X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ানোই এখন একমাত্র সমাধান, বরখাস্ত নয়

রাশেদা রওনক খান
১৩ এপ্রিল ২০২০, ১৫:২৯আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২০, ১৫:৩১

রাশেদা রওনক খান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল হতে মুক্ত হতে পেরে প্রথমেই তার দেশের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে সারাবিশ্বের স্বাস্থ্যব্যবস্থার যে অবস্থা, তাতে প্রতিটি দেশ স্বাস্থ্যকর্মীদের খুঁজে বেড়াচ্ছে, ধন্যবাদ দিচ্ছে। কারণ এই করোনা যুদ্ধে বাঁচার জন্য সচেতনতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে ভাবনার বিষয় চিকিৎসা পাওয়া।
যেখানে চীন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ৪র্থ-৫ম বর্ষের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী আর প্র্যাক্টিস ৩/৫ বছর আগে ছেড়ে দেওয়া ডাক্তারদের ডেকে আনছে, সেখানে আমাদের দেশে ওয়ার্কিং ফ্রন্টলাইন ফোর্সকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবহেলা এমনকি বরখাস্ত করে কে কে নিজের আখের গোছাতে চাইছে, সেই রাজনীতি এখন উদ্ঘাটন করা জরুরি। যে মুহূর্তে চিকিৎসক দরকার বলে সারা পৃথিবী চিৎকার করছে, স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যন্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যার যার দেশের মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে, সেই মুহূর্তে আমাদের দেশে একসঙ্গে ছয়জন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুর্যোগময় মুহূর্তে পলিসি লেভেলে যেখানে নিজেদের সমন্বয়ের অভাব, সেখানে হুট করে ছয় জন চিকিৎসককে বরখাস্ত করে আসলে কী প্রমাণ করতে চাইলো স্বাস্থ্য প্রশাসন?

কোথায় একটা সম্মিলিতভাবে স্বেচ্ছাসেবক, বেকার ও প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন এমন ডাক্তারদের সমন্বয় করে সেবা নিশ্চিত করবে, তা না করে পুরো চিকিৎসক সমাজকে হেয় করার একটা পদক্ষেপ নেওয়া হলো। কতটা উলটা দিকে হেঁটে যাচ্ছি আমরা, ভাবতে পারি একবার? ‘উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ দেওয়ার এমন নজির আর হতে পারে কি? এই মুহূর্তে যখন প্রয়োজন একাত্মতার, প্রয়োজন সঠিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সঠিক তত্ত্বাবধানের, প্রয়োজন সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা, তখন এই ধরনের সিদ্ধান্ত দিনশেষে আত্মঘাতী হয়ে যাবে নাতো?

সারাবিশ্বে এখন স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সরকারি হাসপাতালে স্বেচ্ছায় সেবা দিচ্ছেন, আমরা মুখস্থ বুলি আওড়াচ্ছি, কিন্তু আমরা ভাবছি না তারা কীভাবে তাদের মূল ধারার সেবা খাতে এই এতো সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীকে যুক্ত করেছেন? আমাদের পলিসি লেভেল থেকে এমন কোনও প্রক্রিয়ার কথা ভাবছেন কিনা, যেন সেসব ডাক্তার যুক্ত হতে পারেন? এর জন্য সরকারি পর্যায় হতে একটা প্রটোকল তৈরি করতে হবে। অনেক জুনিয়র, মিড লেভেলে প্রচুর বেকার ডাক্তার আছেন, তাদের কো-অপ্ট করার চিন্তা করা জরুরি। বয়সের কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও কম থাকবে তুলনামূলক বয়স্ক চিকিৎসকদের তুলনায়।

সরকার ইমার্জেন্সি লেভেলে হাসপাতালে একটা অর্ডার জারি করে নিয়োগ দিতে পারেন এই দুর্যোগ সময়ে। আমরা দেখেছি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জুনিয়র লেভেলের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হচ্ছে, কিন্তু সেটার জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে একটা সমন্বয় লাগবে। বিষয়টা এমন নয় যে, বাসা থেকে এমনি এমনি দৌড়ে এসে যুক্ত হচ্ছেন তারা এবং সেবা দিচ্ছেন রাস্তাঘাটে। এটা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নয় যে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেলেই হবে। বিদেশে এভাবে স্বেচ্ছায় যুক্ত হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়গুলো একটি সুব্যবস্থা করে দিয়েছে হাসপাতালগুলোতে, একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এই যুক্ত হতে হয়। আমাদেরও সেই প্রক্রিয়া নিয়ে পলিসি লেভেলে কাজ করতে হবে, খুব দ্রুত।

পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন টেলিমেডিসিন আর জরুরি সেবা ছাড়া শারীরিক দূরত্ব এর প্রয়াস হিসেবে সকল প্রকার নিয়মিত বহির্বিভাগীয় (OPD) স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে আমাদের প্রায়োরিটি নিরূপণে চরম সিদ্ধান্তহীনতা ও দীর্ঘসূত্রতার দায়ে কেউ কি বরখাস্ত হয়েছেন? সবচেয়ে বড় কথা, সময়মতো টেস্টের মাধ্যমে রোগী চিহ্নিত করে আইসোলেশনে পাঠানো যায়নি বলে যে ব্যাপক হারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হলো—এসব ভুল সিদ্ধান্তের দায় কি স্বাস্থ্য প্রশাসন নেবে না? পলিসি লেভেলে কোনোরকম সমন্বয় নেই, পোশাক শ্রমিকদের ঢাকায় হাঁটিয়ে আনা হলো, স্বাস্থ্যমন্ত্রী পর্যন্ত জানে না, কখন কে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই, যেখানে কোভিড রোগীর চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে অন্যান্য রোগের রোগীদের কিছুটা অব্যবস্থাপনার শিকার হতে হয়নি। এই অব্যবস্থাপনার জন্য টেলিভিশনগুলোতে সেসব দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়গুলো হতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে, যতটা সম্ভব হাসপাতালে যাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং নাগরিকদের সাময়িকভাবে অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন। আমাদের স্বাস্থ্য প্রশাসন হতে কি এই ধরনের কোনও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে? কিন্তু পৃথিবীর বাইরে যেহেতু আমাদের দেশ নয়, তাহলে বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম হবে কেমন করে?

নিজেদের গলদগুলোর দিকে তাকাতে জানতে হবে। এই যে দিনের পর দিন স্বাস্থ্য প্রশাসন হতে বলা হলো, করোনা মোকাবিলায় সকল রকম প্রস্তুতি আছে, অথচ গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, তেমন কিছুই প্রস্তুতি ছিল না, এবং এখনও প্রস্তুতির অনেক ঘাটতি আছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, স্বাস্থ্যসেবা খাতের করুণ দশা। এখনও অনেক জেলা শহরের হাসপাতালগুলোয় ঠিকমতো একটা ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা নেই, আইসোলেশন সেন্টারের প্রস্তুতি নেই, করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই, জেলা-উপজেলায় টেস্ট করানোর কিট নেই। এসবের জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউ, তাই নেই হয়তো। কিন্তু এখনও যখন নেই তখন তো দায়িত্ববানদের দায়িত্বের ঘাটতি আছে বলতেই হয়। সিলেটে একজন ডাক্তার ভেন্টিলেটরের অভাবে নিজ ব্যবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকায় আসেন চিকিৎসা নিতে, একটা অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত দিতে পারে না, এসবের জন্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাউকে কি দায়ী করা হয়েছে, বরখাস্ত তো পরের বিষয়। সারাবছর যে পরিমাণ হাসপাতাল সামগ্রী কেনার নামে টেন্ডারবাজি হলো, আফজালের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অস্ট্রেলিয়ায় ছেলেমেয়ে পড়ায় নিজ খরচে আর ঢাকা শহরে ১২টি বিল্ডিংয়ের মালিক, তাকে কি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল?

যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের দু’জন জানিয়েছেন তারা করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন। তাদের কী বিবেচনায় বরখাস্ত করার কথা মাথায় এলো? হাসপাতাল ব্যবস্থায় রোস্টার ডিউটি বলে একটা বিষয় আছে। তাছাড়া অনেকদিন করোনার বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অতিরিক্ত ডাক্তার নিয়োগ। কোনোভাবেই এই মুহূর্তে বরখাস্ত সমাধান হতে পারে না। বিভিন্ন দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাস্থ্যকর্মীদের কীভাবে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে, কারণ তারা যেন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়েন। এতো উৎসাহ দেওয়ার মাঝেও কয়েকজন ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মী ইতিমধ্যে আত্মহত্যাও করেছে করোনার কারণে মানসিক চাপ নিতে না পেরে, সেটাও গণমাধ্যমে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে বাইরের দেশে কর্তব্যরত ডাক্তারদের যারা মানসিকভাবে দুর্বল, তাদের ছুটিতে পাঠাচ্ছেন কিছুদিনের জন্য। ডাক্তার হলেই যে একজন মানুষ খুব মানসিকভাবে শক্ত হবেন, এমন তো নয়। এক্ষেত্রে সমাধান একটাই, প্রচুর ডাক্তার-নার্স-এর সমাগম ঘটানো, আর এই কাজটি করতে পলিসি লেভেলে একটা নীতিমালা তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে বর্তমান সময়ে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে যে রাজনীতি আছে, তার মুখোশ উন্মোচন করাও জরুরি। মাঠপর্যায়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো প্রস্তুতি থাকার পর চিকিৎসকদের ওপর এই ধরনের নজরদারি করলে একধরনের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যেত। 

ব্রিটেনের হাসপাতালে কোনও ডাক্তার বা নার্স যদি একটা হাঁচিও দেয়, তাকে সঙ্গে সঙ্গে ছুটিতে পাঠানো হয়, সেখানে কোনও ডাক্তার শারীরিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করলেও তাকে কাজ করে যেতে হবে? অথচ হাজার হাজার বেকার ডাক্তার রয়েছেন, তাদের কীভাবে একটি সমন্বিত পদ্ধতির ভেতরে এনে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে কোনও ভাবনা নেই! পলিসি লেভেলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে গলদ রেখে কেবল ডাক্তার বরখাস্ত করে দেশের এই সংকটকালীন সময়ে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে হুমকির মাঝে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। করোনা মোকাবিলায় এই মুহূর্তের প্রধান ইস্যুগুলোকে বাদ দিয়ে, উপযুক্ত রিসোর্স পারসনদের স্ট্র্যাটেজিক পজিশনে দায়িত্ব না দিয়ে সমন্বয়হীনতার যে সমালোচনা চলছে, তা নিয়ে কাজ করা দরকার, বরখাস্ত দেখিয়ে মন জোগানোর সময় এখন নয়। এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনও দেশে এই ধরনের ডাক্তার বরখাস্ত করার নজির নেই। আমরাই নজির স্থাপন করলাম।

এই ক্রান্তিলগ্নে ক্ষমতার চর্চা না দেখিয়ে বরং রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সমন্বিতভাবে কাজ করা খুব দরকার। এখনও মাঠপর্যায়ে মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না, এখনও মানুষ ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, এখনও প্রচুর গুজব রটানো হচ্ছে। সেসব কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এখনই পলিসি লেভেলে কঠিন সকল সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কিটের সরবরাহ বাড়াতে হবে, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মাঝে করোনাকে ঘিরে একধরনের সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, চিকিৎসকদের জীবনের যথাসম্ভব নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্রিটেন আমেরিকায় প্রতিদিন বড়-ছোট রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে করপোরেট কোম্পানিগুলো হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খাবারসহ সব রকমের সাহায্য-সহযোগিতা করছে। হোটেলগুলো তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, এসবের দিকে গুরুত্ব দিলে চিকিৎসকেরা সেবা দিতেও এগিয়ে আসবে। পিপিই কেবল ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্য জরুরি তা নয়, দেশকে করোনামুক্ত রাখতেই প্রয়োজন। ধরুন, যদি ১ লাখ ডাক্তার থাকেন, তবে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ পরিবারের এবং হাসপাতালে থাকা আরও ১০ লাখ মানুষের সঙ্গে তাদের কাজ করতে হয়। অর্থাৎ ২০ লাখ মানুষের মাঝে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সেই ২০ হতে তা কোটিতে ছড়িয়ে পড়তে কতক্ষণ লাগবে? তাই বিদেশের সঙ্গে তুলনা করার সময় আমাদের সব দিক বিবেচনায় আনতে হবে। বিদেশে ডাক্তারদের পুরোপুরি আলাদা করে ফেলা হয়েছে যারা করোনা চিকিৎসা দিচ্ছেন। এসব নিয়ে না ভেবে হঠাৎ কয়েকজন ডাক্তারকে বরখাস্ত করে দেওয়ার মাঝে সমাধান নেই, সমাধানের পথে আগাতে হলে মানবিক, বিবেকবান ও সত্যিকারের কর্মীবাহিনী লাগবে, যারা উচ্চপর্যায়কে খুশি করার জন্য নয়, বরং দেশকে করোনামুক্ত করার জন্য কাজ করবে।

লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
দক্ষিণখানে ভবনের চার তলা থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
দক্ষিণখানে ভবনের চার তলা থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৯ জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট হলেন ১৯ জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
দক্ষিণ লেবাননে ‘আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে ইসরায়েল
দক্ষিণ লেবাননে ‘আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে ইসরায়েল
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ