাফল। সিএনএন, ফক্স নিউজ, সিএনবিসি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ওয়াশিংটন টাইমস এবং ন্যাশনাল রিভিউ-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এই গ্লিসনকে। তার মতে মার্কিন সমাজের এই বিশৃঙ্খলা মানুষে মানুষে বিভক্তিকেই স্পষ্ট করে তুলছে। 

আমাদের বিশ্বের ঔপনিবেশিক চশমার চোখে দেখা ম্যারিকা, আর বাস্তব আমেরিকা এক নয়। বাস্তব মার্কিন সমাজের অভ্যন্তরে রয়েছে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কট। সেখানকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রমজীবীদের জীবনে ভয়াবহ হতাশা নেমে এসেছে। নিজের মুখে না বলে তথ্যপ্রমাণসহ বলি। ভয়াবহ তথ্য হলো, আট বছরের ওবামা প্রশাসনের সময়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য ভয়াবহভাবে বেড়েছে। অর্থনীতি বিশ্লেষক মার্টিন ওলফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ লিখেছেন,  ‘২০১৪-১৫ সালে মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ছিল এর চেয়েও কম। ২০০০ সালে আর্থিক সংকটকালে প্রবৃদ্ধি যা ছিল, এবার তার থেকেও ছিল কম।’  

বৈষম্য বিভক্ত করে। বিভক্তির বোধ হতাশা তৈরি করে। আগেও বলেছি একবার। এই বিভক্তিই ট্রাম্পের বীজমন্ত্র। মার্কিন শ্বেতাঙ্গ সমাজের দুরাবস্থার দায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী, মুসলিম সম্প্রদায়, এলজিবিটি কর্মী, আর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর চাপাতে থাকেন নির্বাচনি প্রচারণার পুরোটা সময়। আর তাই ডেমোক্র্যাটদের ওপর ক্ষোভ বাড়ে শ্বেতাঙ্গদের। যেহেতু অভিবাসী, মুসলিম সম্প্রদায়, এলজিবিটি কর্মী, আর কৃষ্ণাঙ্গদের পক্ষে ডেমোক্র্যাটদের  অবস্থান মুখে অন্তত ইতিবাচক, তাই হিলারিকে শত্রু ভাবতে শুরু করেন শ্বেতাঙ্গরা। সঙ্গে ডেমোক্র্যাট রাজনীতির অনৈতিক অবস্থান, সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকে জোর করে হারিযে দেওয়া আর ব্যক্তি হিলারির নগ্ন দুর্নীতি মিলে চরম হতাশা তৈরি করে। এটাই ট্রাম্পের নির্বাচন জয়ের পটভূমি।

এথিকস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি সেন্টারের কর্মকর্তা হেনরি অলসেন মনে করেন, মানুষ যখন সমাজের রাজনৈতিক স্রোত থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে, তখন তারা সমাজে নিজেদের সংযুক্তির প্রশ্নে মরিয়া হয়ে ওঠে। নির্বাচনের আগেই তিনি বলেছিলেন, ওই বাস্তবতায় মানুষ চরমপন্থাকে আশ্রয় করে। ট্রাম্পের চরমপন্থার নির্বাচন জয়ের এটাই কারণ।

পিআরআরআই-এর নির্বাচনপূর্ববর্তী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র যে পথে যাচ্ছে তা নিয়ে মানুষের আশাবাদ ২০১২ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে ভয়াবহভাবে নেমে গেছে। এর নির্বাচনপূর্ববর্তী জরিপ অনুযায়ী মার্কিনিদের ৪৬ শতাংশ মানুষ এমন একজন নেতা প্রত্যাশা করেন, যিনি এই অচলায়তন ভাঙতে পারবেন। এর প্রধান নির্বাহী রবার্ট জোন্স ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশন থিংকট্যাংকের শ্রোতাদের উদ্দেশে নির্বাচনপূর্ববর্তী সেই বক্তৃতায় বলতে চান, যখন সমাজের কোনওকিছু ঠিকঠাক চলছে না, মানুষের কোনও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নেই সেই অচলায়তনে কেউ সবকিছু ঠিক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে মানুষ তখন তার প্রতি আস্থাবান হয়। মানুষের এই আস্থার ভিত্তিতেই ট্রাম্প জিতে গেছেন।

বিভক্তির সূত্রকে বাস্তব মার্কিন সমাজে যথার্থভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছেন ট্রাম্প। ফলে স্টাবলিশমেন্টের মেকি প্রগতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা ডেমোক্র্যাট দুর্নীতি-ব্যর্থতা-মানুষবিরোধী ভূমিকার বিপরীতে জিতে গেছেন তিনি। বুথ ফেরত জরিপের আভাস, কেবল কর্মজীবী শ্বেতাঙ্গ ভোটার কিংবা শ্বেতাঙ্গ পুরুষরা যে ট্রাম্পকে বেশি ভোট দিয়েছেন এমন নয়; বরং সামষ্টিকভাবেই শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের বিপুল সমর্থন পেয়েছেন তিনি। আর সেকারণে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরও জিতে যান ট্রাম্প। যা ফলাফল নির্ধারণে নির্ধারকের ভূমিকা পালন করেছে।

‘ফারেনহাইট নাইন ইলেভেন’ খ্যাত সাড়া জাগানো মার্কিন তথ্যচিত্র নির্মাতা মাইকেল মুর নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বলেছিলেন, কর্মজীবী শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা ট্রাম্পকে সমর্থন দেবেন। ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ক্ষোভ প্রশমিত করবেন তারা। মুর বলেছিলেন, ‘আমি এমন অনেককে দেখেছি যারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। তারা বিক্ষুব্ধ এবং তাদের এই ক্ষোভের যৌক্তিক কারণ রয়েছে। কারণ তারা চাকরি চান এবং তারা চাকরি হারিয়েছেন। এখন তারা চাকরি পেলেও অনেক কম বেতনে কাজ করতে হবে তাদের। ফলে তারা সিস্টেমের ওপর ক্ষুব্ধ।’ 

সত্যি সত্যি তারা ট্রাম্পকেই জিতিয়েছে।

হিলারির সঙ্গে মনোনয়ন লড়াইয়ে নামা ডেমোক্র্যাট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ট্রাম্পের বিজয়ের পর বলেছেন, ‘জনগণ অধিক সময় ধরে শ্রম দিয়ে খুবই অল্প মজুরি পান। সেই সঙ্গে স্বল্প মজুরির জন্য বিনিয়োগ যাচ্ছে চীনের মতো দেশগুলোতে। আর এতে জাতীয় অর্থনীতি ব্যহত হচ্ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষ সন্তানদের কলেজেও পড়াতে পারছেন না।’ আর এসব কারণেই বিক্ষুব্ধ মার্কিনিরা পরিবর্তনের আশায় ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন বলে স্যান্ডার্স মনে করেন। প্রচারণায় রক্ষণশীল অর্থনীতির পক্ষের ট্রাম্প বাস্তবে যে নব্য উদারবাদের বিকল্প নীতি নিতে পারবেন না, সে জানা কথা। তবে মার্কিন স্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক একটা আগ্রহের জায়গা হবে বলে আমার ধারণা।

হিলারি পরাজয়ের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে গিয়ে বলেছেন, আমেরিকান সমাজের এই ধারার বিভক্তি নাকি তার ধারণার অতীত! বিভক্তি আড়ালকারী হিলারি পরাস্ত হয়েছেন। অশ্বেতাঙ্গ বাকি অর্ধেক মার্কিনি বিভক্তির ট্রামকার্ড ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট ইগেইন’ শ্লোগানের বিপরীতে ঠাঁই পেয়েছে। তারা এখন রাস্তায় নেমে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি মানতে অস্বীকার করছে। এভাবেই আড়াল করে রাখা বিভক্তির রাজনৈতিক ভাষা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি তাই পরিবর্তনকামী মার্কিনিদের বিভাজিত বাস্তবতার প্রতিবিম্ব। তিনিই প্রকৃত আমেরিকা!

লেখক: বিদেশ ডেস্ক ইনচার্জ, বাংলা ট্রিবিউন

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ঝরে গেলো আরেকটি প্রাণ
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: ঢাকাসহ ৩ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ