X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড আর ট্রাম্পের নির্বাচন

আনিস আলমগীর
০৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৫৮আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৫২

আনিস আলমগীর ইরান-মার্কিন নজিরবিহীন উত্তেজনাটি চলছিল ৪০ বছর ধরে। অবশেষে তার বিস্ফোরণ ঘটলো মার্কিনিদের দ্বারা জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। ৩ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের বিশেষ অপারেশন বাহিনী কুদস প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। কুদস ফোর্সের শক্তিশালী প্রধানকে হত্যা করে আমেরিকা এবং তার মধ্যপ্রাচ্যের মিত্ররা আশা করছে ওই অঞ্চল থেকে ইরানের প্রভাব খর্ব করবে, কিন্তু এই হত্যা বিপ্লবী গার্ড বা অঞ্চলটিতে ইরানের ভূমিকা—কোনোটাই দুর্বল করবে মনে হয় না। বরং ট্রাম্প ইরান-ইরাকে নতুন করে জাতীয়তাবাদকে চাঙ্গা করেছেন।
মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে আরও সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। ইরানের প্যারামিলিটারি সহকারী প্রধান আবু মাহাদি আল মুহাদ্দিসও তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন। লাশ শনাক্ত করা অসম্ভব ছিল। সোলাইমানির লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে তার হাতের আংটি দেখে। আবু মুহাদ্দিসের দেহ এতো ছিন্নভিন্ন হয়েছে যে, তার লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

সোলাইমানি বিশেষ বিমানে যাতায়াত করতেন। সম্ভবত সিরিয়া থেকে তিনি বাগদাদ এসেছিলেন। বিমানবন্দর থেকে তাদের গাড়ি রাস্তায় উঠলে এই হামলা চালানো হয়। আরেক গাড়িতে ছিল সোলাইমানির দেহরক্ষীরা। তারাও সবাই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছে। কাসেম সোলাইমানি ছিলেন দক্ষ সংগঠক। তিনি স্তরে স্তরে আল কুদস ফোর্সকে সাজিয়েছিলেন এবং ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথিরা সোলাইমানির পরামর্শে চলত। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদের যখন কোণঠাসা হয়ে দেশত্যাগের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময়ে ইরানের সসৈন্যে সিরিয়ার উপস্থিতিও ছিল কাসেম সোলাইমানির পরামর্শে।

কাসেম সোলাইমানি দুর্ধর্ষ প্রকৃতির জেনারেল। চমক সৃষ্টি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। ইরাক ও সিরিয়ায় বর্তমানে ইরানের যে সামরিক আধিপত্য বিস্তৃত হয়েছে, তার কৃতিত্ব ছিল কাসেম সোলাইমানির। সোলাইমানির সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল ফিল্ড মার্শাল ইরইউন রোমেল আর ফিল্ড মার্শাল বার্নার্ড মন্টোগোমারির মতো। তার তিরোধানে ইরানের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। প্রতিদিন তো আর সোলাইমানির জন্ম হয় না। ইরান কুদস ফোর্সের ডেপুটি ইসমাইল ঘানিকে সোলাইমানির স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।

এই আক্রমণটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যে নীতির সবচেয়ে বেপরোয়া পররাষ্ট্রনীতির সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। কারণ এটি ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন ছিল এবং এর ফলে দেশটিতে আরও অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা রয়েছে। ইরাক ইতোমধ্যে সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিল পাস করেছে।

সবচেয়ে দেখার বিষয় ছিল, ইরান এবং ইরাক উভয় অংশে শিয়া প্রধান সরকারবিরোধী গণ-বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল। সেটি দেশীয় ও আঞ্চলিকভাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। ট্রাম্প সেখানে পানি ঢেলে দিয়েছেন এবং সোলাইমানিকে হত্যা করে জাতীয়তাবাদী অনুভূতি আবারও চাঙ্গা করেছেন। বাগদাদ ও তেহরানের সরকারগুলোর ব্যর্থতা থেকে মনোযোগ ফিরিয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন।

লক্ষ করুন, গত নভেম্বরে,কয়েক হাজার ইরানি চল্লিশ বছরের ইসলামি শাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সারা দেশে রাস্তায় নেমেছিল। রয়টার্সের মতে, সোলাইমানির বিপ্লবী গার্ডের ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ১৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল এবং কমপক্ষে ৭০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। তেহরান এখনও নিজস্ব সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে পারেনি, যা মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সময়ে ইরাকেও দীর্ঘ দুই মাসের আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১ ডিসেম্বর ২০১৯ তা সংসদে গৃহীত হয়েছে এবং তিনি এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চালাচ্ছেন। ইরাকের বিক্ষোভে মারা গেছে প্রায় ৪০০ তরুণ।

সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ৫২টি স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিশানায় রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে ইরান জেনারেল সোলাইমানি হত্যার জবাব যথাসময়ে, উপযুক্ত পরিবেশে সামরিক উপায়ে দেওয়া হবে বলে পাল্টা হুমকি দিয়েছে। এরমধ্যে ৫ জানুয়ারি রবিবার রাতে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির শর্ত না মানার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। একই সঙ্গে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ারও অঙ্গীকার করেছে ইরান।

সোলাইমানির মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তেহরানের রাস্তায় নামে লাখো জনতার ঢল। সাত জানুয়ারি মঙ্গলবার কিরমান শহরে সোলাইমানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে অন্ততপক্ষে ৩৫ জন ইরানি পায়ের তলায় চাপা পড়ে মারা গেছেন। ইরান প্রতিশোধের যে আওয়াজ দিয়েছে তা তাৎক্ষণিক না করে সোলাইমানির প্রতি জনতার অনুভূতিকে পুঁজি করছে এখন, যাতে মৃত্যুর পরও সোলাইমানি ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের মনে স্থান করে নিতে পারে।

অবশ্য টিভি পর্দা জুড়ে জনতার এই ঢলকে স্বতঃস্ফূর্ত মানতে নারাজ ইরানের বর্তমান শাসনবিরোধী ইরানিরা। তারা বলেছে, নিঃসন্দেহে, হার্ড লাইনার এবং শাসন অনুগতদের মধ্যে সোলাইমানির সমর্থন ছিল। আহওয়াজ শহরে, যেখানে সোলাইমানি শোকের জন্য বিপুল সংখ্যক লোক নেমেছিল, সরকার শিক্ষার্থীদের এবং কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাধ্য করেছে। এটি নিজখরচায় পরিবহন সরবরাহ করে এবং দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। কর্তৃপক্ষ ছোট বাচ্চাদের মৃত সেনাপতির প্রশংসা করে প্রবন্ধ রচনা করছে। প্রথম-গ্রেডার যারা লিখতে জানেন না তাদের সোলাইমানির জন্য কাঁদতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছিল।

এবার ইরান-মার্কিন বৈরিতার দিকে নজর দেওয়া যাক। ইরান আর ইরাক পাশাপাশি রাষ্ট্র। ১৯৭৯ সালে ইরান বিপ্লবের পর ইসলামিক বিপ্লব ধ্বংস করার জন্য মার্কিনিরা তাদের বকলমে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আট বছর যুদ্ধ চালিয়েছিল। সেই যুদ্ধেও ইরানকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। ক্ষমতাচ্যুত ইরানের শাহানশাহ রেজা শাহ পাহলভীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি ডলার ছিল। ইরান আমেরিকার কাছে তা ফেরত চেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এ টাকা ফেরত না দেওয়ায় ইরান তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে ৫২ জন দূত এবং মার্কিন নাগরিককে ৪৪৪ দিন বন্দি করে রেখেছিল। এই ৫২ জনকে আমেরিকা রেজা শাহের অর্থ আলজেরিয়ার মধ্যস্থতায় ফেরত দিয়ে মুক্ত করেছিল। ট্রাম্প যে এবার ইরানের ৫২ স্থানে হামলার হুমকি দিয়েছেন,এটি সেই ৫২-এর প্রতীক।

তেলের জন্য ইরানের ওপর নির্ভরশীল ছিল আমেরিকা। ইরানের তেল আর তেলক্ষেত্রের ইজারাদার ছিল ব্রিটেন। নিজের প্রয়োজন আর আমেরিকাকে প্রয়োজনীয় তেল সরবরাহ ব্যাপারে অকৃপণ ছিল। তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইরানের বিরোধ লাগে। গত শতাব্দীর পাঁচ দশকের শুরুর দিকে ইরানের জাতীয়তাবাদী নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দিগ যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি তেলক্ষেত্র এবং তেল ব্যবসাকে সম্পূর্ণভাবে জাতীয়করণ করেন।

ইরানের সাধারণ মানুষ ছিল মোসাদ্দিগের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। কারণ তেলখনি আবিষ্কারের পরও ইরানের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি। কারণ নয়-ছয় করে ব্রিটিশরা তেলের সব আয় আত্মসাৎ করতো। তেলক্ষেত্র এবং তেল ব্যবসা ছিল সম্পূর্ণ ব্রিটিশের নিয়ন্ত্রণে। রয়ালিটি হিসেবে সামান্য কিছু টাকা পেতো ইরান। মোসাদ্দিগের সময় রেজা শাহ পাহলভী কিছুদিন ক্ষমতাচ্যুত ছিলেন, কিন্তু ১৯৫৩ সালে আমেরিকার সিআইএ ষড়যন্ত্র করে মোসাদ্দিগকে ক্ষমতাচ্যুত করে পুনরায় শাহকে ক্ষমতায় আনে।

মোসাদ্দিগকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং তার অন্যতম বিপ্লবী সহকর্মী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফাতেমিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। রেজার ক্ষমতা গ্রহণের পর আর আমেরিকার কাছে তেল বিক্রি অব্যাহত রাখলেও তেলক্ষেত্র এবং তেল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ছাড়েনি বরং পরবর্তী সময়ে ভূমি সংস্কার করে মধ্যস্বত্বভোগী উচ্ছেদ করে তিনি সাধারণ কৃষকের কাছে ভূমি বিতরণ করেছিলেন। পশ্চিমারা তাকে বিদ্রূপ করে কৃষক রাজা বলে ডাকত।

১৯৭৯ সাল থেকে ইসলামি বিপ্লবের পর পৃথিবীর একমাত্র সুপার পাওয়ারের সঙ্গে বৈরিতার অনেক মূল্য দিতে হয়েছে ইরানকে। সর্বশেষ ৩ জানুয়ারি তাদের শ্রেষ্ঠ একজন জেনারেলকে। অনেকে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটা যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন। উত্তেজনা তুঙ্গে যুদ্ধের কথা চিন্তা করা অহেতুক নয়। কিন্তু আর্থিক অবরোধে ইরানের আর্থিক অবস্থা এখন খুবই দুর্বল। কয়দিন আগেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিক্ষোভ হয়েছে প্রবল। বাণিজ্যিক অবরোধের কারণে তেল বিক্রি করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সুতরাং সুস্থ মস্তিষ্ক যুদ্ধের কথা চিন্তা করতে পারবে না। তাই মনে হয় না যুদ্ধ হবে। তবে ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ বলেছেন তারা প্রতিশোধ নেবেন। সেটা তারা খণ্ড খণ্ডভাবে নেবেন, তা প্রায় নিশ্চিত।

আর আগামী নভেম্বর মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুদ্ধে যাওয়ার কথা আমেরিকাও চিন্তা করতে পারে না। তদুপরি আমেরিকার আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন ঠেকানো আর আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্যই করেছে, যুদ্ধের উদ্দেশ্যে নয়।

গতমাসে প্রতিনিধি পরিষদে দলীয় ভিত্তিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর পরবর্তী ধাপ থেমে গেছে এখন। সিনেট রিপাবলিকান নেতৃত্বের হাতে তাই এই বিচার কতটা নিরপেক্ষ হবে, সেটা নিয়ে তো ডেমোক্রেটরা আশঙ্কায় ছিলেনই, তার ওপর এখন যুক্ত হয়েছে ইরান ও মার্কিন যুদ্ধের টেনশন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা যখন হুমকির মুখে, তখন দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা অধিকাংশ মানুষ ভালোভাবে নেবে না—এ বিবেচনা থেকে বিরোধী ডেমোক্রেটরা অভিশংসন নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চাচ্ছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের একটা যুদ্ধ সামাল দেওয়ার মতো বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি নেই। আমেরিকা নির্বাচনের পূর্বে সংগঠিত এই ঘটনাটা ট্রাম্পকে হিরো বানিয়ে দিলো। এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর আমেরিকা আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে হত্যা করেছে। ওসামা বিন লাদেনের হত্যাকে পুঁজি করে বারাক ওবামা দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার বিষয়টাকে কাসেম সোলাইমানির মতো একজন জেনারেলকে হত্যা করে ট্রাম্প অনেকটা নিশ্চিত করলেন। দুনিয়ার ভাগ্যাকাশ থেকে ট্রাম্পের মতো মানুষের অবসান সম্ভবত আর হলো না। নিম্নবিত্তের সাদা আমেরিকানদের কাছে তিনি এখনও জনপ্রিয়। পরিশেষে বলবো, ইরানের কাছে বিশ্ববাসী প্রত্যাশা করে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ইরান যেন কোনও আত্মঘাতী পদক্ষেপ না নেয়।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট, ইরাক ও আফগান যুদ্ধ-সংবাদ সংগ্রহের জন্য খ্যাত।
[email protected]

 

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিন-রামাফোসার ফোনালাপ
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
ভিসা-পাসপোর্ট হারিয়ে প্রবাসী অজ্ঞান, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ