X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেন ‘জজ মিয়া’ সৃষ্টি হয় যুগে যুগে?

ডা. জাহেদ উর রহমান
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:১০আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:১৯

ডা. জাহেদ উর রহমান বেশ কিছুদিন থেকে একটা অভ্যাস হয়েছে। মূলধারার মিডিয়ায় প্রকাশিত কোনও সংবাদকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে সেই মিডিয়ার ফেসবুক পাতায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে সেই সংবাদে মানুষের রিঅ্যাকশন দেখার চেষ্টা করি। মন্তব্য পড়ি। মনোযোগ দিয়ে এটাও খেয়াল করি আমার নিউজফিডে এই সংবাদ কতজন শেয়ার করছেন বা সেই প্রসঙ্গে কী মন্তব্য করছেন। এটা করি কারণ আমাদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দেয়।
ফেসবুকে শেয়ার করা সংবাদগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখতে যাওয়ার আগে আমি নিজের মধ্যে একটা পূর্বানুমান করে নেই। তারপর বাস্তবের সঙ্গে সেটা মিলিয়ে দেখি। আমারও একটা পরীক্ষা হয়ে যায়, এই সমাজের একটা বিশেষ শ্রেণির মানুষকে আমি ঠিক কতটা চিনি। যত দিন যাচ্ছে আমার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা বাড়ছে–প্রায় সময়ই আমার পূর্বানুমান বাস্তবের সঙ্গে মিলে যায়। অবশ্য কখনও কখনও সেটা মেলে না। কয়েকদিন আগে একটা সংবাদ মূলধারার মিডিয়ায় গুরুত্ব দিয়েই এসেছে। অভ্যাসবশতই সেসব মিডিয়ার ফেসবুক পেজে ঢুকে দেখার চেষ্টা করলাম নেটিজেনরা সংবাদটি দিয়ে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। আমি যা ভেবেছিলাম প্রতিক্রিয়া ঠিক সেরকমই হয়েছে। এই প্রতিক্রিয়ার ধরনটা একটা আধুনিক মানবিক রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে ভীষণ হতাশার বার্তা দেয়। এই প্রসঙ্গে আসছি একটু পরেই, তার আগে ঘটনাটা দেখে নেওয়া যাক। 
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ৪ জুলাই বিকালে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘদিন খোঁজ করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন কিশোরীর বাবা। এ ঘটনায় কিশোরীর মায়ের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে গত ৭ ও ৮ আগস্ট পুলিশ একই এলাকার রকিব, আবদুল্লাহ ও খলিল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে খলিল নৌকার মাঝি। গ্রেফতারের পর তিন আসামি দুই দফা রিমান্ড শেষে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দি দেয়।

বিপত্তি বাধে যখন ‘নিখোঁজ’ কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ৫১ দিনের মাথায় ফিরে আসে। ফিরে আসার পর ওই কিশোরী আদালতে বলেছে, ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে সংসার পেতেছিল সে।
এরপর যা যা ঘটেছে সেটার অনেক দিক নিয়েই বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন, বরাবরের মতোই পুলিশ তাদের এক সদস্যের ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে প্রত্যাহার করার বেশি কিছু করেনি। আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউজ পোর্টালের সংবাদে জানা যায়, আলোচিত ঘটনার পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্তদের কাছ থেকে নেওয়া ‘ঘুষের টাকাও’ ফেরত দিয়েছেন। আমি এই বিষয়গুলোতে কথা না বলে কথা বলছি আরেকটা বিষয় যেটা আমার বিবেচনায় আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে যাওয়া যাক। পুলিশ সপ্তাহ চলছিল তখন। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানানো হয় যেন ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩’ বাতিল করা হয়। ২০১৭ সালে এই ঘটনা শেষবার হয়েছিল বলে এই সালটির কথা বললাম, কিন্তু ২০১৩ সালে এই আইনটি প্রণয়নের পর থেকে প্রতিটি পুলিশ সপ্তাহে এই আইন বাতিলের জন্য পুলিশ বাহিনী আবেদন জানিয়ে আসছে। তাদের যুক্তি এ আইনের কারণে নাকি অনেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের সুযোগ পাচ্ছে। তাদের এই দাবি মেনে নেননি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। (বাংলা ট্রিবিউন, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯)

নাকচ হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ হাল ছেড়ে দেয়নি, ২০১৮ সালের পুলিশ সপ্তাহে তারা আবার এই আইনের প্রসঙ্গ তোলে। এবার আর বাতিলের দাবি না জানিয়ে তারা সংশোধনের দাবি জানায়। তখন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আইনটি এখন পর্যন্ত সংশোধিত হয়নি।
পুলিশ সপ্তাহে নানা দাবিদাওয়া কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তুলে ফেলে না। এটা আসলে পুলিশ বাহিনীর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং সেই সিদ্ধান্ত মতে কোনও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সেটা উত্থাপনের। অর্থাৎ আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি পুলিশ বাহিনী কোনোভাবেই চায় না এই আইনটি থাকুক। কিন্তু অবাক লাগে, এই আইনটি যদি পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষরা মন দিয়ে পড়ে দেখতেন তাহলে তারা দেখতে পেতেন এই আইন ছাড়া বাংলাদেশে আর চলতে পারবে না। মূল আইনটির প্রস্তাবনা অংশ পড়ে নেওয়া যাক—  ‘যেহেতু ১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার অথবা দণ্ডবিরোধী একটি সনদ স্বাক্ষরিত হইয়াছে; এবং যেহেতু ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত দলিলের মাধ্যমে উক্ত সনদে বাংলাদেশও অংশীদার হইয়াছে; এবং যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ করিয়াছে; এবং যেহেতু জাতিসংঘ সনদের ২(১) ও ৪ অনুচ্ছেদ নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করিয়া নিজ নিজ দেশে আইন প্রণয়নের দাবি করে; এবং যেহেতু বাংলাদেশে উপরিউক্ত সনদে বর্ণিত অঙ্গীকারসমূহের কার্যকারিতা প্রদানে আইনী বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।’


বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছদে উল্লেখ আছে এই প্রস্তাবনায়, এটা আসলে সৌজন্য, এই দেশের সরকারগুলো তার স্বার্থের সঙ্গে সংঘাত হলে কখনও সংবিধানকে পাত্তা দেয়নি। কিছুটা অফটপিক হলেও একটা উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক। আমাদের সংবিধান উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ এবং তাদের চাকরি বিধির জন্য আইন করার নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর হাইকোর্টও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর কেটে গেলেও বিচারক নিয়োগের জন্য কোনও আইন দূরে থাকুক স্পষ্ট নীতিমালা আজ‌ও প্রণীত হয়নি। ঠিক একই কথা প্রযোজ্য রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে।
মূল প্রসঙ্গে ফেরা যাক। এই আইনটি করতে সরকারকে আসলে বাধ্য হতে হয়েছে জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী সনদে স্বাক্ষরকারী হিসাবে। এটাকে পেছাতে পেছাতে সরকার তারপরও অনেক দূরে নিয়ে এসেছে। প্রস্তাবনাতেই উল্লেখ আছে এই সনদ সরকার স্বাক্ষর করেছিল ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর। তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় কি জানতো না এই আইন বাতিল করা সম্ভব না? এখন তারা আইনটি সংশোধনের সুপারিশ করেছেন। সে সুপারিশের রূপরেখা তারা এর আগেই দিয়েছিলেন। তারা চেয়েছিলেন আইনের ১৪টি ধারা ও উপধারা সংশোধন করা হোক। আইনের সাতটি ধারা বিলুপ্ত করার কথা বলেছিলেন তারা। পাশাপাশি একটি নতুন ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। (দৈনিক যুগান্তর, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮)
আইনটি বিলুপ্ত করার জন্য পুলিশের যুক্তিতে ফিরে আসা যাক। এই আইন নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নাকি অনেক মিথ্যা মামলা হয়। একটু ভেবে দেখুন, এই দেশে বসবাস করে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হবে অনেক, বিশ্বাস করি আমরা? তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই তেমনটা হবে, তবুও সেটা কোনোভাবেই যুক্তি হতে পারে না। এটা যদি যুক্তি হয় পৃথিবীতে কোনও দিন কোনও আইন তৈরি হবে না। কারণ যেকোনও আইনের অধীনেই ভুয়া মামলা হতে পারে। সেজন্যই ভুয়া মামলা হলে সেটার বিরুদ্ধে প্রতিকারের ব্যবস্থা থাকে।
আরেকটা খুব ভয়ঙ্কর ব্যাপার আছে। এই অস্ত্র হাতে থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে তারা জনগণকে নির্যাতন করে এবং নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে। মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার ক্ষমতা যখন কিছু পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তার ফল কিন্তু আমরা দেখেছি। টেকনাফের আলোচিত ওসি প্রদীপ বহু মানুষকে ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সংবাদে এখন মিডিয়া আসছে।
এই আইন বাতিল চাওয়ার মূল কারণ পুলিশ মানুষকে হেফাজতে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ক্ষমতা পুলিশ তার হাতে রাখতে চায়। এটা তাদের এক ধরনের শর্টকাট পথ বাতলে দেয়। কোনও অপরাধ ঘটলে সেটার সন্দেহভাজনকে ধরে তাকে দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়াতে পারলে পুলিশের প্রাথমিক কর্তব্য শেষ হয়ে যায়। অনেক কম পরিশ্রমে অনেক দ্রুত তদন্ত শেষ হয়ে যায়। অথচ এই পদ্ধতির কারণেই যেকোনও ফৌজদারি ঘটনার খুব ভালো তদন্ত অনেক ক্ষেত্রেই হয় না।
আমরা জানি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনেক ক্ষেত্রেই খুব শক্ত আইনগত ভিত্তি ‌পায় না। যেকোনও ফৌজদারি মামলার বিচারের প্রক্রিয়া যখন শুরু হয় তখন অনেক অভিযুক্ত মানুষ তার ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তাদের পাশে থাকে খুব শক্ত যুক্তি যে তাদের নির্যাতন করে এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে অতি আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ড অভিযুক্ত তার স্ত্রী মিন্নি ১৬৪ ধারায় দেওয়া তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করার সংবাদ আমরা পত্রিকায় দেখেছি। এই রাষ্ট্রের বিচারকগণ যেহেতু এই মাটির‌ই সন্তান, তাই তারা পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকেন। এবং অনেক ক্ষেত্রেই এই জবানবন্দিগুলো বাতিল হয়ে যায়। এই দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এটা এক বড় খুঁত।  ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর জজ মিয়া নাটক হয়েছিল। সেই সময়কার ঘটনাটি আকারে প্রকারে বিশাল বড় ছিল বলেই জজ মিয়া কাণ্ড আমাদের সামনে খুব ভালোভাবে এসেছিল। সেই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি নিয়ে আমরা খুব শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম। কিন্তু শুরুতে যেমন বলছিলাম ফেসবুকে ঢুকে আমি নারায়ণগঞ্জে একালের জজ মিয়াদের নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া খুব বেশি ছিল না। এর একটাই মানে, মানুষ জানে এবং মেনে নিয়েছে পুলিশ বাহিনীতে এই রকম ঘটনা নিয়মিত চর্চা। 
নারায়ণগঞ্জের আলোচ্য ঘটনাটিতে যদি মেয়েটি ফিরে না আসতো, তার মৃতদেহ পাওয়া যেতো, তাহলে নির্যাতন করে সাক্ষ্য আদায়ের এই ঘটনা আমাদের সামনে আর আসতো না। ঠিক এভাবেই বহু ঘটনা আমাদের সামনে আর আসে না। বহু ক্ষেত্রেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় প্রমাণিত হয় ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি ভুল ছিল। সেগুলো আর গুরুত্ব দিয়ে মিডিয়ায় আসে না। একবিংশ শতাব্দীতে কোনও রাষ্ট্র নিজের মতো করে যাচ্ছেতাই করতে পারে না। সেই কারণেই আমাদের কিছু আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে চলতে হচ্ছে। ‌দুঃখটা এখানে, হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু বন্ধ করা নিয়ে খুব শক্ত অবস্থান নেওয়ার জন্য বিদেশি চাপ কেন লাগবে? যে মানুষগুলোর ওপরে এই অন্যায়টা হয় সেই মানুষগুলোও এই রাষ্ট্রের নাগরিক। তারা অভিযুক্ত কিংবা অপরাধী হলেও এই দেশের সংবিধানের আলোকে তাদের প্রতিটি আইনগত অধিকার নিশ্চিত থাকতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করার জন্য সব নাগরিককে খুব শক্তভাবে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে হেফাজতে মৃত্যু দূরেই থাকুক, একটা নির্যাতনের ঘটনাও এই রাষ্ট্রের সংবিধান এবং আইন পরিপন্থী, তাই সেটা একটা মানবিক রাষ্ট্র গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

 

পদটীকা:

‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩’-এ করা প্রথম কোনও মামলার রায় দিতে যাচ্ছেন আদালত। রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা জনিকে থানায় পিটিয়ে হত্যার মামলায় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেবেন আদালত। এ মামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন আসামি। ভুক্তভোগী পরিবার সুবিচার পেলে এই রায়টি একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। 

 

লেখক: শিক্ষক ও অ্যাকটিভিস্ট

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ