X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য করণীয়

আতিক আহসান
৩১ মার্চ ২০২০, ১৬:৫০আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২০, ২০:১৫

আতিক আহসান ১১ জানুয়ারি, ২০২০-এ বিশ্ববাসী চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে। এরপর গত আড়াইমাসে ১৯৫টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। ৪/৫টা ব্যতিক্রম ছাড়া যেখানে যাচ্ছে রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা সব চুরমার করে এগিয়ে যাচ্ছে। ৩১ মার্চ সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৮ জন, মারা গেছেন ৩৭ হাজার ৮৩২ জন মানুষ।
সব থেকে ভয়ঙ্কর হচ্ছে সংক্রমণের গতি। করোনাভাইরাসে প্রথম ১ লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে ৬৭ দিনে, দ্বিতীয় ১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ১১ দিনে, তৃতীয় ১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ৪ দিনে, পরবর্তী ১ লাখ ছুঁয়েছে মাত্র ৩ দিনে।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য করণীয়

অথচ, আমরা যদি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে তাকাই, তাহলে দেখবো চীন ছাড়া বাকি অল্প যে কয়েকটি স্থানে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল, তা হচ্ছে মূলত ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার মতো কয়েকটি উন্নত দেশ। তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তির ব্যবহার বাকি বিশ্ব থেকে অনেক এগিয়ে। পশ্চিমা দেশগুলোতে হাত ধোয়ার মতো বিষয় নিয়ে নিশ্চয় তাগাদা দিতে হয় না। কিন্তু কোরিয়া, চীন, জাপান, হংকং যেভাবে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে রোগীদের টেস্ট করা, আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টিনে রাখতে পেরেছে, ইউরোপ আমেরিকা শুরুতে ততটা গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে বর্তমানে এমন জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। ইতালি, স্পেনে দৈনিক ৫০০ জনের ওপরে মারা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক ১০ হাজার জনের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে।  

কিন্তু কেন? যে বিষয়টা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাসের গতি প্রকৃতি নিয়ে কারোরই খুব স্পষ্ট ধারণা না থাকা, এইটা কি বাতাসে ভাসে? কতক্ষণ ধরে ভাসে? কাপড়ে কতক্ষণ বেঁচে থাকে, টেবিলের ওপরে কত সময় বাঁচে—এসব নিয়ে আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি। যেমন—গত ২৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে CNBC পত্রিকা  ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক জাহাজে, রোগী চলে যাওয়ার ১৭ দিন পরও কেবিনে জীবিত করোনাভাইরাস পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভাইরাসটা কীভাবে ছড়াচ্ছে তা বোঝার জন্য নতুন এই তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি বাতাসে ন্যূনতম ৩ ঘণ্টা এই ভাইরাস ভেসে থাকতে পারে, তাহলে সাবধানতার জন্য সকলের মাস্ক দরকার হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিস, লিফট কিংবা বদ্ধঘরে ভাইরাস আরও বেশিক্ষণ থাকবে, সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরও অনেক বিষয়ে সাবধান হওয়াটা জরুরি, শুধু হাত ধোয়ার মধ্যে সাবধানতা-সচেতনতা সীমাবদ্ধ রাখলে করোনাভাইরাসকে আটকানো যাবে না।   

তবে এসব জানাশোনা, বুঝাবুঝির আগেই চীন যেটা করেছে, সেটাকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নাম দিয়েছে দ্রিকোনিয়ান (Dreconian) বা অত্যন্ত কঠোর পদ্ধতি। হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে চীন জানুয়ারির ২৩ তারিখ থেকে ঘরের বাইরে বের হওয়া, মানুষের চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও, সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চালু হবে এপ্রিলের ৮ তারিখে। ফলাফল ১ কোটির বেশি জনসংখ্যার শহর উহান, করোনাভাইরাসের এপিক সেন্টার, সেখানে ২৪ মার্চে মাত্র ১ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে ইউরোপ আমেরিকায় প্রতিদিন হাজারে হাজারে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, তারাও কোয়ারেন্টিন করছে, কিন্তু তা ৭ দিন, ১৪ দিন এমন। কিন্তু কোনোভাবেই এই সংক্রমণ তারা ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে চীনে মানুষজনকে ঘর থেকে বের হতে না দেওয়ার কঠোর দ্রিকোনিয়ান পদ্ধতি, সেইটা যে কাজের তা নিশ্চিত করে বলা যায়।   

চীনের মতো আড়াই মাস হয়তো ঘরের ভেতরে রাখাটা অন্য দেশগুলোর জন্য অনেক কঠিন, কিন্তু সর্বনিম্ন কত দিন রাখতে পারলে সেইটা কাজে দেবে? সেই সংখ্যা জানাটা জরুরি। আমরা দেখছি ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন দিয়ে করোনা ভাইরাস আটকানো যাচ্ছে না, তাহলে ১৪ দিনের নিশ্চয় কার্যকরী পদ্ধতি না।

গবেষণার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিসংখ্যানে Mean, Median, Mode নামে তিন ধরনের পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে সংখ্যার কেন্দ্রীয় প্রবণতা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

Mean—১, ৩, ৫ এই তিনটি সংখ্যার ‘মিন’ বের করার জন্য হিসাব করা হয় ১+৩+৫=৯/৩= ৩

Median— এটি বের করার জন্য ১, ৩, ৫ এই তিনটি সংখ্যার মধ্যবর্তীটি নেওয়া হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী সংখ্যা ৩; তাই ‘মেডিয়ান’ও ৩।

Mode—মোড বলা হয়, নম্বরগুলোর মধ্যে কোন সংখ্যাটি সব থেকে বেশিবার আছে সেইটাকে। অর্থাৎ সংখ্যাগুলো যদি এমন হয় যে ১, ৩, ৫, ৫, ৭, ৯, ১৭ তাহলে এখানে ৫ অন্যদের থেকে বেশিবার থাকার কারণে ‘মোড’ হবে ৫।

Outlier—যখন একগুচ্ছ সংখ্যার মধ্যে কোনোটা অন্যদের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে তখন তাকে ‘আউটলায়ার’ বলা হয়। ১, ৩, ৫, ৫, ৭, ৯, ১৭ এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে ১৭ অন্যদের তুলনায় অনেক দূরে অবস্থান করার কারণে, ১৭ এখানে ‘আউটলায়ার’।

বিভিন্ন গবেষণার ফল থেকে জানা যায় সাধারণত করোনাভাইরাসের ইনকুবেশন পিরিয়ড ২ থেকে ১৪ দিন। ইনকুবেশন পিরিয়ড হচ্ছে পুনরুৎপাদনের সময়কাল। এই ভাইরাস ডিম পাড়ে না, বরং মানুষের কোষের ভেতরে তার আরএনএ ঢুকিয়ে দিয়ে, সেই আরএনএ মানুষের দেহকোষের ভেতরে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে তাদের সংখ্যা বাড়াতে থাকে। এক সময় সেই দেহকোষটি ধ্বংস হয়ে যায়। এভাবে ভাইরাস মানব দেহের একের পর এক কোষ ধ্বংস করতে থাকে। ইনকুবেশন পিরিয়ড শেষ হলে রোগের উপসর্গ দেখা যায়।

Stephen A. Lauer এবং অন্যান্য গবেষক (২০২০) চীনে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ১৮১ জনের তথ্য নিয়ে গবেষণা করে বলেছেন, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জনের ১৪ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। তাই ‘মিন’, ‘মেডিয়ান’, ‘মোড’ নয়, সর্বোচ্চ কত দিন লাগতে পারে, সেই হিসাব করে কোয়ারেন্টিনের দিন ধার্য করাটা জরুরি। কারণ আমরা এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া, পত্র-পত্রিকা, টিভি মারফত দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘পেশেন্ট-৩১’-এর ঘটনা জানি, যিনি একাই ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৯ হাজার জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটানোর জন্য দায়ী। তাই প্রতি ১০০ জনের ১ জন সংক্রমিত ব্যক্তিও যদি কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত থাকেন, সেই একজন নতুন করে ৫০ হাজার জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় যথেষ্ট।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য করণীয়

Lauer এর গবেষণা থেকে বলা যায়, যদি ২১ দিন পর্যন্ত সম্ভাব্য রোগীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা যায়, তাহলে সংক্রমিত যে ১ শতাংশ গণপরিসরে আবার ফিরে গিয়ে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, তা অনেকটা বন্ধ করা সম্ভব। তাই কোয়ারেন্টিনের সময় ১৪ দিন থেকে ২১ দিন করাটা জরুরি। কিন্তু কোভিড-১৯ যখন কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে, তখন শুধু সম্ভাব্য ব্যক্তিদের আর কোয়েরেন্টিনে রেখে যে কাজ হয় না, সেইটা ইতালি কিংবা আমেরিকার দিকে তাকালে বোঝা যাবে।

তবে সর্বনিম্ন ঠিক কতদিন লকডাউন দরকার, সেটা বোঝার জন্য বিভিন্ন জার্নাল আর্টিক্যাল পর্যালোচনা করে আপাতত এই উপসংহারে পৌঁছানো যায় যে, প্রথম ৭ দিন, তারপর ১০ দিন এরপর ২ দিন বিরতি দিয়ে আবার ১৪ দিন লকডাউন খুব কাজে দিচ্ছে না।

Jung et al., (2020) এর গবেষণা প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকে মারা যাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯.৯ দিন সময় লাগতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে শতকরা ৮০ জনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এ খুব সাধারণ সর্দি কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাই যিনি আক্রান্ত তিনি হয়তো জানেনই না যে তিনি আক্রান্ত। কিন্তু এই ৮০ শতাংশ যখন বাইরে সব কাজ করেন আর ঘোরাঘুরি করে বেড়ান, তখন নিজের অজান্তেই অন্যদের সংক্রমিত করতে থাকেন। এখানে বিপদের বিষয় হলো বাংলাদেশে ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা ৮০ লাখের ওপরে। এছাড়া শিশু থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত যারা বিভিন্ন ধরনের রোগ, যেমন—অ্যাজমা, প্রেসার, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য করোনা ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দিতে পারে।

সেই কারণে যদি কোনও দেশ কার্যকরীভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, সেই দেশকে কমপক্ষে কঠোরভাবে (২১+১৯) =৪০ দিন লকডাউনে থাকতে হবে। এরপর যতদিন লকডাউন বাড়াতে থাকবে, করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ তত কার্যকরী হবে।

কোনও রোগের সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব কতটুকু হতে পারে, সেই হিসাব করার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। এখানে একটা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, যেন আমরা বুঝতে পারি বাংলাদেশে ন্যূনতম কতজন সম্ভাব্য কোভিড-১৯ রোগী হতে পারে। সেই সংখ্যা আমাদের প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নিতে হয়তো সহায়তা করতে পারে।

আইইডিসিআর-এর তথ্য মতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ প্রথম মৃত্যু ঘটে ৮ মার্চ, ২০২০ সালে। সেক্ষেত্রে বিশ্বে কোভিড-১৯ এ গড় মৃত্যুহার ৪ শতাংশ ধরে নেওয়া হলে ২০ দিন আগে রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ জন (যেহেতু প্রতি ১০০ জনে ৪ জন মারা যায়, তাহলে ১ জন মারা গেছে ২৫ জনের মধ্যে সেই হিসাবে)।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য করণীয়

কিন্তু নিচের টেবিল লক্ষ করলে দেখবো প্রতি ৫ দিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে থাকলে এবং ইউরোপের মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেও ৫০ দিনে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য করণীয়

যদিও বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে হয়তো কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হতে আরও কম সময় লাগবে। এবং যেহেতু এর মধ্যে কমিউনিটিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শুরু হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই সংখ্যা বহু গুণ বাড়তে পারে।

বাংলাদেশের হাতে সময় এবং বিকল্প রাস্তা খুব বেশি নেই সিদ্ধান্ত খুব দ্রুতই নিতে হবে। এগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ অনুসরণ করা যেতে পারে, যত দ্রুত বেশি সংখ্যক সন্দেহজনক কোভিড-১৯ টেস্ট করা যায় এবং পজিটিভ কেসগুলোকে আলাদা করা যায় ততই মঙ্গল। একই সঙ্গে কার্যকরী একটি ডিজিটাল এপিডেমিওলোজিক্যাল সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম দাঁড় করানোর কাজ শুরু করতে হবে। এই সিস্টেম শুধু করোনাভাইরাসের জন্য কাজ করবে না, ডেঙ্গু, নিপাহ বা যেকোনও মহামারি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।     

লেখক: মেডিক্যাল অ্যানথ্রোপলজিস্ট

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
ইরাকি ঘাঁটিতে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সাহসী পদক্ষেপ
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
‘তীব্র গরমে’ চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
ডাগআউট থেকে রিভিউ নিতে বলায় ডেভিড, পোলার্ডের শাস্তি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ