X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর নামে যেন অপচয় না হয়

মুন্নী সাহা
১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:২৭আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১৯

মুন্নী সাহা তিন মিনিটের একটা কাজ। একটা অ্যাপ্লিকেশন হাতে হাতে পৌঁছাবো, সেটি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী খুলে দেখবেন। ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। এটুকুর জন্যে তাকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। কী আর করা! অ্যাপ্লিকেশনটা নিয়ে হাজির হলাম, মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তার কার্যালয়ে। ১০ জানুয়ারির ইভেন্টের মাত্র একদিন বাকি। ব্যস্ততার নানান রকম মানুষের নানান ভঙ্গির ছোটাছুটি। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কের রুমের কাছে, ওয়েটিং রুমে আমাকে ওই ব্যস্তদের কেউ কেউ দেখে যাচ্ছেন। দেখে যাচ্ছেন বলবো কী? বরং বলি দেখিয়ে যাচ্ছেন। তাচ্ছিল্য-সন্দেহের চোখ। যেন যুগ যুগ ধরে আমি তাদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছি।
একটু হেসে নিলাম। ‘তোমার ঈর্ষা, আমার জয়’। আরেকবার বলি মনে মনে। এসব ভন ভনকারীদের, কয়জনকেই বা দেখছি! ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’—এই কথা উচ্চারিত হওয়ার পর থেকেই, ঢাকার সব আড্ডায়, ক্লাবে, ঘরে, অফিসে টাকার গন্ধে ভন ভনকারীদের গুঞ্জন শুনছি। পাশের দেশের ইভেন্ট মেকাররা ঢাকায় ‘মোরগা’ ধরার প্রতিযোগিতায়।

যারা ক্ষমতাসীনদের আশপাশে ঘুরতে পারেন, যাদের নামের আগে সংগঠনের লেবেল, ছাই থেকে ফ্লাই অ্যাশ ব্যবসা পর্যন্ত যাদের তদবিরের গতিবিধি, তাদের অনেকেই একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, ঠোঁটের তলায় একটা চালাকির হাসি রেখে—‘চিয়ার্স টু হানড্রেড ইয়ার্স’!

এসব নিয়ে কি কিছু কোথাও বলা যায়? একজন প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। মন্ত্রী হিসেবে নয়, বঙ্গবন্ধুর নামে ‘অপচয়’ যেন না হয়, সেই দায়িত্ববোধ থেকে তিনি কথা তুলেছিলেন বলেই এসব মুখস্থ ভন ভনকারীদের ব্যাপারটা শেয়ার করলাম। তার গলায়, আরও দীর্ঘ হতাশা! বললেন, তুমি কি জানো, আতশবাজি পোড়ানো দেখার জন্য একটা স্টেজ বানানোর বাজেট দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি টাকা?
মাথা নাড়লাম—‘নাহ্, জানি না’। কিন্তু কৌতূহল হলো। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী বিশেষত্ব ওই স্টেজে? যদি আতশবাজি পোড়ানোর স্টেজ হয় ১১ কোটি টাকার, তাহলে কত শত টাকার বাজি পুড়বে? বাজি পোড়ানোর রেকর্ডে বারবার বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর নামটা উচ্চারিত হবে, আইডিয়াটা কি তাই?’

প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রিত্বের খোলস ছেড়ে মাঝে মাঝে আমাকে শাসন করেন। বাংলাদেশে সম্পর্কের ইউনিকনেসটা এখানেই। একজন রাজনীতিবিদ একজন সংবাদকর্মীর চেনা সম্পর্কের ঠিক উল্টো পিঠ। সততার সাহসকে তাদের কেউ কেউ ওউন করেন নীরবে। আমার এসব বোকা বোকা প্রশ্নের জবাবে একটা ‘রামধমক’ খেলাম। ‘এজন্যই তো তোমারে কেউ দেখতে পারে না। এত প্রশ্ন করো কেন? হাজার কোটি টাকা বঙ্গবন্ধুর নামে কামিয়ে নেওয়ার লোকজন সব এখন ক্ষমতার চারপাশে। তুমি এসব জিগাইবা আর পাল্টা বিপদে পড়বা। কী দরকার রে ভাই? সেলিব্রেট করো। বঙ্গবন্ধুর ১০০ বছরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় তুমি একজন নাগরিক হিসেবে আছো, এটাই বা কম কী?’

হুম! তাই তো! এটাই বা কম কী? কিন্তু যদি কিছু বলার থাকে, যদি কিছু নিজেদের মতো করতে চাই, তাহলে কী করবো? করবো না? ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো’—বঙ্গবন্ধুর এই লাইন থেকেই তো জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কনসেপ্ট হতে পারে। পারে না? পাল্টা প্রশ্ন করি মন্ত্রীকে। তিনি মাথা নাড়লেন। ‘হতে পারে’। আমি আবারও বললাম, ‘সব প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউজ কর্তৃপক্ষ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুকে সেলিব্রেট করবে। ধরুন, আপনার কোনও কলিগ যদি মনে করেন তার মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে কর্মী স্কিল প্রোগ্রাম, সততা পুরস্কার আর জনগণকে সেবা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে, ২০২০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত অ্যাক্টিভিটি করবে, এসব আইডিয়া এবং আউটকাম নিয়ে ফাইনাল ডে-তে একটা ডিসপ্লে হবে। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা পুরস্কৃত হবে। তাহলে তো সেলিব্রেশনটা ছড়িয়ে যায়, যায় না?’

আমার এসব কথায় মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে, আমার সেই ভ্রাতৃস্থানীয় প্রতিমন্ত্রী বললেন, ‘তুমি যাও, উদযাপন কমিটির সাথে কথা বলো। শুনলে শুনলো, না শুনলে নাই!’ তাঁর বডি ল্যাংগুয়েজ বলে দিলো, তিনি এ ব্যাপারে হতাশ।

উচ্ছ্বাসে জল ঢালার মতো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি ইতোমধ্যে অনেকেই হয়েছেন, যারা সত্যি সত্যি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন শতবর্ষের পথের এই সময়টায় কিছু করতে চেয়েছিল বা চায়। আমার এক বন্ধু, সাধারণের মন ছুঁয়ে যাওয়া বিষয়-আশয় নিয়ে খুব গুছিয়ে গবেষণা করেন। তার অনুরোধে, আমি বছর খানেক আগে, শতবর্ষ উদযাপন কমিটিকে শুধু জানাতে গিয়েছিলাম, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপনকেন্দ্রিক একটা গবেষণা করা যায় কিনা’। এর বিপরীতে জবাব এসেছে, ‘তোমরা করলে করোগে, কে দেখবে এসব? বাজেট ফাজেট দিতে পারবো না!’ আইডিয়া অ্যাপ্রিসিয়েট না করতে পারার অজ্ঞতার সঙ্গে বেয়াদবি করা যায়? মনকে জিজ্ঞেস করি। তারপর বডি ল্যাংগুয়েজের ব্যবহার করি, ফিরে আসার চলনে।

সেখানেই আবারও আইডিয়া শেয়ার করার পরামর্শ দিলেন প্রতিমন্ত্রী! প্রতি উত্তর করি, ‘যাবো? আমি যেসব প্রস্তাব করছি, তাতে তো টাকা পয়সা খরচ টরচের ব্যাপার নেই, কাগজ, পোস্টার প্লাস্টিকে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করার স্কোপ নাই, একদিনে শত কোটি টাকার আতশবাজির বাজেট নেই, আমারে তো ক্ষমতাসীনদের পা-চাটা ‘সিজন্যাল বঙ্গবন্ধুপ্রেমী’ উড়িয়ে দেবে, আপনার ভাই-বন্ধু কাছের মানুষরাও কি ছাড়বে?’

‘তুমি মিয়া এতসব রে ডরাও? তুমি তো একজন সংবাদকর্মী। কিছু আইডিয়া ভাবছো, তাদের জানাও। তুমি তো আর বঙ্গবন্ধুরে ভাঙাইয়া ব্যবসা করবা না। করবা?’ প্রতিমন্ত্রীর এই অভয়ের বিপরীতে শুধু বললাম, ‘ঠিক’!

আমার শ্রদ্ধা, আমার ভালোবাসার অঞ্জলি আমার মতোই। এমন বছরব্যাপী আয়োজনের জন্য, বাংলাদেশের একজন ‘মুজিব কৃতজ্ঞচিত্ত’ মানুষ হিসেবে তাঁকে নিয়ে এটুকু ভাবনাই, আমার পূজার ফুল। হ্যাঁ, বিশ্বাস করেই জমা দেবো সাধারণের এই স্নিগ্ধ শিউলি।

অ্যাপ্লিকেশনে লিখলাম:

তারিখ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০

বরাবর
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী
প্রধান সমন্বয়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি।

‘বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রস্তাবনা

প্রস্তাব: স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করতে নেওয়া হয়েছে বছরব্যাপী বিশাল পরিকল্পনা। এই আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণার প্রস্তাব করছি।

উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিস্ময় বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ঘিরে যে নানামুখী আয়োজন, মানুষের মনে এই আয়োজন দাগ কাটবে হয়তো, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামে এরচেয়েও বেশি কিছু দাবি রাখে। ইতোমধ্যে তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে গবেষণা। সেক্ষেত্রে জন্মশতবার্ষিকীর লগ্নে তার নামে আন্তর্জাতিক ‘বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ শুরু করা প্রাসঙ্গিক ও অর্থবহ মনে করছি। প্রতিবেশী ভারতেও মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে দেওয়া হয় শান্তি পুরস্কার।

কেমন হবে ‘বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’, কারা পাবেন?

যেহেতু জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে শামিল হয়েছে ইউনেস্কো, ফলে নোবেলের মতো বিশ্বে সুশাসন এবং গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে থাকা, এক বা একাধিক নেতাকে ‘বঙ্গবন্ধু লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য মনোনীত করা যেতে পারে। ব্যাপারটা হোক নোবেল প্রাইজের আদলে। প্রতি বছর পুরস্কার নিতে বিশ্ব সুধীমহল এদেশে এলে, বঙ্গবন্ধু বারবারই সেই উচ্চতায় উচ্চারিত হবেন। পুরস্কার সম্মানীর অর্থমূল্য নোবেল প্রাইজের সমান, বা তার চেয়ে একটু বেশি রাখার প্রস্তাব রাখছি।

বঙ্গবন্ধুকে বৈশ্বিক মঞ্চে ভাবে এটিএন নিউজ। জাতির পিতার প্রতি গণমাধ্যমের দায় থেকে আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু নিয়ে অনুষ্ঠান, ডকুমেন্টারি করেছি। সেই সুবাদে তরুণদের সঙ্গে কথা বলে এই আইডিয়াটা শেয়ার করেছি। সবাই একবাক্যে সমর্থন করেছেন। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের আয়োজনে, বাঙালির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার হবে এটি, এমনই বলেছেন তরুণরা।

জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের এমন মাহেন্দ্রক্ষণে প্রস্তাবটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার অনুরোধ করছি।

মুন্নী সাহা
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন নিউজ

এই অ্যাপ্লিকেশনটি হাতে দিয়ে ১ মিনিটের সাক্ষাৎকারের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।

দেখা হলো। কথা হলো। মিষ্টি স্বভাবের কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রস্তাবটি কমিটিতে তুলবেন বলেও জানালেন। আমরা এটিএন নিউজ, একটা ছোট্ট টিভি রিপোর্টও করলাম এ বিষয়ে।

শতবর্ষ উদযাপনের প্রথম ইভেন্ট, কাউন্ট-ডাউন উদ্বোধনের জাতীয় ইভেন্ট, পুরনো তেঁজগাও বিমানবন্দরে ১০ জানুয়ারি অনেকেই হাজির হয়েছিলেন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। লেজারে বঙ্গবন্ধুর বিকৃত অবয়ব, প্লাস্টিকের ব্যানার পোস্টার, ৭২-এর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর বিমান থেকে নামার ক্ষণটি প্রতীকী পারফরম্যান্স—সবকিছু নিয়েই আমন্ত্রিতরা একটু ঘুস ঘুস করছিলেন। যেন জোরে বললে, মার্কস কাটা যাবে। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আর নিমন্ত্রণ নাও পেতে পারেন।

পত্রিকা, অনলাইন, ফেসবুক যারা ফাটিয়ে দেন, নানা ইস্যুতে, তাদের কথোপকথনেও কোথায় জানি দূরত্বের কাঁটা টের পাই, ওউন না করার একটা সুর। যাকগে, যা মন চায় করুক। বঙ্গবন্ধুর নামটিকে ‘লুইট্টা খাওয়া’র সিজন এসেছে, খাক! আমরা কথা কইয়া বিপদে পরমু?’

মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু বিষয়ে এমনই একটি ভাবধারা, এড়িয়ে চলা, তাচ্ছিল্য করা বা ‘মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু’ নাম ভাঙিয়ে হেয় করা, বিভ্রান্ত করার একটা প্রবণতা আরও যেন পাকাপোক্ত হয়েছে গত কয়েক বছরে। রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বসিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, নির্বাচন, রাজপথের আন্দোলন, বড় বড় ইভেন্ট, রাজনৈতিক ঘটনায় তা যথেষ্ট স্পষ্ট করে প্রকাশিত হয়, হচ্ছেও। এসব শুধরে নেওয়ার, শুধরে দেওয়ার ক্ষণ দরকার হয়, ডাক আসে, এমনটাই ভাবতে ভালোবাসি আমি। সে কারণেই, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরজুড়েই আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের মতো, শুদ্ধতার ভালোবাসার লড়াই চলবে, লড়াইয়ের ডাক আসবে সে বিশ্বাস এখনও বুকে। এমন বিশ্বাসীদের আবার অনেকেই, হতাশায় ছ্যা ছ্যা করেও ফেসবুকে দুই-একটা পোস্ট দিয়েছেন, যেন মন থেকে বঙ্গবন্ধু উৎসব পালনের চেষ্টা থাকে, যেন তার নামে অপচয় না হয়, যেন তাকে স্মরণ করতে গিয়ে বিকৃত না করা হয়।

এসব ভাবনার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি, লাইক, কমেন্ট দিয়ে। কিন্তু কেন জানি গত ক’দিন ধরেই একটা এই ২০২০-এর ঐতিহাসিক ইভেন্টের একটি ছবি চোখের সামনে আসছে, পারিপার্শ্ব আওয়াজ বারবার কানে বাজছে। ১০ জানুয়ারির ক্ষণগণনার ইভেন্ট উদ্বোধন ঘোষণার পর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সামনে থাকা মাইক্রোফোনটা ধরে, একটু ঠিক করে নিলেন, দাঁড়ালেন মিছিলের নেত্রীর ভঙ্গিতে। এবার কণ্ঠটা আরও সবল, স্বপ্রতিভ, আশাবাদী। তিনি মাইকে বলছেন, ‘আসেন, স্লোগান ধরেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

এর জবাবে উপস্থিত সুধী, দেশভক্ত, বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের আকাশ-বাতাস কাঁপানো পাল্টা উচ্চারণ... জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু কেউ কি শুনেছেন? নাকি আমি কানে কম শুনি, দেখার অনুভব কম! প্রতিধ্বনির সমস্বরটা কোথায় কি মিলিয়ে গেছে? কেউ কি একটু দেখবেন? নাকি তিনি ‘চির একাই’!

লেখক: প্রধান নির্বাহী সম্পাদক, এটিএন নিউজ

 

/এসএএস/এমএনএইচ/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ছুটির দিনে নিউ মার্কেটে জনসমুদ্র
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
ভারতের নিখিলের হ্যাটট্রিকে ঊষার বড় জয়
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
বাংলাদেশে আইসিটির ভবিষ্যৎ কেন হুমকির মুখে?  
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
মস্কোতে কনসার্টে হামলা: ৯ সন্দেহভাজনকে আটক করলো তাজিকিস্তান
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ