X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

নয়া সুলতান-এর নির্বাহী সিংহাসন

বাধন অধিকারী
২৭ জুন ২০১৮, ১৯:২০আপডেট : ২৭ জুন ২০১৮, ১৯:২১

বাধন অধিকারী বিগত প্রায় ১৬ বছর তুরস্কের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন রজব তায়্যিব এরদোয়ান। বহু বহু পরিচয় তার, ভূমিকাও বহুমাত্রিক। তিনি যেমন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের বন্ধু, তেমনি করে তিনি রাশিয়ারও বন্ধু। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ সোচ্চার, আবার তার বিরুদ্ধেই রয়েছে আইএস-এর সঙ্গে ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। তার নিজস্ব রাজনৈতিক দলটি একসময় ছিল ইসলামপন্থি। সময়ের তাগিদে তিনি সেটাকে উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত করাতে সক্ষম হন। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দশকে তিনি সত্যিই বিশ্বের সামনে ইসলাম ও গণতন্ত্রের যুগপৎ পদচারণার মডেল হাজির করেছিলেন। পশ্চিমা নয়া উদারনীতির দর্শন যাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বলে ডাকে, তুরস্কের সমাজে তা আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তবে কালপরিক্রমায় সেখান থেকে সরে এসেছেন এরদোয়ান। মনোযোগী হয়েছেন নিজের ক্ষমতার পরিসর বাড়ানোর কাজে। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে নিজের দলকে তিনি অপ্রতিরোধ্য করে তোলার চেষ্টা নিয়েছেন।
নিজ দেশে হাজার হাজার সাংবাদিককে বন্দি রেখে এরদোয়ান অন্য দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকার প্রশ্নে সোচ্চার হয়ে উঠতে পারেন। নিজ দেশে মুসলিম কুর্দিদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন জারি রেখেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিপীড়িত মুসলমানদের পক্ষে কথা বলতে পারেন। এসব কারণেই এই পপুলিজমের যুগে মুসলিম বিশ্বের একাংশের কাছে তিনি ‘নায়ক’। তার মধ্যে অনেকেই বিস্তৃত ‘অটোম্যান সাম্রাজ্য’র সুলতানের ছায়া দেখতে পান। অনুসারীদের তিনি নিজেও আদর করে ‘অটোমান সুলতানদের নাতিপুতি’ বলে ডেকে থাকেন। সত্যিই এরদোয়ানের সাম্রাজ্য বাসনা অটোমান সম্রাটদের মতোনই। গত তিন বছরে ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে তার সিংহাসন। ২০১৬ সালে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানকে দমন-পীড়নের হাতিয়ার বানাতে সমর্থ হওয়া, গণভোটের নামে সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলা আর সবশেষ আগাম নির্বাচন ঘোষণা; যার ফলাফল হলো তুরস্কের প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোয়ানের আবির্ভাব।

রাজনৈতিক জীবনের সূচনালগ্নে কট্টর ইসলামপন্থি ছিলেন এরদোয়ান। ১৯৭০ সালে তিনি ছিলেন ইসলামিস্ট সালভেশন পার্টির যুবদলের নেতা। আইএসের মতো করেই ওই দলটি বহু জাতি বহু মতের তুরস্ককে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিল। ১৯৮০ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সালভেশন পার্টি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে ‘ওয়েলফেয়ার পার্টি’ নাম নিয়ে নতুন করে আবির্ভূত হয় তারা। সেই পার্টিরও নেতা হন এরদোয়ান। সে সময় তুরস্ক ছিল সামরিক বাহিনীর ছায়াতলে। সেক্যুলার মতাদর্শে বিশ্বাসী সেই শক্তিশালী সামরিক বাহিনী ১৯৯৭ সালে ওয়েলফেয়ার পার্টি নামের একেপির ইসলামপন্থি পূর্বসূরি সরকারকে উৎখাত করে। ১৯৯৮ সালে সামরিক সেক্যুলাররা এই দলটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নামে আবির্ভূত হয় এরদোয়ানের দল। পরিবর্তিত কৌশলের অংশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় পূর্ববর্তী আদর্শ থেকে সরে আসার। বলা হয়, তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে দেশকে উদার, গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাওয়াই এখন থেকে তাদের একমাত্র অগ্রাধিকার।

ক্ষমতায় থাকার প্রথম দশকে একেপি বেশ কিছু উদারপন্থি সংস্কারমূলক আইন প্রণয়ন করে। দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়, দেশের মৌলিক সমস্যা হলো রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিকদের অধিকার দমন। তারা তখন বলছিলো, কুর্দি জাতীয়তাবাদীদের অধিকার আন্দোলন কিংবা অন্য নাগরিকদের রাষ্ট্র-বৈরিতাকে বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র হিসেবে নয়, বরং স্বৈরাচারী শাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে। অধিকার কিংবা দাবিকে দমিয়ে দিয়ে নয়, বরং স্বাধীনতা প্রসারিত করার মধ্য দিয়েই দেশে স্থিতিশীলতা আনতে হবে। তবে এসব বাণীসুধা খুব বেশি দিন বহাল থাকেনি।

২০১০ সালের গণভোট ও ২০১১ সালের নির্বাচনে একেপির বড় ধরনের বিজয় অর্জনের পর সামরিক বাহিনীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন এরদোয়ান। তখন থেকেই দলটির উদারপন্থি কথাবার্তা ফিকে হয়ে আসে। জেঁকে বসতে শুরু করা রক্ষণশীলতা পুরোভাগে এসে দাঁড়ায়। তারপর থেকে অবস্থার অবনতি ঘটতেই থাকে। ২০১৩ সালের গণবিক্ষোভ এবং তারপর দুর্নীতির তদন্তে একেপি প্রথমবারের মতো তার ক্ষমতার প্রতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। দলটি তখন সেই স্বৈরাচারী নীতির আশ্রয় নেয়, যার বিরোধিতায় তারা ছিল অভ্যস্ত।

২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানকে দমন-পীড়নের হাতিয়ার বানাতে সমর্থ হন এরদোয়ান। তুর্কি সেনাবাহিনীর একাংশ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের শাসনভার নেওয়ার দাবি দেশটির টেলিভিশনে প্রচার করে। মধ্যরাতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়ে ডানপন্থি সরকার উচ্ছেদের দাবি করে তারা। আর সব অভ্যুত্থানের মতো করেই তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ তুরস্কের ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। টেলিভিশনে পড়ে শোনানো সেই বিবৃতিতে কারফিউ ও সামরিক আইন জারি রেখে ‘শান্তি পরিষদ’ দেশ চালাবে বলে জানানো হয়। বিদ্যমান বৈদেশিক সব সম্পর্ক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকে প্রাধান্য দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়। কারফিউর বিরোধিতা করে এরদোয়ানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এলে শুরু হয় সংঘর্ষ। শেষ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর সব অংশের সমর্থন না থাকা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তৎপরতায় জনগণ রাস্তায় নেমে এলে বিদ্রোহী সেনাদের উদ্যোগ ভেস্তে যায়। শুরু হয় দ্বিতীয় ক্যু। অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত অভিযোগে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন শুরু করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। কারাবন্দি করেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে। চাকরিচ্যুত হন এক লাখেরও বেশি সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাংবাদিক ছাড়াও রয়েছেন সেনা, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বন্ধ করে দেওয়া হয় অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের অন্তত ১৫০টি সংবাদমাধ্যম।

ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এরদোয়ান তুরস্কে গণভোটের আয়োজন করেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সেই গণভোট বিশ্ব ইতিহাসের এক নজিরবিহীন ঘটনা। নতুন প্রস্তাবিত সংবিধান অনুসারে, নির্বাহী প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। সেই হিসেবে এবার ক্ষমতায় আসা এরদোয়ান এবারের পর আরেকবার প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।  গণভোটে সংশোধিত সংবিধানে প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাজ করতে একাধিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এরদোয়ান। এখন থেকে এরদোয়ান একাই জরুরি অবস্থা জারি করতে পারবেন, ভেঙে দিতে পারবেন পার্লামেন্ট। পার্লামেন্ট আর মন্ত্রীদের ব্যাপারে তদন্ত করতে পারবে না। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।

রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনের বাস্তবতা, কিংবা হাঙ্গেরির ভিক্টর ওরব্যানের শাসন বাস্তবতার মতোই তুরস্কে এরদোয়ানের শাসনকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক ভাবনাচিন্তায় ‘ম্যানেজড ডেমোক্র্যাসি’ নামে ডাকা হয়ে থাকে। সংবিধান সংশোধন, ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানকে যাবতীয় বিরোধী মতামত দমনের হাতিয়ার বানানোর পাশাপাশি প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যমগুলোর লাগাম টেনে ধরেছিলেন এরদোয়ান। অপ্রস্তুত বিরোধী দলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এরদোয়ান আগাম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিরঙ্কুশ করলেন তার ক্ষমতা। তবে বিস্মিত হওয়ার মতো ঘটনা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিজের করায়ত্ত করার ‘এরদোয়ানী’য় প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তুরস্কের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা জনতার প্রায় অর্ধেকাংশ।  তাই এরদোয়ানোর ক্ষমতা কতটা নিরঙ্কুশ হলো, তা প্রশ্নাতীত নয়।

রবিবার (২২ জুন) মধ্যরাতেই এরদোয়ানের বিজয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া  গেলেও তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কট্টর ইউরোপবিরোধী ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি-এমএইচপি’র সঙ্গে জোট করে তাদের সংসদের নেতৃত্ব ধরে রাখতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল একটি বিরোধীদলীয় বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা তাই সম্ভব হয়নি। কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এইচডিপি’র ১০ শতাংশ আসনও কমাতে পারেনি এরদোয়ানের দল। সিরীয় গৃহযুদ্ধে এরদোয়ানের ব্যর্থতা আর তার ইসরায়েল-ঘেঁষা ভূমিকাকে প্রচারণার উপজীব্য করে তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী সেক্যুলার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি- আরপিপির নতুন নেতা মুহারেম ইনসে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।

নির্বাচনের ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণে নিতে সম্ভাব্য সব পথই অবলম্বন করেছেন এরদোয়ান। কুর্দি কিংবা সেক্যুলার যে ধারারই হোক না কেন; বিরোধী ধারার রাজনৈতিক দলকে দমন করতে, তারা যেন সংসদে তার দলের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এরদোয়ান নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। গণভোটে সংশোধিত সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর। নিজের নির্বাহী ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে সংশোধিত সেই সংবিধানকে লঙ্ঘন করে অপ্রস্তুত বিরোধী দলকে বিপাকে ফেলে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তার সরকার। ফলাফল হিসেবে সংবিধান-নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই মহাক্ষমতাধর নির্বাহী প্রেসিডেন্টের পদটি হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এই নির্বাচনে অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি করে বিভক্তি  ছড়িয়েছেন এরদোয়ান। তুর্কি আর কুর্দি (সংখ্যায় ৫ম অবস্থানে) ভোটারদের তিনি বিভাজিত করেছেন বিদ্বেষের বীজ ছড়িয়ে। মজার ব্যাপার হলো, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ধাপে কুর্দিদের দাবিদাওয়ার প্রতি সমর্থন ছিল এরদোয়ানের। কুর্দি বর্ণমালা অনুমোদন, তাদের জন্য শিক্ষায়তন গড়ে তোলার পাশাপাশি এইচডিপির মতো রাজনৈতিক দলও গঠন করতে দিয়েছেন তিনি। তবে চলতি দশকে তার ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার বাসনার সমান্তরালে জোরালো হতে থাকে এরদোয়ানের কুর্দিবিরোধী অবস্থান।

১৯৮০’র দশক থেকে নিজ দেশের কুর্দিপন্থি সশস্ত্র দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে তুরস্ক। পিকেকে ও সিরিয়ার আরেক কুর্দিপন্থি দল ওয়াইপিজে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা এবং সিরিয়ার অংশ বিশেষ নিয়ে আলাদা কুর্দিস্তান রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসছে। পিকেকে এবং ওয়াইপিজেকে হটাতে এরদোয়ানের নেতৃত্বে গত বছরের আগস্টে সিরিয়া যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে তুরস্ক। সিরিয়ার কুর্দি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় তুর্কি সেনাবাহিনী। রবিবারের বিজয় ভাষণে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এরদোয়ান ‘সিরীয় ভূমিকে আরও মুক্ত করতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার’ কথা ঘোষণা করেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় নির্বাচনে অনেক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। এতসব দমন-পীড়ন সত্ত্বেও কুর্দিপন্থি হালকারাম ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এইচডিপি) রবিবারের নির্বাচনে ১১ দশমিক ০৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। প্রধান দুই জোটের কোনোটির শরিক না হয়েও সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে দলটির ৬৭ সদস্য। সব মিলে বাহ্যত এরদোয়ানের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হলেও ভেতরে ভেতরে তাকে ঠিকই মানতে হচ্ছে, দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ বিপুল নির্বাচনি ম্যানুপুলেশন সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিয়েছে। এই অর্ধেক দেশবাসীকে উপেক্ষা করে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ঠিক কতদিন ধরে রাখতে পারবেন, তা নিশ্চিত নয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যত নিরঙ্কুশই হোক, এই ধারার ক্ষমতার অবশ্যম্ভাবী গন্তব্য ‘পতন’।

লেখক: ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ, বাংলা ট্রিবিউন

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ