X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাম্প কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করবেন

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
২৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:১৪আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৩১

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি তার চার বছর মেয়াদের একবছর পূর্ণ করেছেন। ট্রাম্প ব্যবসায়ী মানুষ। কখনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কোনও রাজ্যসভারও কখনও সদস্য ছিলেন না। অনভিজ্ঞ মানুষ, সুতরাং তার পক্ষে ভালো প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সর্বোপরি আমেরিকার আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়।
গত দশ বছরব্যাপী মন্দার মাঝে রয়েছে আমেরিকা। সুতরাং সব কিছু সামাল দিয়ে রাষ্ট্র চালানোর বিষয়ে তেমন পরিপক্বতা দেখানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। আমেরিকা জাতিসংঘের ২৪ শতাংশ খরচের টাকা দিতো এখন ট্রাম্প বলছেন তারা তা কমিয়ে দেবেন। জাতিসংঘকে উদ্বাস্তু বিষয়ে খরচের টাকা সরবরাহ করতো আমেরিকা, ট্রাম্প তা বন্ধ করে দিয়েছে। ইউনেস্কো থেকে আমেরিকা বের হয়ে গেছে। সুতরাং বিশ্বব্যবস্থা থেকে ট্রাম্প আমেরিকাকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন। যে কারণে বিশ্ব কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।
অবশ্য এশিয়ার পুঁজিপতি রাষ্ট্রগুলো এগিয়ে আসলে জাতিসংঘের আর্থিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব অথবা সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেও সে সংকট কাটানো যাবে। জাতিসংঘের বার্ষিক বাজেট হচ্ছে ৫৫০ কোটি ডলার। আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থাও এখন ভালো। 

জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে ৭০/৭২ বছর আগে। তার পুনর্বিন্যাসও প্রয়োজন। জাপান, জার্মানি, ভারত ও তুরস্ককে স্থায়ী সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। বিশ্ব এখন বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে ২০১৭ সালে প্যারিসে ১৮৮ জাতির এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে জলবায়ুর ব্যাপারে একটা রূপরেখাও স্থির করেছিলেন বিশ্বনেতারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, ট্রাম্প সে চুক্তি থেকে আমেরিকার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অথচ জলবায়ু নিয়ে বিশ্ব যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তাতে আমেরিকার সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে সব উল্লেখযোগ্য শহর সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে ডুবে যাবে, সে সবের প্রথম তালিকায় আমেরিকার নিউইয়র্কও রয়েছে। ট্রাম্প জলবায়ুর ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত মেনে নিতে দ্বিধা করছেন, অনুরূপ লোক আমেরিকার মতো রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে বিশ্ব তো নানা দুর্গতির সম্মুখীন হবেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মাঝে স্নায়ুযুদ্ধ বিরাজমান ছিল। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবসান হলে স্নায়ুযুদ্ধেরও অবসান হয়। তখন বিশ্বের সুরক্ষার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগান, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মারগারেট থেচার আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গর্ভাচেভ পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটা সুন্দর ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করে বিশ্বের উন্নয়নের জন্য মুক্তবাজার অর্থনীতির দ্বার উন্মুক্ত করেছিলেন। এতে বিশ্বের বহু দরিদ্র রাষ্ট্রের অনেক উন্নতি হয়েছে। চীনের উত্থান হয়েছে এ সময়েই। এগুলো ছিল আমেরিকার সাহসী পদক্ষেপ।

গত শতকের পঞ্চাশ দশকে আমেরিকার অর্থনীতি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন। ইউরোপ আর জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জঞ্জাল সরাতে ব্যস্ত। চীন তখনও জেগে ওঠেনি। আমেরিকা মার্শাল প্ল্যানের অধীনে ইউরোপকে অকাতরে সাহায্য না করলে তার পক্ষে ওঠে দাঁড়ানোই ছিল মুশকিল। কিন্তু আমেরিকার সে অবস্থা এখন আর নেই। মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন ডলার। হেমিলটনীয় পদ্ধতিতে দেশের অর্থনীতি চলার ফলে এখন আমেরিকার সব সম্পদ পুঞ্জিভূত হয়েছে এক শতাংশ লোকের হাতে। অস্বচ্ছলতা, কর্মহীনতা এখন আমেরিকার মানুষের ললাটের লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেসের স্বাধীনতার ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের ফলে প্রজাতন্ত্রটি তার প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গীকার হারিয়ে ফেলেছে। একজনের অধিকার অন্যজনের প্রতি জুলুমের কারণ হবে না, এ ধারণা এখন আমেরিকান সমাজে বিরাজ করছে না। 

২০০৮ সালে যুব সমাজের কিছু যুবক ওয়াল স্ট্রিট ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছিল। মনে করেছিলাম, এটা হয়তো পরিবর্তনের পূর্বাভাস। কিন্তু তারা টিকতে পারেনি। অবশ্য এতে আশাহত হওয়ার কিছু নেই। গত শতকের ছয়ের দশকের মতো হয়তো নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অনুরূপ একটা কঠিন আন্দোলন অপেক্ষা করছে। না হয় এ বৈষম্যের অবসান হবে কীভাবে? নাগরিক অধিকার আন্দোলনকে একসময় অসম্ভব বলে মনে করা হতো। কিন্তু তাও তো সম্ভব হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট লিডন বি জনসন তো শেষ পর্যন্ত ১৯৬৪ সালে নাগরিক অধিকার আইন স্বাক্ষর করেছিলেন। বারাক ওবামা তো নাগরিক অধিকার আইনের ফসল। সাদাকালো একই স্কুলে পড়ার অধিকার নিয়ে যেখানে আন্দোলন হয়েছে, সেখানে কেউ কি কল্পনা করেছে, কালো বারাক ওবামা একদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন?

যাক। ট্রাম্পের কথায় ফিরে আসি। ট্রাম্প বর্ণবাদী লোক। আমার মনে হয় পৃথিবীর এমন কোনও জাতিগোষ্ঠীর লোক নেই, যাদের কেউ না কেউ আমেরিকায় বসবাস করে না। এমন তো বিচিত্র দেশের সর্বোচ্চ নেতা বর্ণবাদী হলে চলে না। সবাই মিলে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ‘আমেরিকান’ হতে পেরেছিল বলেই তো দেশটা টিকে আছে।

ট্রাম্প কেবল শেতাঙ্গদের আমেরিকান মনে করেন। অথচ পণ্ডিতরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে শেতাঙ্গরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। শেতাঙ্গরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে কি ‘আন-আমেরিকান’ হয়ে যাবে। শেতাঙ্গ-অশেতাঙ্গ সবাইকে নিয়ে আমেরিকা। কেউ কোনোভাবে বর্ণবাদে উসকানি দিলে কিন্তু রাষ্ট্রটি টিকে থাকা মুশকিল হবে। ওবামাকে তো সাদা যুবকেরাই দু-দু-বার প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে। সম্প্রীতি ভেঙে দিয়ে লাভ কী?

আমেরিকার প্রতিষ্ঠার সময়ে দলিল দস্তাবেজগুলো দেখলে অবাক হতে হয়। ২০০ বছরের আগের মানুষগুলোর কত কঠোর দূরদৃষ্টি ছিল, কত সচেতনভাবে সমস্যা নিয়ে কথা বলেছে–সমাধানের পথ দেখাবার চেষ্টা করেছে। আইন তৈরি করেছে। এসব আইন কোনও ঐশ্বরিক আইন নয়। তবে এগুলোকে প্রতিভাবানদের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলে স্বীকার করে নিতে হয়। এগুলোর মাঝে ট্রাম্পকে দেখলে ‘বুল ইন এ চায়না সপ’ বলে মনে হয়।

বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা ১৫০ কোটি আর ইহুদিরা হচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ। ১৯৮০ সালে আমেরিকার কংগ্রেস জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করেছে। কিন্তু কোনও প্রেসিডেন্ট তেল-আবিব থেকে দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেননি। অথচ ট্রাম্প দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন গত ডিসেম্বর মাসে। 

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, রাশিয়া বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমান তীব্র প্রতিবাদ জানালো তার সিদ্ধান্তের। সবাই বললো যে, তারা তাদের দূতাবাস তেল-আবিব থেকে সরাবে না। আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্ট তার আত্মীয়-স্বজনকে তার উপদেষ্টা ইত্যাদি কখনও করেননি। ট্রাম্প তার জামাতা কুশনারকে করেছেন ফিলিস্তিন বিষয়ক উপদেষ্টা। কুশনার ইহুদিসন্তান। ইহুদিরা হলো বুদ্ধিমান জাতি। প্রতিভার জন্য তাদের খ্যাতি রয়েছে। কিসিঞ্জার ইহুদির সন্তান। তিনি গত শতকের সাতের দশকে আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি খুবই প্রতিভাবান ব্যক্তি। তার সময়ের তার অনুসৃত নীতিকে ‘কিসিঞ্জার ডকট্রিন’ বলা হতো। তিনি একটা কথা খুবই স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘ইহুদিরা মুসলমানদের সঙ্গে সহ-অবস্থানের নীতি গ্রহণ না করলে ইসরায়েল রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যাবে’। 

ইসরায়েল রাষ্ট্রটি চলে বিশ্ব ইহুদি গোষ্ঠীর চাঁদার ওপর। আমেরিকা ইসরায়েলি সৈন্যবাহিনীর বেতন দিয়ে থাকে। এখন খোদ যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক দুরাবস্থায় পড়েছে। তারা আর কতদিন ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর বেতন চালাবে?

আমেরিকা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলের পাশ্ববর্তী মুসলিম বড় দেশগুলো বিধ্বস্ত করে ফেলার নীতি অনুসরণ করে আসছে, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ধ্বংস করেছে এখন বাকি রয়েছে তুরস্ক ও ইরান। ইসরায়েল বিশ্বাস করে ইরানের আনবিক বোমা রয়েছে। সুতরাং তাকে সবার আগে ধ্বংস করতে হবে। ইরান ধ্বংসের ব্যাপারে আমেরিকা তার পাশে পেয়েছে সৌদি আরবকে। এখন আমেরিকা, সৌদি আরব আর ইসরায়েলের মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নীল নকশা এক ও অভিন্ন। ইরানে কয়দিন আগে মোসাদ, সিআইএ অভ্যন্তরীণ গোলোযোগ আরম্ভ করাতে পেরেছিল। কিন্তু কোনও নেতৃত্ব ছিল না বলে গোলোযোগ বানচাল হয়ে গেছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইরান সু-পরিকল্পিত। ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনও সীমান্ত নেই। 

ইরান লেবাননে শিয়া অনুসারী দক্ষিণ লেবাননের লোকজন নিয়ে ‘হিজবুল্লাহ’ নাম দিয়ে একটা গেরিলা বাহিনী গঠন করেছে। আগে কথায় কথায় ইসরায়েল লেবাননে প্রবেশ করতো, এখন হিজবুল্লাহর কারণে আর পারে না। ২০০৬ সালে অনুরূপভাবে ইসরায়েল লেবাননে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে তারা লেবাননের সীমান্তে বরাবর পৌঁছাতেই পারেনি। বরং হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের ভেতরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এত ক্ষয়ক্ষতির মুখে ইসরায়েল কখনও কোনও আক্রমণে পারেনি। এখন সৌদি আরব সংশয়ে আছে হিজবুল্লাহ ইয়েমেনে হুথিদের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেয় কিনা। কাতারে গোলোযোগের সময় হাজার হাজার হামাস আর হিজবুল্লাহ গেরিলারা কাতার গিয়ে অবস্থান নিয়েছিল যে কারণে সৌদি আরব কাতার দখলের সাহস করেনি। যখন সরকারি বাহিনী ব্যাপকভাবে আসাদের পক্ষ ত্যাগ করে তখনও হিজবুল্লাহ গিয়ে আসাদের পক্ষে নিয়েছিল। না হয় আসাদের পতন হতো বহুদিন আগে।

ট্রাম্পের নির্বাচনের সময় রাশিয়া সাহায্য করেছে এমনটাই অভিযোগের তদন্ত করছে এফবিআই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের অভিশংসন অনিবার্য হয়ে পড়বে। আর অভিশংসন থেকে মুক্তি ফেলে ট্রাম্পের কালো যুগের সমাপ্তির জন্য আরও তিনটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। তা হবে আমেরিকানদের জন্য অপূরণীয় এক ক্ষতি। রাজতন্ত্রই হোক বা প্রজাতন্ত্রই হোক তার পতনের সময় নিকটবর্তী হলে অনুপোযুক্ত লোকই ক্ষমতায় আসে। মুঘলের ব্যাপারে অটোম্যানদের ব্যাপারে আমরা তাই দেখেছি। সে পথ ধরে আমেরিকায় ট্রাম্প ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কিনা কে জানে!

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক

[email protected]

 

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ইসরায়েলকে ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশ জাতিসংঘের
গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ইসরায়েলকে ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশ জাতিসংঘের
হৃদরোগ বিভাগে ছারপোকার রাজত্ব, হাসপাতাল পরিচালক দুষছেন রোগীদের
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালহৃদরোগ বিভাগে ছারপোকার রাজত্ব, হাসপাতাল পরিচালক দুষছেন রোগীদের
‘মডার্ন মেট্রোপলিস’ থিমে ঈদ সংগ্রহ এনেছে ঢেউ
‘মডার্ন মেট্রোপলিস’ থিমে ঈদ সংগ্রহ এনেছে ঢেউ
কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ