X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্ট, প্রধানমন্ত্রী

আমীন আল রশীদ
০৮ জুলাই ২০১৯, ২০:০৭আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৯, ২০:০৮

আমীন আল রশীদ একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম ছিল ‘প্রেমিকাকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা!’ (১৮ জানুয়ারি ২০১৬)। খবরে বলা হয়, রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের অদূরে সার্ক ফোয়ারার সামনে ‘ফিরিয়ে দাও আমারই প্রেম...এভাবে চলে যেও না’ লেখা একটি পোস্টার হাতে নিয়ে সালেহ নামে এক যুবক দাঁড়িয়েছিলেন। ওই পোস্টারে লেখা ছিল—‘হে মহান প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক জানতে চাই, কোন অপবাদে আমার ওপর এই ডিজিটাল যুগে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালানো হচ্ছে। আপনি নিজ উদ্যোগে এর সমাধান করবেন। না হলে আমি বাসায়ও ফিরবো না আর এক ফোঁটা পানিও পান করবো না। হে দেশরত্ন দেশের আইন কি সব নারীর জন্য?’ সাংবাদিককে ওই যুবক বলেন, একটি পরিবার তাকে দুই বছর ধরে হয়রানি করছে। ওই পরিবারের একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে আপত্তি জানায় পরিবার। এমনকি তাকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই অভিনব প্রতিবাদ।
প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়ার এমন নজির দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আছে কিনা সন্দেহ। বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে হাস্যরসের কিংবা পরিহাসের হলেও এখানে একটি নির্মম বাস্তবতাও রয়েছে যে, অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে গেছে, এখন একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়েও মানুষ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছে— যার সবশেষ উদাহরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে তার মায়ের সংবাদ সম্মেলন এবং সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভকে অপহরণের পর তাকে ফিরে পেতেও একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয় এবং নিখোঁজের ১১দিন পর সৌরভকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করা হয়।

এরকম অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। ফলে যে প্রশ্নটি প্রধানত সামনে আসে তা হলো, সব সমস্যার সমাধান যদি প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কী কাজ বা তারা আদৌ কোনও কাজ করে কিনা?

মৌলভীবাজারে সেতু ভেঙে ট্রেন খালে পড়ে কয়েকজন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক যাত্রী আহত হওয়ার পরদিন প্রধানমন্ত্রীকেই নির্দেশ দিতে হয়েছে যেন পুরনো সব রেল ও সড়ক সেতু পরীক্ষা করে দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অথচ ওই সেতু এবং রেললাইনটি অনেকদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং রেল কর্তৃপক্ষও তা জানতো। কিন্তু সংস্কারের উদ্যাগ নেওয়া হয়নি। এখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, অতএব কাজ শুরু হবে। তার মানে প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত রাষ্ট্রের কোনও প্রতিষ্ঠান কোনও বিষয়ে উদ্যোগী হবে না–এটা এখন স্বতঃসিদ্ধ হয়ে গেলো?

একই কথা হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতের ক্ষেত্রেও। সেখানে রাষ্ট্রের এমন বিষয় নিয়ে মানুষজন যাচ্ছে এবং হাইকোর্টকে এমন সব বিষয়ে নির্দেশনা দিতে হচ্ছে যে, তাতে মনে হচ্ছে হাইকোর্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতর ছাড়া বুঝি রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানই নিশ্চল। পবিত্র শবে বরাত দিনক্ষণ নিয়ে বিপত্তি দেখা দিলে তা নিয়েও একটি পক্ষ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন নির্দেশনার জন্য। কিন্তু বিচারক বলেছেন, এরকম ধর্মীয় বিষয় নিয়ে তারা কোনও নির্দেশনা দেবেন না।

ফুটপাতে মোটরসাইকেল ওঠানো যাবে না–এমন নির্দেশনাও হাইকোর্টকে দিতে হয়েছে। অথচ ফুটপাতে যে মোটর সাইকেলে ওঠানো যাবে না, এটি সাধারণ নাগরিক ভব্যতা এবং এই কাজ বন্ধের জন্য ট্রাফিক পুলিশই যথেষ্ট। অথচ এরকম একটা অতি সাধারণ বিষয়েও উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়েছে। ফলে প্রশ্ন ওঠে, বিআরটিএ বা ট্রাফিক পুলিশ কি তাহলে নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করছে না বা করতে পারছে না? যদি না পারে তাহলে তার কারণ কি অনুসন্ধান করা হয়েছে?

হাইকোর্টের ওই নির্দেশনার পরেও কি ফুটপাতে মোটর সাইকেল উঠিয়ে দেওয়া বন্ধ হয়েছে? মোটেও না। যখনই মূল রাস্তায় জ্যাম তৈরি হয়, মোটর সাইকেলগুলো নির্বঘ্নে ফুটপাতে উঠে যায় এবং এ নিয়ে পথচারীদের কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো মোটরসাইকেল চালকের ধমক খেতে হয়। এই লেখকেরও সেই অভিজ্ঞতা আছে। গত ২৫ জুন হাইকোর্ট একটি রিট আবেদনের শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএ পুরোপুরি ব্যর্থ। উচ্চ আদালদের এমন প্রতিক্রিয়ার পর জনগণের পয়সা পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিআরটিএ কি লজ্জিতবোধ করবে? আমাদের রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থাগুলোর আদৌ কি কোনও লজ্জা আছে? খাদ্যের মান নির্ণয়কারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইকেও ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট, তাতে তারা কি মোটেও লজ্জিতবোধ করেছে?

রাবেয়া খাতুন নামে এক অশীতিপর বৃদ্ধা ১৭ বছর ধরে একটি অস্ত্র মামলার আসামি হিসেবে আদালতে ঘুরছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তিনি পান বিক্রি করতেন। অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে তেজগাঁও থানার এসআই  আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ২০০২ সালে। ছয় মাস কারাগারে থেকে জামিন পান রাবেয়া খাতুন। বহু বছর পরে বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনা হলে গত ২৬ জুন হাইকোর্ট এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন। যেহেতু হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছেন, অতএব আশা করা যায় দ্রুত এর একটা সুরাহা হবে। যেমন বিনা বিচারে আটক অনেক আসামি এবং ভুল আসামি জাহালমও হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের কাজটা সততা ও আন্তরিকতার সাথে করলে এরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না।

এর বাইরে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, বাজার থেকে ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রত্যাহার, নদী ও পরিবেশ রক্ষা, সড়ক থেকে বিপজ্জনক খুঁটি সরানো, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ, ওয়াসার পানি পরীক্ষা, রাজধানীবাসীকে ধুলোবালির হাত থেকে বাঁচাতে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানোর মতো নির্দেশনাও হাইকোর্টকে দিতে হয়েছে। অথচ এর সবই রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারির কথা এবং কোথাও কোনও অসঙ্গতি পেলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। ফলে যখন এসব সাধারণ বিষয়েও নির্দেশনা পেতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে হাইকোর্টে যেতে হয় এবং আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয় তখন সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে, সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কি করছে?

২.

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে আসা যাক। শুরুতেই প্রেমিকাকে ফিরে পেতে যুবকের পোস্টারসহ রাস্তায় দাঁড়ানো, একজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে নিজের মাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগ্নে সৌরভকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এর  বাইরেও বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষা, মুমূর্ষু রোগীর সুচিকিৎসা, নদীরক্ষার হাত থেকে বাঁচানো, ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ ঠেকানো, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ এমনকি তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের বিরোধ নিরসনের মতো বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে এবং এর অনেক বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন। এবং অবস্থাটা এখন পর্যায়ে গেছে যে, বড় কোনও বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা না বলা বা নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নড়ে না। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দ্রুত এর চার্জশিট হওয়ার পেছনে এই ঘটনায় শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সোচ্চার থাকা একটি বড় কারণ বলে মনে করা হয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব নিয়ে যখন নানা ফোরামে সমালোচনা হচ্ছে, তখন এই সমস্যা সমাধানেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের অনেকেই বাজেট আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ফলে প্রশ্ন ওঠে, এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে, যেখানে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষ এই সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে হুট করে দ্বিগুণ উৎসে করা বসানোর আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট  বিভাগ কি যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজনবোধ করেনি?

অবশ্য সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর বাড়ানো-কমানোর মতো জাতীয় ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা অস্বাভাবিক না হলেও ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেখা গেলো বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলা লিংকের কর্মী ছাঁটাই বন্ধেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এরকম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরণীয় সমস্যাও যদি প্রধানমন্ত্রীকে সমাধান করতে হয় তাহলে এই প্রশ্নও ওঠাও সঙ্গত যে, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পয়সা কামানো ছাড়া আর কি কিছু করে না?

শুধু ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ই নয়, নিজেদের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে গত সংসদে সরকারের শরিক এবং বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান। ফলে তখন প্রশ্ন উঠেছিল, জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ আসলে কার হাতে? মন্ত্রিসভায় থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যরা পদত্যাগ করবেন কিনা, সেটি তো দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হবে কেন?

এভাবে সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা বা সহায়তা চাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে এই যে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মুহূর্তে সবার ভরসাস্থল এবং তিনি চাইলে যেকোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব। আবার তিনি যেহেতু বেশ সংবেদনশীল এবং সমসাময়িক সব বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখেন ও কথা বলেন, সে কারণে প্রেমিকাকে ফিরে পাওয়া থেকে শুরু করে নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান দাবি পর্যন্ত সবকিছুতেই তার হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন নাগরিকরা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের এই যে আস্থা; সবাই যে মনে করছে যে তিনি চাইলেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব, সেটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে আমরা বরং এই প্রত্যাশা করতে পারি যে, দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রের বিকাশ এবং নাগরিকের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা তথা ভিন্ন মত চর্চার পথ থেকে সব ধরনের বাধা দূর করতে তিনি সচেষ্ট হবেন।সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের সবকিছুকে এককেন্দ্রিক না করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও ভারসাম্যপূর্ণ করে গড়ে তুলবেন–যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র দেখতে পায়।

লেখক: বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

 

/এসএএস/এমএনএইচ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ