X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

তাহলে কি ড. কামাল হোসেন গং হেরে যাচ্ছেন?

আবদুল মান্নান
১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:০৬আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:১০

আবদুল মান্নান

বাংলায় একটা কথা আছে ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। এই কথাটি রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি পরিচিত পরিভাষা। কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তখন এটা আরও বেশি সত্য। ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। তার যা কিছু অর্জন ওই বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায়। তাঁর মৃত্যুর পর ড. কামাল হোসেন দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নির্বাসিত ছিলেন। জিয়া ও এরশাদ আমলে আওয়ামী লীগ তাঁকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিল। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ড. কামাল হোসেনের নিজের কোমরে তেমন জোর নেই। যেহেতু তিনি একজন সফল আইনজীবী সেহেতু তিনি পেশার কারণে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়— এমন মামলা নিতেও কসুর করেন না। এশিয়া এনার্জি বনাম বাংলাদেশ মামলা তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। সম্প্রতি তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের’ নামে। এটি পোশাকি নাম। আসল  নাম ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ‘শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে হবে পার্টি’। সঙ্গে নিয়েছেন আরও কিছু ফ্লপ রাজনীতিবিদ। এককালের তুখোড় ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব তার সঙ্গে আছেন। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে অন্তর্ঘাতমূলক রাজনীতির মাধ্যমে উৎখাতের জন্য জাসদ প্রতিষ্ঠাদের একজন। তিনিও আছেন ‘শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে হবে পার্টি’তে। মাহমুদুর রহমান মান্না। আরেক তুখোড় ছাত্রনেতা। দলবদলের রাজনীতিতে তিনি ব্যারিস্টার মওদুদের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম। ছয়বার দলবদল করেছেন বলে প্রকাশ। শেখ হাসিনা তাকে একটি রাজনৈতিক পরিচয় দিতে চেয়েছিলেন। নিজ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক করেছিলেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০০১ সালে বগুড়ায় মান্নাকে তার নিজের এলাকা থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নও দিয়েছিলেন। শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। ইমানের জোর কম ছিল বলে নিজে ‘নাগরিক ঐক্য’ বলে একটা দল করেছিলেন। নিজের বাইরে কাকে নিয়ে ঐক্য করেছেন তা বোঝার আগেই এখন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়ে নিয়মিত চোঙ্গা ফুঁকছেন।

ড. কামাল হোসেনের ‘শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে হবে পার্টি’তে আরও কিছু তামাদি রাজনীতিবিদ যোগ দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বহারা বিএনপি’র হাল ধরেছেন, আর তার সঙ্গে ঝুলে পড়েছে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও নির্বাচনে কমিশনে নিবন্ধন হারানো যুদ্ধপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী। যদিও তিনি শুরুতে বলেছিলেন তার দলের সঙ্গে জামায়াতের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। তার মতো একজন মানুষ এখন বিএনপি নেতাদের পাশে বসে একাত্তরের এই তস্করদের নিয়ে দেশে গণতন্ত্র উদ্ধারের ফাঁকা বুলি আওড়ান। বলতে হয়, তিনি তাদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবেন। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা তার অবস্থান পরিষ্কার করতে বললে, তিনি শুধু রেগে যান তা-ই নয়,ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং এমন ভাষায় সাংবাদিকদের ধমক দেন— যেন তারা তার বাড়ির চাকর-বাকর। হুমকি দিয়ে বলেন— তিনি দেখে নেবেন। তিনি কী দেখবেন তা পরিষ্কার নয়। তিনি সাংবাদিকদের খুবই অশালীন ভাষায় বলেন, এ ধরনের প্রশ্ন করার জন্য তারা কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন। সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশ্ন ওঠে জামায়াত আর বিএনপিকে উদ্ধার করার জন্য তিনি তাদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন। চারদিকে ধিক্কারের রোল উঠলে একদিনের মাথায় তিনি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই তিনি জামায়াত-বিএনপি’র সঙ্গ ছাড়তে রাজি নন। যেকোনও উপায়ে তাঁকে শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে হবে। শেখ হাসিনর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের তিনি এখন প্রধান সেনাপতি।

আ স ম আবদুর রব বর্তমানে ড. কামাল হোসেনের দক্ষিণ হস্ত। সপ্তাহ কয়েক আগে একটি বেসরকারি টিভি টকশোতে একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, জামায়াত সম্পর্কে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী হবে। এতে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। সেই সাংবাদিক বয়সের দিক থেকে আ স ম আবদুর রবের সন্তান তুল্য। ক্ষেপে গিয়ে তিনি তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলেন— তার রাজনীতির বয়স ষাট বছর। তিনি যখন থেকে রাজনীতি শুরু করেছেন তখন সেই সাংবাদিকের পিতারও জন্ম হয়নি। তিনি সেই পুত্রসম সাংবাদিককে নসিহত করেন— টিভি টকশো রাজনীতি করার জায়গা নয়। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, রাজনীতি করতে হলে যেন তিনি (সাংবাদিক) রাজনীতির মাঠে আসেন। ঐক্যফ্রন্টের আর একজন বড়মাপের নেতাকে আরেকদিন অন্য আরেকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশ্ন করেন— জামায়াত প্রশ্নে তাদের অবস্থান কী। তিনিও ক্ষেপে গিয়ে বলেন, যতদিন তিনি এই টিভিতে এসেছেন, তাকে সব সময় জামায়াত-আলবদর যুদ্ধাপরাধী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন— এই বিষয় ছাড়া প্রশ্ন করার অন্য কোনও বিষয় কি নেই। এই ভদ্রলোক ভুলে গেছেন যতদিন বাংলাদেশে একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বেঁচে আছেন, ততদিন এই প্রশ্নটি উঠবে এবং তাদের মতো জ্ঞানপাপীদের এই বিষয়ে তার জবাব খুঁজতে হবে। না হলে বুঝতে হবে তাদের আবাস ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে বিধৌত বাংলাদেশ নয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু আর তাঁর কন্যার কৃপাধন্য। তিনি নিজেই একটা দল আবার বেগম জিয়ার স্বঘোষিত উপদেষ্টা। এখন শেখ ‘হাসিনাকে ফেলে দিতে হবে পার্টি’র সক্রিয় সদস্য। জামায়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে রেগে গিয়ে বলেন, এখন শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে তারা অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। এসব বিষয় নিয়ে তারা দেশের জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চান না। কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে এক পাল্লায় মাপাটা হয়তো যুক্তিসঙ্গত নয়। কিন্তু এই দুজন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনি প্রচার চালাতে গিয়ে বলেন ‘এবারের নির্বাচন বেগম জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন’। মির্জা ফখরুল বা রিজভী আহমেদও এমন খোলামেলাভাবে নির্লজ্জের মতো কথা বলেন না। দুজনই শেখ হাসিনার কৃপাধন্য। আর  ড. কামাল হোসেন তো নিত্যদিন পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগাম ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েই চলেছেন। কোনও প্রশ্ন করলেই তিনি রেগে যাচ্ছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন— শেষ পর্যন্ত তিনি ও তাঁর মিত্ররা নির্বাচনে থাকবেন তো? রাগ চেপে বলেন, মরে গেলেও নির্বাচনে থাকবেন। কীভাবে থাকবেন তা পরিষ্কার নয়। আবার নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।

সবশেষে ড. কামাল হোসেনের রবিবার প্রকাশিত ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে সামান্য উল্লেখ করতে চাই। প্রথমে পুরো ইশতেহার অগোছালো, দায়সারা গোছের এবং এমন সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করে ফেলেছে। যেমন, (ক) তরুণদের কর্মসংস্থান; (খ) শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশে গত ১০ বছরে যে ক’টি খাতে বিপ্লব ঘটেছে, শিক্ষা ও কৃষি তার অন্যতম। ইশতেহারে কৃষিও রাখা হয়েছে। ড. কামাল হোসেন সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন, তিনি যাদের হয়ে মাঠে নেমেছেন, তাদের নেত্রী বেগম জিয়ার আমলে সারের দাবিতে পুলিশের গুলিতে কৃষকের মৃত্যুর খবর। (গ) বেগম জিয়া বিদ্যুতে তিন হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন রেখে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের আমলে তা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে আরও ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। (ঘ) সরকার বৃদ্ধভাতা অনেক আগেই চালু করেছে, বর্তমানে তা ২০০ টাকা হতে ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এটির বৃদ্ধি একটা চলমান প্রক্রিয়া। কেউ এখন আর খালি পেটে ঘুমাতে যায় না। (ঙ) ২৫ নম্বর ডিজিটাল বিষয়ের ধারাটি হাস্যকর। শেখ হাসিনাই তো বাংলাদেশকে ডিজিটাল যুগে নিয়ে গেছেন। ড. কামাল হোসেন গংয়ের আর করার কী আছে। (চ) প্রতিরক্ষা বিষয়ে ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, রাজনৈতিক নেতাদের অধীনে একটি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করা হবে। এই রকম কথা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর খোন্দকার মোশতাক বলেছিলেন। তবে ড. কামাল হোসেন যখন ইশতেহারে বলেন তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য চালিয়ে যাবেন, তখন কী একবারও তার মনে হয়নি তিনি যাদের নিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন, তারা ২২ জন জামায়াত আর সাতজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তানকে ধানের শীষ নিয়ে তার দলের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন। ড. কামাল কী ভুলে গেছেন দেশে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চলছিল, তখন বেগম জিয়া একাধিক জনসভায় বলেছিলেন— এসব বিচার রাজনৈতিক এবং তিনি দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাকা চৌধুরীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মুক্তি দাবি করেছিলেন। তিনি কীভাবে ভোলেন এই বেগম জিয়া যার মুক্তি দাবি করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন, তাদের দুজন মতিউর রহমান নিজামী আর আলী আহসান মুজাহিদকে (মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হয়ে দুজনেরই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে) তার মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই দিয়েছিলেন। ইশতেহার পাঠের সময় ড. কামাল হোসেনের গাঘেঁষে ডানদিকে যিনি বসেছিলেন, তার সম্পর্কে সব তথ্য কি তার কাছে আছে? এসব কোনও কিছুরই ব্যাখ্যা দিতে ‘শেখ হাসিনাকে ফেলে দিতে হবে’ পার্টি রাজি নয়। তবে প্রশ্ন করলে ডা. জাফরুল্লাহ বলে উঠবেন, ‘জাতিকে বিভক্ত করবেন না। আমরা এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে ব্যস্ত’। বলতে ইচ্ছা করে—‘ভাই দেশে বর্তমানে এমন গণতন্ত্র বিদ্যমান যে যারা দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, তারাও এখন দেশের সংসদ সদস্য হতে পারে, আর তাদের অবর্তমানে তাদের সন্তানদের জন্যও এই সুবিধা আছে’। এমন গণতন্ত্র আর কোথাও কি আছে? আর বাকস্বাধীনতা? তাদের যেকোনও চ্যানেলের টকশো শুনলে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে— বাকস্বাধীনতা বাংলাদেশে এখন লাগামহীন হয়ে পড়েছে। না হলে ডা. জাফরুল্লাহ সেনাপ্রধান সম্পর্কে ডাহা মিথ্যা মন্তব্য করে কীভাবে এখনও জেলের বাইরে আছেন? ধানের শীষের প্রার্থীরা পুলিশের বিরুদ্ধে নিয়মিত উসকানি দেয়, নিজেরা-নিজেরা মারামারি করে থানা ঘেরাও করতে দলীয় নেতাকর্মীদের হুকুম দেয়, জেলের তালা ভেঙে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করে আনার আগাম ঘোষণা দেয় এবং এতকিছুর পরও তাদের নিয়ে ড. কামাল হোসেন এই বয়সে রাজনীতি করেন। মঙ্গলবার (১৮ডিসেম্বর) বিএনপি তাদের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছে। মির্জা ফখরুলকে ধন্যবাদ দিতে হয়। কারণ, তাদের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি। এ ব্যাপারে তাদের সততা ড. কামাল হোসেনের চেয়ে বেশি বলতে হয়। সার্বিক বিচারে বলতে হয়— অসৎ সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের সর্বনাশ হয়েছে এবং তাকে যে মিশন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট মাঠে নামিয়েছে, অচিরেই তাকে তারা টয়লেট পেপারের মতো ছুঁড়ে ফেলে দেবে।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক

/এপিএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
রেলের প্রতিটি টিকিটের জন্য গড়ে হিট পড়েছে ৫ শতাধিক
রেলের প্রতিটি টিকিটের জন্য গড়ে হিট পড়েছে ৫ শতাধিক
একসঙ্গে ইফতার করলেন ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ সব ছাত্রসংগঠনের নেতারা
একসঙ্গে ইফতার করলেন ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ সব ছাত্রসংগঠনের নেতারা
শনিবার সকালে আবার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের
শনিবার সকালে আবার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের
ইসরায়েল যা যা অস্ত্র চেয়েছিল সব পায়নি: মার্কিন সেনাপ্রধান
ইসরায়েল যা যা অস্ত্র চেয়েছিল সব পায়নি: মার্কিন সেনাপ্রধান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ