X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস…’

প্রভাষ আমিন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:০৬আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৩১

প্রভাষ আমিন এনটিভির জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ছিল ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’। প্রথমে অনুষ্ঠানটির প্রোডিউসার ছিলেন তানভীর খান। দ্বিতীয় বা তৃতীয় মৌসুমে প্রোডিউসার হন সুপন রায়। একদিন সুপন বললেন, দাদা সময় করে এফডিসিতে এসে শুটিং দেখে যান। খুব আগ্রহ নিয়ে গেলাম। যদিও গিয়ে শুটিংয়ের লম্বা বিরক্তিকর প্রক্রিয়া দেখে হতাশ হয়েছি। সেখানেই প্রথম দেখা হয় সঙ্গীতশিল্পী খুরশীদ আলমের সঙ্গে। খুরশীদ আলম নিছক একটি নাম নয়, একজন কিংবদন্তিও। খুরশীদ আলমের সঙ্গে পরিচয়ের মুহূর্তটি কখনো ভুলবো না। আমার যে শিহরণ হয়েছিল, তা এখনও অনুভব করি। কারণ আমার শৈশব খুরশীদ আলমময়।
ছেলেবেলায় আমাদের বাসায় বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল একটি রেডিও। সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান ‘দুর্বার’, রেডিও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘উত্তরণ’, অনুরোধের আসর ‘চাওয়া-পাওয়া’ বা ‘গানের ডালি’তেই মহা আনন্দে কেটে যেতো আমাদের সময়। একটা রেডিও নিয়ে আমাদের ছয় ভাই-বোনে কাড়াকাড়ি লেগে যেতো। শীতের রাতে লেপের নিচে কানের কাছে রেডিও নিয়ে প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যাওয়ার আনন্দটা আজকের ইউটিউব প্রজন্ম বুঝবেই না। সত্তর ও আশির দশকজুড়ে প্লেব্যাক সিঙ্গার মানেই ছিলেন খুরশীদ আলম। যত হিট গান, সব যেন তিনি একাই গেয়েছেন।
আমাদের ছেলেবেলায় দৈনিক পত্রিকা মানেই ছিল ইত্তেফাক, সাপ্তাহিক মানেই বিচিত্রা, মোটরসাইকেল মানেই হোন্ডা। কেউ ইয়ামাহা কিনে আনলেও সবাই বলতো, তোর হোন্ডাটা সুন্দর হয়েছে। তেমনি পুরুষ শিল্পী মানেই যেন খুরশীদ আলম। তো সেই খুরশীদ আলমকে সামনাসামনি দেখে আমি বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলাম। পরে আরও পরিচয়ে, আড্ডায় দেখেছি, খুরশীদ আলম প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর একজন মানুষ। বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে এই ৭৪-এও তিনি জীবন থেকে মজাটুকু নিংড়ে নেন। তার সঙ্গে কিছুক্ষণ থাকলে যে কেউ চাঙা হয়ে যাবেন।
বলছিলাম, খুরশীদ আলমকে প্রথম দেখার কথা। সেদিন এফডিসিতে খুরশীদ আলম বারবার আমাকে তাগাদা দিচ্ছিলেন, দাদা একটু বলে আমাকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমি ভাবলাম, তার বুঝি কোনও তাড়া আছে। কিন্তু আমাকে চমকে দিয়ে খুরশীদ আলম বললেন, বেশি রাত হলে সিএনজিতে যাওয়া বিপজ্জনক। আগে একবার ছিনতাইকারী ধরেছিল। শুনে লজ্জায় মুখ লুকাই। আমার জন্মের বছর, মানে ১৯৬৯ সালে যিনি প্লেব্যাক শুরু করেছেন, প্রায় ৪৫০ ছবিতে যিনি গেয়েছেন, যার অসংখ্য গান এখনও বাংলার আনাচে-কানাচে মানুষের মুখে মুখে, যার গান রিমিক্স করে নতুন প্রজন্মের কেউ কেউ গাড়ি কিনে ফেলেছেন; সেই খুরশীদ আলমকে কিনা মধ্যরাতে সিএনজিতে বাসায় ফেরা নিয়ে টেনশন করতে হয়! তার মতো গুণী শিল্পী সিএনজিতে চড়েন, আর আমার মতো প্রায় মূর্খ সাংবাদিক অফিসের দেওয়া গাড়ি হাঁকাই; ভেবেই লজ্জায় মুখ লুকাই। ক’দিন আগে আরেক অনুষ্ঠানে দেখা। আমার নম্বর সেভ করা আছে কিনা, চেক করতে ফোন বের করলেন। দেখে আবার আমি লজ্জায় মুখ লুকাই। নোকিয়ার অনেক পুরনো বেসিক ফোন। আমি তাড়াতাড়ি আমার স্যামসাংয়ের দামি ফোনটি পকেটে লুকাই। অথচ আমি জীবনে যতবার খুরশীদ আলমের গান শুনেছি, আনন্দ পেয়েছি; এক টাকা করে হিসাব করলেও এমন একটা দামি ফোন আমারই তাকে গিফট করা উচিত ছিল।

এই যে খুরশীদ আলম আমার এত প্রিয়, কিন্তু তার গান শোনার জন্য জীবনে আমি এক টাকাও বিনিয়োগ করিনি। তাহলে তার চলবে কী করে? ভক্তের ভালোবাসায় তো শিল্পীর পেট ভরবে না। তার বিয়ে করতে টাকা লাগবে, সংসার করতে টাকা লাগবে, চিকিৎসা করতে টাকা লাগবে। কে দেবে টাকা? আমরা তো দেবোই না। উল্টো কেউ দিলে আমাদের চোখ টাটায়, সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেই। এই প্রসঙ্গ এলো ক’দিন আগে আরেক প্লেব্যাক সম্রাট অ্যান্ড্রু কিশোরের অসুস্থতায়। প্রধানমন্ত্রী তাকে চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন, এই খবরে ফেসবুকে যেন সমালোচনার সুনামি বয়ে গেলো। অ্যান্ড্রু কিশোরের মতো জনপ্রিয় শিল্পীকে কেন অনুদানের টাকা নিতে হবে, তার কী অসুখ হয়েছে, তাকে দেখে তো অসুস্থ মনে হচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি নিষ্ঠুর সমালোচনা। পরে জানা গেলো, অ্যান্ড্রু কিশোর ছেলেবেলা থেকেই হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন। সেই সমস্যাটা ইদানীং বেড়েছে। খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকে পাঠান এবং ১০ লাখ টাকার চেক দেন। অ্যান্ড্রু কিশোর নিতে চাননি। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি বড় বোন হিসেবে দিচ্ছি। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বড় বোন হিসেবে কাউকে কিছু দেন, তখন সেটা না নেওয়া বেয়াদবি। অ্যান্ড্রু কিশোর বেয়াদবি করেননি। অ্যান্ড্রু কিশোরের অসুস্থতা নিয়ে যাদের সন্দেহ ছিল, তাদের জন্য বলি, তিনি এখন সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী যে শিল্পীদের টাকা দেন, তা নিয়েও অনেকের আপত্তি। তাদের দাবি, জনগণের টাকাই তো প্রধানমন্ত্রী দিচ্ছেন। তাতে সমস্যা কোথায়? প্রধানমন্ত্রী তো খারাপ কিছু করছেন না। প্রধানমন্ত্রী যদি শুধু দলীয় শিল্পীদের সাহায্য করতেন, তাহলে আমিও আপত্তি করতাম। কিন্তু তিনি দলমত নির্বিশেষে সব শিল্পীর পাশেই আছেন। বিএনপির রাজনীতির অনুসারী আমজাদ হোসেন অসুস্থ হলে শেখ হাসিনা তার ছেলেদের ডেকে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। যদিও বাঁচানো যায়নি, তবুও আমজাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন শেখ হাসিনাই। জাসাস নেতা আহমেদ শরীফ কদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নিয়েছেন।
কবি হেলাল হাফিজের চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন শেখ হাসিনা। তখন অনেকে তাকে বিএনপিপন্থী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন। আচ্ছা মানলাম, হেলাল হাফিজ বিএনপি। তাই বলে কি তার চোখের চিকিৎসা হবে না? বাংলাদেশে হেলাল হাফিজ আর নির্মলেন্দু গুণের লাখো ভক্ত আছে। আপনারা কি জানেন, আপনাদের প্রিয় এই দুই কবি কী করেন, কী খান, কোথায় থাকেন? তারা মরে গেলে আপনারা চোখের জলে বুক ভাসাবেন, শোক সভায় বিশেষণের পর বিশেষণ দেবেন, টেবিল ভেঙে ফেলবেন থাপ্পড় মেরে; যেমনটা এখন করছেন কাজী নজরুল বা জীবনানন্দ প্রসঙ্গে। বেঁচে থাকলে খোঁজ নেবেন না, মরে গেলে কাঁদবেন। এ কেমন বৈপরীত্য! আমি আপনাদের জানাচ্ছি, হেলাল হাফিজ ও নির্মলেন্দু গুণ দীর্ঘদিন ধরে বেকার। হেলাল হাফিজ তোপখানা রোডের একটা হোটেলে থাকেন, প্রেস ক্লাবে খান। নির্মলেন্দু গুণ দীর্ঘদিন কামরাঙ্গীরচরে একটা বস্তিতে থাকতেন। সম্প্রতি সেখানেই একটা ছোট্ট বাড়ি বানিয়েছেন। ভাগ্যিস হেলাল হাফিজ আর নির্মলেন্দু গুণ সংসারী নন। দেশের দুই জনপ্রিয় শিল্পী আর কবিরই এই অবস্থা, আরও কত কম জনপ্রিয় শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক কোথায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে; তার খবর কে রাখে। একবার সাভার সিআরপিতে গিয়ে দেখি একসময়ে ফোক ছবির জনপ্রিয় নায়ক সাত্তার হুইল চেয়ারে বসে আছেন। বাংলাদেশ শুধু নয়, উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সুরকার আলাউদ্দিন আলী এখন শয্যাশায়ী। আপনি জানেন?

মান্না দে’র একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো—

একদিন শহরের সেরা জলসা
সেদিনই গলায় তার দারুণ জ্বালা
তবুও শ্রোতারা তাকে দিল না ছুটি
শেষ গান গাইলো সে পড়ে শেষ মালা
শিল্পের জন্য শিল্পী শুধু
এছাড়া নেই যে তার অন্য জীবন। 

আসলেই শিল্পীরা যেন শুধু গেয়ে যাবেন, জীবন দিয়ে দেবেন;  তাদের অন্য জীবন থাকতে নেই, পেট থাকতে নেই, সংসার থাকতে নেই, অসুখ থাকতে নেই। অ্যান্ড্রু কিশোর প্রসঙ্গে অনেকে বলেছেন, তিনি এত জনপ্রিয়, জীবনে এত টাকা কামালেন। সে টাকা কই। তারা জনপ্রিয় মানলাম, কিন্তু কত টাকা কামিয়েছেন? আজকের বাজারদরে খুব জনপ্রিয় একজন শিল্পী একটি গানের জন্য ১৫-২০ হাজার টাকা পান। এই টাকা  কিন্তু তারা একবারই পান। এরপর এই গান যত লক্ষবারই বাজুক, শিল্পীর তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি জীবনে যতবার খুরশীদ আলম বা অ্যান্ড্রু কিশোরের গান শুনেছেন, ততবার এক টাকা করে দিলে তাদের আর কারও সাহায্য লাগতো না। বাংলাদেশে এই রয়্যালটি সিস্টেম নেই, ধারণাই নেই। শিল্পীদের কোনও পেনশন নেই, কোনও অবসর নেই। যতক্ষণ আপনি গাইতে পারছেন, অভিনয় করতে পারছেন, লিখতে পারছেন; ততক্ষণই আপনার দাম। এরপর কেউ খোঁজও নেবে না। এ বড় অনিশ্চয়তার জীবন।
আপনার গলা শেষ তো আপনি শেষ। আশির দশকে প্রকাশিত যার অ্যালবাম আমার এখনও ঠোঁটস্থ, সেই তপন চৌধুরী কেন অস্ট্রেলিয়ায় সেটেল করে আপনি কখনও খোঁজ নিয়েছেন? কাদেরি কিবরিয়া বা রথীন্দ্রনাথ রায়রা কেন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন খোঁজেন? নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন। কোন শিল্পীর পেছনে আপনি কয় টাকা বিনিয়োগ করেছেন? কয়টা অ্যালবাম কিনেছেন আর কয়টা কপি মেরেছেন। এখনকার প্রজন্মের শিল্পীরা তবু ইউটিউবে ভিউ গুনে কিছু টাকা পান, খুরশীদ আলম-অ্যান্ড্রু কিশোরদের আমলে তো তাও ছিল না। খুরশীদ আলমের হাতের ফোন সেট দেখেই বুঝেছি, তিনি অ্যানালগ জমানার মানুষ, ইউটিউবের ধার তিনি ধারেন না। 

একটা সময় শিল্পীরা কামাই করে, কিন্তু সঞ্চয় করে না। তারা তো আমাদের মতো গোছানো নয়; ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজার, জমিতে তাদের বিনিয়োগ নেই; তাদের বিনিয়োগ শিল্পে। কিন্তু সেই বিনিয়োগের কোনও রিটার্ন তারা পান না, বিনিময়ে পান কটাক্ষ, বিদ্রূপ আর অবহেলা। এতই নিষ্ঠুর আমরা। শিল্পীর তবু নামটা মানুষ জানে, কিন্তু গীতিকার বা সুরকারকে তো আমরা চিনিও না। ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’ মান্না দে‘র গান। এ গানের গীতিকার, সুরকার কে আপনি জানেন? তাদের না আছে পরিচিতি, না আছে অর্থ। 

বলছিলাম বাংলাদেশের প্লেব্যাকে খুরশীদ আলমের যোগ্য উত্তরসূরি অ্যান্ড্রু কিশোরের কথা। ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করে গোটা আশির দশক শাসন করেছেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। আটবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া অ্যান্ড্রু কিশোরের গান শুনে কখনো আপ্লুত হননি এমন মানুষ বাংলাদেশে নেই। তুমুল জনপ্রিয় সব গান তার। কিন্তু তাকে প্রধানমন্ত্রী ১০ লাখ টাকা দেওয়াতে যেমন গেলো গেলো রব উঠেছিল, মনে হচ্ছিল দেশটা বুঝি রসাতলে গেলো। আচ্ছা আপনাদের কি হলমার্ক গ্রুপের কথা মনে আছে। এই গ্রুপটি সোনালী ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দিয়েছিল। আপনারা কেউ বলতে পারেন, ১০ লাখকে কত হাজার দিয়ে গুণ দিলে ৪ হাজার কোটি হয়। আমি অঙ্কে কাঁচা, ৪ হাজার কোটির হিসাব আমার মাথায় ঢোকে না। সেই হলমার্ককে আবার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। শুধু এক হলমার্ক বা সোনালী ব্যাংক কেন, কত গ্রুপ কত হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দিলো তার খবর কে রাখে। বালিশ-পর্দা কাহিনি তো সবাই জানেন। পুকুর কাটা শিখতে কোটি টাকার বিদেশ সফরের কথাও আপনার অজানা নয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ঘুষ দিতে হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। ছাত্রলীগের পদচ্যুত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দাবি করেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে দিয়েছেন এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে না জানিয়ে কেন স্থানীয় নেতৃত্বকে টাকা দেওয়া হলো, এর জবাবদিহি এবং নিজেদের ন্যায্য শেয়ার চাইতে শোভন ও রাব্বানী ভিসির বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে তারা কাজের ৪-৬ শতাংশ চেয়েছেন। তাতে কত দাঁড়ায় জানেন? ৮৬ কোটি টাকা। ঠিক পড়েছেন, ৮৬ কোটি টাকাই চাঁদা চেয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতারা। আর আপনার আমার সবার প্রিয় শিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরকে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন মাত্র ১০ লাখ টাকা।

প্রিয় ফেসবুকার বিপ্লবী ভাই ও বোনেরা, নিরীহ শিল্পীদের পেছনে না লেগে কারা সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক খালি করে দিলো; কারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেয় না, কারা শেয়ারবাজারে কারসাজি করে গরিব মানুষকে পথে বসায়, কারা ৫ হাজার টাকার বই ৮৫ হাজার টাকায় কেনে; তাদের খোঁজ নিন।

প্রিয় অ্যান্ড্রু কিশোরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং বিপ্লবীদের উদ্দেশে তার একটা গান দিয়েই শেষ করছি লেখা—‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস...’।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

 

/এসএএস/এমএনএইচ/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
উপজেলা নির্বাচনদলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ