X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধ ও তাজউদ্দীন আহমদের নিয়তি

শুভ কিবরিয়া
২৩ জুলাই ২০২০, ১২:৫৬আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২০, ১২:৫৮

শুভ কিবরিয়া তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫) মাত্র ৪৬ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, যেটা একসময় সশস্ত্র সংগ্রামে পরিণত হয়, সেই লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। বলা চলে নিয়তির অমোঘ টানে তাকে এই লড়াইয়ের সামনের কাতারে দাঁড়িয়েই কাজ করতে হয়। আবার স্বাধীন দেশে জাতির পিতার মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হিসেবেও গুরুদায়িত্ব নিতে হয়। ইতিহাসের পীড়ন হচ্ছে, একসময় নিজ দল এবং দলের সরকারে তাকে ব্রাত্য হতে হয়। মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়াতেও হয়। তারপর নিয়তিই তাকে টেনে নিয়ে যায় মৃত্যুঘাতে। মাত্র ৫০ বছর বয়সে জেলখানায় সতীর্থ আর তিনজন রাজনৈতিক সহযোদ্ধার সঙ্গে নির্মম হত্যার শিকার হবার আগ পর্যন্তঅনেক মর্মন্তুদ, পৈশাচিক ঘটনার বেদনার অভিজ্ঞতা তাকে সহ্য করতে হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের দায়িত্ব যখন তিনি পান কিংবা যতদিন এই দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন, বলা চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইতিহাস তো বটেই, এই ভূখণ্ডের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে সেটা একটা উত্তুঙ্গ সময়। কিন্তু সেই উত্তাল সময়ের বড় টাইমলাইন অন্তত ২৫ মার্চ ১৯৭১ পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদের মাথায় বটগাছের মতো ছায়া হয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

২৫ মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সেই বটছায়া হারিয়ে তাজউদ্দীন আহমদকে খুঁজতে হয় নতুন দিশা। বঙ্গবন্ধুর নামে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল বিশেষত ২৫ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সময়কালে যা ঘটেছে সেখানে তাজউদ্দীন নিজেই ছিলেন নিজের পথপ্রদর্শক। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে ভারতের মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশের সরকার গঠন, সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক এবং সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা করা ছিল তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক জীবনের সবচাইতে জটিল-কুটিল, কঠিন কিন্তু উজ্জ্বল এক যাত্রাপথ। এই সময়কালে নিজের কাজের দীপ্তিতেই বঙ্গবন্ধু ছাড়া দলের সকল পর্যায়ের সকল রকম নেতাকর্মীকে ছাপিয়ে যান তাজউদ্দীন আহমদ। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে ফিরে আসা এবং নতুন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত  অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সময়কালে বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তাজউদ্দীন আহমদ।

কাজেই মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাস ও মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সময়কালে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ  ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হয়ে ওঠেন। দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন ও মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা তাজউদ্দীনের বড় সাফল্য ছিল দুটো, এক. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন; দুই.স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবিত অবস্থায় সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

কিন্তু এই দুই বড় রাজনৈতিক অর্জন পথে তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বহুবিধ শত্রুর। সেই শত্রুর কেউ কেউ পেছন ছাড়লেও, অনেকেই আমৃত্যু তাকে অনুসরণ করে গেছে ছায়ার মতো। ভারতে প্রবাসে নয় মাসের যুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদকে সহ্য করতে হয়েছে বহুকিছু, শুধু স্বাধীনতা অর্জন আর স্বাধীন দেশে জীবিত বঙ্গবন্ধুকে ফিরিয়ে আনবার প্রত্যয়ে।

মুক্তিযুদ্ধের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে খন্দকার মোশতাক আমেরিকার মদতে কৌশলে আওয়াজ ওঠালেন, জীবিত বঙ্গবন্ধুকে ফেরাতে চান না বলেই তাজউদ্দীন আহমদ পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক সমঝোতা চান না। তাজউদ্দীন আহমদ খুব দৃঢ়তার সঙ্গে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বলেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হলেই কেবল স্বাধীন দেশে জীবিত ফিরবেন বঙ্গবন্ধু। তাজউদ্দীন আহমদের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ছিল, আমরা দুই-ই চাই, দেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন দেশে জাতির পিতার সম্মানজনক ফিরে আসা। তাজউদ্দীন আহমদের সেই চাওয়া পূর্ণ হয়েছিল বটে, কিন্তু শত্রুর বুলেটে তার নাম লেখা হয়ে গিয়েছিল তখনই।

মুক্তিযুদ্ধকালে দলের আমেরিকান লবির খন্দকার মোশতাক গংয়ের বাইরে দেশের ও দলের আরও এক শক্ত প্রতিপক্ষের মোকাবিলার মুখে পড়তে হয় তাজউদ্দীন আহমদকে। সেটা হচ্ছে তৎকালীন যুবনেতাদের হাতে থাকা মুজিব বাহিনীর। সম্ভবত পাকিস্তানি সামরিক জান্তা যেরকম শত্রু জ্ঞান করতেন তাজউদ্দীন আহমদকে, মুজিববাহিনীর স্রষ্টারাও তার চেয়ে কম যান নাই। ফলে ঘরের মধ্যেই এক বড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে হয়েছে তাজউদ্দীন আহমদকে। স্বাধীনতা ও মুক্তিবাহিনীর প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় না দিলেও, খোদ ভারত সরকারের সঙ্গেও এ নিয়ে ঘামঝরানো বোঝাপড়া চালাতে হয় তাজউদ্দীন আহমদকে।

মুজিব বাহিনীর মূল প্রশিক্ষক, পরিকল্পক ভারতীয় সামরিক বাহিনীর মেজর জেনারেল (অব.) এস.এস. উবান পরে তার বইয়ে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন—‘যুবনেতারা সবসময় অভিযোগ করতেন যে জেনারেল অরোরার জনাব তাজউদ্দীনের সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক বোঝাপড়া আছে। যেজন্য তারা দুজনেই জোর দিতেন যেন মুজিববাহিনী তাদের কমান্ডে কাজ করে, যুবনেতাদের কমান্ডে নয়। কারণ তাজউদ্দীনের প্রতি তাদের কোনও আনুগত্য ছিল না। আমি জানতাম যে যুবনেতারা যেজন্যই হোক তাজউদ্দীনকে ভালো চোখে দেখতেন না। তাজউদ্দীনকে মনে হতো কোনও একটা পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপারগুলি পরিচালনা করছিলেন।’ [পৃষ্ঠা:৩২, ফ্যান্টমস অফ চিটাগাং দি ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ, মেজর জেনারেল(অব.) এস এস উবান, অনুবাদ-হোসাইন রিদওয়ান আলী খান, প্রকাশক: ঘাস ফুল নদী,দ্বিতীয় সংস্করণ: একুশে বইমেলা ২০১৪]

পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছিল যে, ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে ভারতের শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত তৎকালীন প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদের আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্যদের সম্মেলনে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের প্রতি অনাস্থার আয়োজনও প্রায় সম্পন্ন হয়ে যায়। ভারত সরকারের রাজনৈতিক অংশের কুশলতায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে এবং খোদ তাজউদ্দীন আহমদের দৃঢ়তায় সেই উত্তেজনা কোনও অঘটন ঘটাতে ব্যর্থ হয়। সেই সম্মেলনে দীর্ঘ ভাষণ দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে বলতে হয়, ‘‘১৯৫৭ সালের পলাশীর আম্রকাননে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের আর একটি আম্রকাননে দাঁড়িয়ে আমরা বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ এবং বঙ্গবন্ধুর তরফ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছি।…স্বাধীনতা ঘোষণার পর আমি আমার সহকর্মী তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তার পরামর্শে এবং বঙ্গবন্ধুর পূর্বতম নির্দেশের বলে আমি জনাব খন্দকার মোশতাক আহমদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জনাব মনসুর আলী সাহেবকে অর্থমন্ত্রী, জনাব কামরুজ্জামান সাহেবকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করেছিলাম। আমরা জানতাম আপনারা যে প্রয়োজনে তাদেরকে দীর্ঘকাল নেতৃত্বের আসনে বসিয়েছিলেন, আমি আপনাদের সবার সঙ্গে পরামর্শ না করেও নিঃসঙ্কোচে আর বিনা দ্বিধায় তাদেরকে সরকারের দায়িত্ব দিতে পারি। তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে তিনমাস চলে গিয়েছে। এই তিন মাস যাবৎ আমি আপনাদের কাছে অকপটে স্বীকার করবো—যা করার ছিল অনেক কিছু করা সম্ভবপর হয় নাই। কিন্তু আপনাদেরআমি একটি কথা বলবো, জনাব তাজউদ্দীন আহমদ ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছেন।’

[০৬ জুলাই ১৯৭১, বাংলাদেশ পরিষদ সদস্য বর্গের সমাবেশে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাষণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিল: চতুর্থ খণ্ড]

০২.

কাজেই মুক্তিযুদ্ধের মাঠেই ঠিক হয়ে যায় তাজউদ্দীন আহমদের নিয়তি। যে তাজউদ্দীন আহমদ সাম্য প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ চেয়েছেন, পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছেন, আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য ক্ষুণ্ন করতে চেয়েছেন, সকল প্রকার এজেন্সি নির্ভর সংস্কৃতির বদলে রাজনৈতিক কর্তৃত্বের গণতান্ত্রিক ন্যায়ানুগ মর্যাদাবান রাষ্ট্র চেয়েছেন—তার পক্ষে স্বাধীন দেশে স্বাধীন আত্মা নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতীয় সামরিক অফিসার জেনারেল উবান সম্ভবত সেটা বুঝেছিলেন। তার বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘তাদের জোর সন্দেহ ছিল তাজউদ্দীন ষড়যন্ত্র করছেন স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার। তারা পরে আমাকে অকপটে বলেছিলেন—‘‘তাজউদ্দীনের সঙ্গে তোমাদের কম্যুনিষ্ট মন্ত্রী ডি.পি ধর-এর আঁতাত আছে। আমরা তাঁদের দুজনের কাউকে বিশ্বাস করিনা। এমনকি তোমার সরকারও জানতে পারবে না এরা দুজন স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য কী পরিকল্পনা করছেন।’ [পৃষ্ঠা:৩৫, ফ্যান্টমস অফ চিটাগাং দি ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ, মেজর জেনারেল(অব.) এস এস উবান, অনুবাদ-হোসাইন রিদওয়ান আলী খান, প্রকাশক: ঘাস ফুল নদী, দ্বিতীয় সংস্করণ: একুশে বইমেলা ২০১৪]

০৩.

তাজউদ্দীন আহমদের জীবনের পরিণতি যাই হোক না কেন,  মাত্র ৪৬ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারকে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করার গৌরবের অংশীজন তিনি হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হিসাবে স্বাধীন দেশে ফিরে এসেছেন। যে নেতার নামে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন, সেই নেতার হাতে স্বাধীন দেশের সরকারের ভার ফিরিয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসের প্রতিটি সেকেন্ডের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদ জড়িয়ে আছেন। কাজেই আজকে, ক্ষণকালীন ইতিহাসের হাতে তাজউদ্দীন আহমদ যতই অনাদৃত থাকুন না কেন, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গেই যাবেন। স্বাধীন দেশে তাজউদ্দীন আহমদের খুন হয়ে যাওয়া কিংবা ইতিহাসের পাতায় তাকে মলিন করে দেবার চেষ্টা যাদের দুঃখিত করে, তাদের জন্য সান্ত্বনা শুধু এটুকুই, তাজউদ্দীন আহমদের নিয়তি, মুক্তিযুদ্ধের মাঠেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। একদিকে কিছু ষড়যন্ত্র আমৃত্যু তার পেছনে ধাওয়া করেছে আবার নিজের স্বল্পকালীন জীবনেই তিনি এমন কিছু কাজের ছাপ রেখে গেছেন যেটা তাকে নতুন করে খুঁজে পেতে তরুণ প্রজন্মকে নিরন্তর উৎসাহিত করছে এবং করবে।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তাজউদ্দীন আহমদ পাঠচক্র।

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘রানা প্লাজার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে’
‘রানা প্লাজার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ করতে হবে’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে অনিশ্চিত রিজওয়ান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টি-টোয়েন্টিতে অনিশ্চিত রিজওয়ান
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতা বললেন ‘রিজভী ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন’
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি নেতা বললেন ‘রিজভী ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন’
‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে সামাজিক কুসংস্কার’
‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে সামাজিক কুসংস্কার’
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ