X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: চুক্তি নয় সহযোগিতাই মূল্যবান

মাসুদা ভাট্টি
০১ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২৭আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৩৪


মাসুদা ভাট্টি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি অদ্ভূত রাজনৈতিক সমীকরণের ওপর দাঁড়ানো। এইমাত্র যে গোলটেবিল বৈঠক থেকে ফিরে লেখাটি লিখছি, সেখানে বক্তারা মূলত এ কথাটিই বলেছেন। বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশেই এই রাজনৈতিক সমীকরণ কখনও ওপরে থাকে, কখনও বা নিচে নামে। কিন্তু এই সম্পর্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি যা হয় তা হলো নোংরামি। এই নোংরামি একেবারেই অসহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়, যখন দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রা নিতে শুরু করে। বিষয়টি খোলাসা করার জন্য এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি করে।
বাংলাদেশের জন্ম-প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে—এ পুরনো এবং অ-মোচনীয় সত্য। একে অস্বীকার করার উপায় কারও নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালে যেমন বা মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে এই সত্যকে বিতর্কিত করার চেষ্টার ত্রুটি হয়নি। বলাই বাহুল্য, এই অপচেষ্টা ভারতের পক্ষ থেকে যতটা হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তার চেয়ে বেশিই হয়েছে। এই প্রবণতাকে ব্যাখ্যা করা যায় এমন কোনও সুনির্দিষ্ট শব্দ আসলে নেই, তবে এক ধরনের হীনমন্যতাকে কৌশলে দেশের জনমনে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় জনগণের একটি বড় অংশ তা বিশ্বাসও করতে শুরু করেছে এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এই অপপ্রচার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছে যা দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস ও অবিশ্বস্ততার জন্ম দিয়েছে বলেও আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু এ রকম নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র, যারা প্রায় সাড়ে হাজার মাইল সীমান্ত দিয়ে সংযুক্ত এবং ৫৪টি অভিন্ন নদীপ্রবাহ দিয়ে যুক্ত তাদের পক্ষে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন থাকা সম্ভব নয়, প্রকৃতিগত ভাবেই। আর এর সঙ্গে যদি ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনাচরণকে যোগ করি তাহলে দু’দেশকে আলাদা করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। অথচ এই অসম্ভব কাজটিই করার চেষ্টা লক্ষ করা যায় দু’দেশেই। তাহলে আমাদের এ প্রশ্ন তোলাটাও জরুরি যে, কেন ও কারা এ রকম বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নটি বার বার তোলেন এবং তাতে লাভটা কার হয়?
ধরা যাক আজকের গোলটেবিল বৈঠকটির কথাই। আইক্ল্যাড নামক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে এই গোলটেবিলে বাংলাদেশের এই সময়কার বিজ্ঞজনেরাই উপস্থিত ছিলেন। যারা মূলত দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ভাবেন, কথা বলেন এবং তাদের অভিমত দেন। দুই/একটি ব্যতিক্রম ছাড়া তারা প্রত্যেকেই একথা জোর দিয়েই বলেছেন যে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আসলে পুরোটাই রাজনীতিনির্ভর এবং এই রাজনীতি দু’পক্ষ থেকেই উস্কানির দ্বারা সত্যতে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রচারণার ভেতর দিয়ে এগোয়, যা দু’দেশের চলমান ও ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। কিন্তু এর বাইরে বাংলাদেশ ও ভারত আসলে বহুভাবে সম্পর্কিত, যে কথা একটু আগেই বলেছি, অর্থাৎ সীমান্ত, নদীপ্রবাহ, সংস্কৃতি, জীবনাচরণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রাক্কালে স্বাভাবিকভাবেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রাজনীতি একেবারে মুখ্য আলোচনার বিষয়বস্তু দু’দেশেই। ভারতে এই আলোচনা মূলত কী করে বাংলাদেশের কাছ থেকে আরও বেশি কিছু আদায় করা যায়, তা নিয়ে; আর ভারতের কাছ থেকে প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ভারতকে কী দিচ্ছে, তা নিয়েও অনেকে চিন্তিত। দু’দেশের সুশীল সমাজের বড় অংশটি এই সম্পর্ককে যেকোনও মূল্যে ‘দেওয়া-নেওয়ার’ মাত্রার বাইরে একটি সুসংহত বন্ধুত্বের পর্যায়ে রাখতে আগ্রহী। কারণ তাতে উপমহাদেশ শক্তিশালী হয় রাজনৈতিকভাবে, বিশ্বের সঙ্গে যেকোনও দরকষাকষিতে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনাটি ক্ষীণই কেবল নয়, বলতে গেলে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ও আধিপত্যের দ্বন্দ্বে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সে অর্থে ক্ষমতা, আধিপত্য সম্পর্কের মাত্রা নির্ধারণে কোনও বিষয় হওয়ার কথা নয়, এখানে সম্পর্ক পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ববোধের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ রাজনৈতিক বিবেচনায় এই মৌলিক বিষয়টিই বার বার অগ্রাহ্য করার চেষ্টা চলে দু’দেশেই। কিন্তু বাংলাদেশে এই প্রবণতা প্রায় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। যেমন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে এখন ছাড়াচ্ছে। সে বিচারে আইক্ল্যাড আয়োজিত এই গোলটেবিল বৈঠক একটি সময়োচিত উদ্যোগ কারণ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বরাবরই দু’দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে একটু হলেও প্রভাবিত করে এবং তা দু’দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত গ্রহণকেও প্রভাবিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে। সে রকমটি যেন না হয়, সে জন্যই দু’দেশের সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে নিয়মিত এরকম বৈঠক আয়োজন জরুরি।
এই মুহূর্তে যে শব্দটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবমূলক শব্দ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে তা হলো ‘প্রতিরক্ষা’। বাংলাদেশের ভারত-বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরটির পক্ষ থেকে প্রতিদিনই বলা হচেছ যে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদন করলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর এবং আগের মতোই এই চুক্তি হলে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশ। সে রকমটিই বলতে চাইছেন, যেমনটি তারা করেছিলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি করার পর, স্থল সীমান্ত চুক্তির পর, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির পর, গঙ্গার পানি চুক্তির পর। অথচ ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি-জামায়াত এসব চুক্তির কোনোটিই বাতিল করেনি। এদিকে তিস্তা চুক্তি না হলে বাকি কোনও চুক্তিকেই তারা মানবেন না বলে হুঙ্কার দিচ্ছেন গঙ্গা চুক্তির মতো সেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হলেও তারা সে বিষয়টিকে রাজনীতির প্রধান হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে কিছুদিন মাঠ গরম রাখার চেষ্টা করবেন, তাও সত্যি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না বলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আর কোনও সমস্যা বা সম্পর্ককে ধর্তব্যে আনা যাবে না সেটিও এক ধরনের ধূর্তামি এবং রাজনীতির কৌশল বৈ কিছু নয়। সে বিচারে শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হলে তা হবে উত্তম ও সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা কিন্তু না হলেও এই সফরের গুরুত্ব তাতে কোনোভাবেই কমে যাবে বলে মনে করার কোনও কারণ নেই।
যে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে ভারতের দাসানুদাস বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে তা আসলে দু’টি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অবশ্যই এই প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তান সুলভ প্রতিবেশী নয়, কিন্তু অন্য অনেক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম চুক্তি লক্ষ করা যায়। আইক্ল্যাড আয়োজিত গোল টেবিলে উপস্থাপিত মূল ধারণাপত্রেও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিবেশিসূলভ প্রতিরক্ষা বিষয়ক আদান-প্রদান চলমান রয়েছে। দুই দেশের সেনা বাহিনীর প্রশিক্ষণ কিংবা তথ্যের আদানপ্রদানই কেবল নয়, আপতকালীন কিংবা চিকিৎসা সংক্রান্ত সহযোগিতাও এই মুহূর্তে চলমান রয়েছে। ফলে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নতুন কিছু সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রতিরক্ষা বিষয়টি একটি ব্যাপ্তিময় বিষয়, যার আওতাধীন অনেককিছুকেই ঢোকানো সম্ভব। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মৈত্রী থাকলে প্রতিরক্ষা মৈত্রীতেও খুব বড় কোনও সমস্যা তৈরি হওয়ার কথা নয় বলেই এই ধারণাপত্র থেকে আমরা জানতে পারি। একথা অবশ্য খোলা মন নিয়ে বিবেচনায়ও বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো এমন নিকট-প্রতিবেশীর মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তির আসলে প্রয়োজন নেই, ১৯৭১ সালে কোনও চুক্তি ছাড়াই ভারত তার সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সে ধরনের বিপদে পড়লে ভারত পাশে দাঁড়াবে কিনা, সে প্রশ্ন নতুন করে তোলার অবকাশ নেই। কিন্তু যদি উল্টোটা হয়? ভারত যদি কোনও যুদ্ধের মুখোমুখি হয়? উপমহাদেশেতো এরকম যুদ্ধ-সম্ভাবনা বার বারই তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হবে? বাংলাদেশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে? নাকি করা উচিত? বন্ধু রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে অন্য বন্ধু রাষ্ট্র তার পাশে না দাঁড়ালে সে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন থাকে কি? আমার মনে হয়, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে চলমান প্রতিরক্ষা বিতর্কে এ বিষয়টি বিশদ আলোচনা হওয়া জরুরি। দু’পক্ষেরই উচিত অত্যন্ত খোলা মন নিয়ে এই বিতর্কে অংশ নেওয়া। এখানে রাজনীতিকে একটু দূরে সরিয়ে সম্পর্কের ভিতকে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর বাকি ডালপালা নিয়ে আলোচনা চলা উচিত।
তবে দুঃখজনক সত্য হলো, বাংলাদেশের ভেতর চলমান ভারতবিরোধিতার রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা বিষয়টিকে খুব নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের কাছে ভারতের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হিসেবে প্রমাণ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং জনমনে এই বিভ্রান্তি ছড়িয়েও দেওয়া হয়েছে, যা একেবারেই মিথ্যে এবং অপরাজনীতির কৌশল। পাকিস্তানে যেমন কিছু রাজনৈতিক দল ভারতবিরোধিতাকে রাজনীতিতে টিকে থাকার কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে, বাংলাদেশেও যারা পাকিস্তানের রাজনৈতিক এজেন্ট তারা একই পথে হাঁটছে। কিন্তু পাকিস্তানে যে কৌশল দেশটাকে একটি প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে বাংলাদেশে সে কৌশল যে কাজ করবে না বা করছে না তা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশ-ভারতের দু’টি স্থায়ী সত্য, দু’টি স্বাধীন দেশ। কোনোভাবেই এই সত্য বদলানো যাবে না। ফলে দু’দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্পর্কটিকে কী করে নতুন নতুন মাত্রা দেওয়া যায়, সেটাই হওয়া উচিত আলোচনার মূল বিষয়। এর বাইরে সবই আসলে ধূর্ত রাজনীতি ও রাজনীতির অপকৌশল। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফর সে কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন নতুন মাত্রা উন্মোচিত হবে। আর এ কথা আমাদের মাথায় রাখাটা জরুরি যে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত যত চুক্তি হয়েছে, তার কোনোটিতেই বাংলাদেশের স্বার্থ বিন্দুমাত্রায় ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে কোনও বিশ্লেষকই মনে করেন না। সেটা মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হোক বা সর্বশেষ স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তি হোক। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোনও রাষ্ট্রই নিজের স্বার্থকে সামান্য ক্ষুণ্ন করে সে রকম কোনও চুক্তি সম্পাদন করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশ-ভারত এরকম কোনও চুক্তি সম্পাদন করবে সেটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমার মনে হয়, এই বিশ্বাসটিই দুই দেশে প্রতিষ্ঠা করা জরুরি, বিশেষ করে বাংলাদেশে। কারণ বাংলাদেশের ভেতরই ভারতবিরোধী রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার আর নোংরামির আশ্রয় নেওয়া হয়, ভারতে ঠিক ততটা হয় না।

লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ