X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে

সাদিয়া নাসরিন
১৯ মে ২০১৭, ১৪:৫০আপডেট : ১৯ মে ২০১৭, ১৪:৫৪



সাদিয়া নাসরিন আট বছরের আয়েশার সম্মান বাঁচাতে না পেরে, দরজায়-দরজায় ঘুরে বিচার না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন একজন পিতা। কারণ, হযরত আলী জানেন এ সমাজে মেয়েটির জীবনের দামের চেয়ে, তার নিজের জীবনের দামের চেয়ে অনেক অনেক বেশি মূল্যবান ছিল ওই এক টুকরো শরীরের পবিত্রতা। নিজের সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচার না পেয়ে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে শরীরকে ‘পবিত্র’ করেছেন পুলিশ কন্সটেবল হালিমা। প্রতিদিন ঘরে ফেরার পথে পতিত পুরুষদের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছিলো নারায়ণগঞ্জ চারুকলার সিমি বেশ কয়েক বছর আগে। পহেলা বৈশাখে বখাটেদের লাঞ্ছনা আর অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিল ফারজানা আফরিন রুমি।
ধর্ষণের পর ভ্রষ্টা হিসেবে ঘোষণা করে একঘরে করেছিল মহিমাকে… মহিমা আত্মহত্যা করে বিদায় দিয়েছিলো এই পৃথিবীকে। স্কুলে যাওয়ার সময় একদল বখাটে কিশোরী সেলিনা আক্তারকে তুলে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে… সেলিনাও আত্মহত্যা করেছিলো। বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরে বেঁচেছিলো গাইবান্ধার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তৃষা। লাশ ভেসে উঠেছিলো। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যমতে, শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই ৮৫জন শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে যার মধ্যে ৩১ জন আত্মহত্যা করেছে।
না, আজ শরীরের ইজ্জতের দাম চুকোতে গিয়ে জীবন বিকিয়ে দেওয়ার গল্প লিখতে বসিনি। আজ লিখবো লড়াইয়ের কথা। উত্তাল সমুদ্রের কুমির হাঙ্গরের মুখ থেকে বেরিয়ে মুক্তির সাঁতার দিয়ে তীরে ওঠে আসে মেয়েরা, আজ সেই গল্প লিখবো। মনে পড়ে পূর্ণিমার কথা? ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ের পর হিন্দু হওয়ার অপরাধে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা গণ ধর্ষণ করেছিলো সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাকে। ক্লাস নাইনে পড়া পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করতে এসেছিলো ১০-১২ জনের একটি দল। পূর্ণিমার মা ধর্ষক পুরুষদের কাছে মিনতি করেছিলেন, ‘বাবারা আমার মেয়েটা ছোট, মরে যাবে। তোমরা একজন একজন করে আসো। '
...না, পূর্ণিমা মরেনি। বেঁচে আছে। তুমুল বেঁচে আছে। কন্টক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে জীবনের জয় পতাকা উড়িয়েছে অদম্য সাহসে। সেদিনও ধর্ষকদের রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো ধর্ষকের আইন। এর মধ্যে ধর্ষকদের বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, খুবলে খেয়েছে তার পরিবারকে। পরিবারটিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি এ দেশ, এই রাষ্ট্র। তবু সব আঁধারেই আলো জ্বালানিয়া কেউ তো থাকেই। সেই সময় ওয়াহিদুল হক, শাহরিয়ার কবির আর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কিছু সদস্যের সহযোগীতায় পূর্ণিমা ঢাকায় আসে, স্কুলে ভর্তি হয়। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ও পার করে, মাথা উঁচু করে নিজের কাজের জগতও তৈরি করে নেয় পূর্ণিমা।
কিন্তু ধর্ষকের এই সমাজ, পতিত পুরুষে কিলিবিল করা এই দেশ কি আর এত সহজে বাঁচতে দিয়েছে ওই মেয়েকে? প্রতিদিন মেরেছে, স্কুল কলেজ ভার্সিটির প্রতিটি দিন মুখরোচক গল্প হয়েছে। রাস্তায় হাঁটতে পারেনি দিনের পর দিন। ওকে দেখিয়ে বলেছে, ‘এই সেই মেয়েটা’। রাস্তায় চুলের মুঠি ধরে মেরেছেও। পূর্ণিমার নামে ফেসবুক আইডি খুলে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে নোংরা ছবি, নোংরা কথা। ওর কলিগরা ওই আইডিতে যুক্ত হয়ে প্রশ্ন করেছে ‘কী রে? তুমি এরকমভাবে নোংরা ছবি পোস্ট করেছো, তুমি কি এসব করে খাও ?’ কোনও বন্ধু বলেছে, ‘কত টাকা চাই তোর’?
পূর্ণিমা মুখ লুকিয়ে কেঁদেছে হয়তোবা, কিন্তু কোনও আড়াল বা অন্ধকার বেছে নেয়নি। দেশ থেকে পালিয়ে যায়নি, এসাইলাম নিয়ে শরণার্থী হয়নি। দেশে থেকেছে, মাথা উঁচু করেই থেকেছে। সংবাদ সম্মেলনে নির্দ্বিধায় বলেছে কী ঘটেছিলো তার সাথে। এগারোটি বছর কী দুর্বার সাহসে মোকাবিলা করেছে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ! কী চমৎকার উন্নাসিকতায় উড়িয়ে দিয়েছে বছরের পর বছর চলা আইনের মারপ্যাঁচ আর জেরার ধর্ষণ। এগারটা বছর একটানা লেগে থেকে নিশ্চিত করেছে ধর্ষকের বিচার। আজ তাই দৃপ্ত কণ্ঠে বলতে পারে পূর্ণিমা, 'এটা আমার লজ্জা না। এটা বাংলাদেশের সমাজের লজ্জা'।
এই ধর্ষক নিপীড়কের সমাজে পূর্ণিমারা বারবার ফিরে আসে আমাদের শক্তি হয়ে। আমরা তাদের খুঁজে পাই বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে ধর্ষণের বিষাক্ত ভয়াল স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসা মেয়েদের মাঝে। শোন মেয়েরা, শেষ পর্যন্ত তোমরা পেরেছো। নিজের সাথে বোঝাপড়া করে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মনোবল অর্জন করেছো। তোমাদের প্রতিপক্ষ প্রবল ক্ষমতাধর, উঁচুতলার মানুষ। অস্ত্রের মুখে তোমাদের রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে, ভিড়িও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে গেছে ধর্ষক ও তার পরিবার।
বিচার চাইতে গিয়ে আবার, বারবার, প্রতিদিন মুখে চোখে ধর্ষিত হয়েছো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে। ওসি মামলা নেয়নি, থানা থেকে অপমান করে বের করে দিয়েছে। তোমাদের ছবি তুলে রেখেছে। এক সময় সে ছবি মিডিয়ায় চলে এসেছে। সাংবাদিক লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে তোমাদের পেছনে। সেই 'পোষা সাংবাদিকরা' তোমাদের বাড়ির সামনে আসন গেড়ে বসেছে, ডিবি পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তোমরা লড়াইয়ের মাঠ ছেড়ে দাওনি বলেই শেষ পর্যন্ত আসামি ধরা পড়েছে। এ দেশের প্রতিটি সচেতন সভ্য মানুষ তোমাদের পাশে আছে, জেনে রেখো। এবার তোমরা জয় করবে।
অভিনন্দন জানাতে চাই বনানীর নিচুতলার সেই মেয়েটিকেও যার খবর তেমন কোনও কাগজে আসেনি। গণধর্ষণের শিকার হয়ে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধ কিন্তু একা একা নিঃসঙ্গ করে গেছে কড়াইল বস্তির পোষাক কর্মী মেয়েটি। বখাটেদের হয়রানি থেকে বাঁচতে থানায় জিডি করেছিলো। কিন্তু থানা কেমন নিরাপত্তা দিয়েছিলো কে জানে! তার পরদিনই জুনায়েদ, নায়েব আলী, সোহাগ ও বালি নামের চার ধর্ষকের হাতে গ্যাংরেপ এর শিকার হয় মেয়েটি। আট দিন চিকিৎসা নিয়েছে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।
না, মেয়েটি আত্মহত্যা করেনি। বিচার চাইতে গেছে। বনানী থানা মামলা নেয়নি, গুনে গুনে সতেরদিন ঘুরিয়েছে। অপমান করেছে, অশ্লিল কথা বলেছে গলাধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দিয়েছে। কিন্তু দমেনি আগুন গেলা মেয়েটি। আদালতে গিয়েছে, আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আবারো থানায় এসেছে মামলা করতে। থানা ১৪ দিন ঘুরিয়ে মামলা নিতে বাধ্য হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে থানার বারান্দা, ওসির ধমক, ওসিসি’র চিকিৎসা, আদালতের দৌড়ানি, উকিলের ঘুরানি সব কিছুকে জয় করে মামলা নিতে বাধ্য করেছে ওইটুকু মেয়ে। কিন্তু আসামি ধরা না পড়ায় তাদের প্রভাবে ঘর ছাড়ে মেয়েটি।
মেয়েরা শোনো, এতোদূর পর্যন্ত এগুতে যে সাহস তোমরা দেখিয়েছো, কী ভীষণ ভয়ঙ্কর অসম লড়াই তোমরা করে এসেছো, কী ভীষণ দুঃখকে সয়েছো তা তোমাদের চাইতে ভালো কেউ জানে না। এতদূর পারার জন্য নিজেকে অভিনন্দন জানাও। নিশ্চয় তোমরা বুঝে গেছো, আরো অনেক ভয়ঙ্কর নগ্ন নীপিড়ন তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এদেশের বিচার প্রক্রিয়ায় তোমাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে তোমরা ধর্ষিত হয়েছিলে। তোমাদের বারবার বর্ণনা দিতে হবে, তোমাদের প্রশ্নের ছুরিতে ছিঁড়ে খুবলে খাবে প্রতিদিন। সেইসব রগরগে খবর ছাপাবে এদেশের গণমাধ্যম। তোমাদের বিবস্ত্র করে, ব্যবচ্ছেদ করে টিআরপি বাড়াবে।
না, তোমরা তখনও ভেঙে পড়বে না। তোমরা অবিচল থাকবে। প্রবল উন্নাসিকতায় উড়িয়ে দেবে এসব জঞ্জালকে। মনে রেখো, ধর্ষণের জন্য ধর্ষণের শিকার মেয়েকে দায়ী করার লোকের অভাব কখনো ছিল না বাংলাদেশে, এখনো নেই। ধর্ষিত হয়েছে বলে তাকে বারবার ধর্ষণ করার ইচ্ছে পোষণ করা পুরুষের অভাবও এ দেশে কোনোদিনই হবে না। এই সমাজের বেশিরভাগ পুরুষই মনে করে মেয়েটিকে যেহেতু ধর্ষণ করা হয়েছে, মেয়েটি যেহেতু নিজের সতীত্ব(?) হারিয়েছে, এবং সেই বহুমূল্যবান সতীত্ব রক্ষা করার আর দায় নেই, তাই এখন তাকে, তাদেরকে আবার ধর্ষণ করা যেতেই পারে। তোমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাবে না, এই সমাজের পুরুষেরা আসলে ছলে কৌশলে ধর্ষকদের ক্ষমা করে, ধর্ষকের পক্ষে যুক্তি খোঁজে, যে কোনও অযুহাতে ধর্ষণকে জাস্টিফাই করে। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েকে ক্ষমা করে না এ সমাজ।
এই সমাজে মেয়েদের মনস্তত্ত্বে পুরে দিয়েছে শরীরের শুদ্ধতার ভার। ছোটবেলা থেকে মাথার ভেতরে প্রোগ্রাম সেট করে দিয়েছে, শরীর নাকি সাদা কাগজের মতো। একবার দাগ লেগে গেলে আর ওঠানো যায় না। তাই সারাটা জীবন আমরা চেষ্টা করি শরীরে যেন কোনও দাগ না লাগে। হায়রে শরীর! মহামূল্যবান শরীর!! জীবন যাবে, কিন্তু শরীর! নৈব নৈব চ!! শুদ্ধতার চেষ্টা বেশি করি বলেই হয়তো আমাদের শরীর কেবলই অশুদ্ধ হয়। বাসে-পথে-ঘাটে কোনও পতিত পুরুষের ছোঁয়া লাগলে আমরা নিজেকে অপবিত্র মনে করি। ভ্রষ্ট পুরুষরা চোখ দিয়ে আপাদমস্তক গিললে আমরা নিজেদের নোংরা ভাবি। রাজপথে জনারণ্যে যখন নষ্ট পুরুষ ‘মাল’ বলে ডাকে, তখনও আমরা অশুচি হই। ভালোবাসার অন্তরঙ্গ ছবি যখন ভাইরাল করে দেয় বিকৃত প্রেমিক তখনও নাকি আমাদেরই সব যায়!
আমাদের কেবলই সব যায়। মেয়েদেরই কেবল সব যাওয়ার দায়। তাই আমরা বারোহাত শাড়ি আর গোটা দশেক সেফটিপিন, পাঁচহাত ওড়না, বোরকা, হিজাব কতকিছু দিয়েই না ইজ্জত(?) ঢাকতে চেষ্টা করি। ইজ্জত বাঁচাতে আমরা লম্পটের কাছে কাকুতি করি, ধর্ষকের পায়ে পড়ি। তবু বাঁচাতে পারি না আমাদের মহামূল্যবান ইজ্জত। বাঁচাতে না পেরে তারপর চুপচাপ আত্মহত্যা করি। নিজেকে শেষ করে দিয়ে খবরের কাগজের পাতা হয়ে মিশে যাই সস্তার লাশের মিছিলে।
কিন্তু তোমরা তো সাধারণ কেউ নও। তোমাদের ভেতরে ঘুমিয়ে আছে জ্যাকি ক্লার্ক, চিওমারা, লরেনা বববিট, সনেট ইহলারস এর পরমাত্মা, যারা ধর্ষকামী পুরুষের সামনে মৃত্যুদূত হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই আগুন লাগা এই পৃথিবীতে তোমরা নিজেদের পথ খুঁজে নিয়েছো। তোমরা প্রমাণ করেছো, যতো সম্পদশালীই হোক না কেন, লড়াইটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারলে প্রতিটা ধর্ষককে আইনের মুখোমুখি হতে হয়। সেই পথটুকু এভাবেই লড়ে যাবে তোমরা। শেষ হাসি তোমরাই হাসবে।

ফাইট মাস্ট গো অন, গার্লস। মেয়েরা, জীবনের লড়াই এভাবেই চালিয়ে যেতে হয়। জীবনের লড়াই জীবন দিয়ে করতে হয়, জীবন থাকতে করতে হয়। পথ চলতে ক্লান্ত হলে মনে করো, অসংখ্য মেয়ের মুক্তির জন্য এই লড়াইটা তোমরা করছো। লড়াইটা তোমাদের, কিন্তু সাথে আছে অসংখ্য অগণিত সহযোদ্ধা। তোমরা হালটা কষে ধরে রাখো, পালটা আমরা ঠিক বেঁধে রাখবো। এ লড়াই তোমাদের থাকে আমাদের হবে। আমরা এক থেকে একশো হবো, অসংখ্য হবো, অগণিত হবো।
লেখক: নারীবাদী লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সড়ক আইনে শাস্তি ও জরিমানা কমানোয় টিআইবির উদ্বেগ
সড়ক আইনে শাস্তি ও জরিমানা কমানোয় টিআইবির উদ্বেগ
পিসিবি প্রধানের আস্থা হারালেও শ্বশুরকে পাশে পাচ্ছেন শাহীন
পিসিবি প্রধানের আস্থা হারালেও শ্বশুরকে পাশে পাচ্ছেন শাহীন
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইকচালক
কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইকচালক
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ