X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে জঙ্গি হুমকি: অসারের তর্জন গর্জন সার

শরীফ মাহমুদ অপু
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫১আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:০১

শরীফ মাহমুদ অপু বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা বা হুমকি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সাধারণত জুলাই আগস্ট মাসের দিকেই এরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপচেষ্টা করে থাকে। হলি আর্টিজান হামলা ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে হামলাসহ কিছু ছোট ছোট হামলার জন্য মূলত এ সময়টাই এরা বেছে নেয়। হয়তো এর পেছনে এদের নিজস্ব কোনও চিন্তা বা কারণ থাকতে পারে। বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শের দেশীয় অনুসারী নব্য জেএমবি’র সদস্যরা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালায়। বিশ্লেষণ-পর্যালোচনায় বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের আইএসএর উদ্দেশ্যের সঙ্গে দেশীয় এসব জঙ্গির তৎপরতার বেশ ফারাক দেখা যায়। নব্য জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ এসব জঙ্গি গ্রুপ যতটা না দেশকে ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তার চেয়ে বেশি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই যেন এদের মূল লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এরা বাংলাদেশে বসবাসরত অথবা উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে এদেশে আসা বিদেশিদের টার্গেট করে ‘টার্গেট কিলিং’ শুরু করে। এবং প্রতিটা ঘটনার পরেই ‘সাইট’ নামক একটি ওয়েবসাইট থেকে আইএস এর দায় স্বীকার করে। 

করোনাভাইরাসের আক্রমণ সামাল দিতে বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত অবস্থায় তখন পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে এরা আক্রমণ চালায়। বাংলাদেশেও পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে এরা কথিত ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আমরা জঙ্গিদের মূল উৎপাটন করতে পারিনি সত্য, তবে এদের আর বড় কোনও হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই; জনগণের সহায়তায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সফল হয়েছে। এদের ছোট ছোট স্লিপিং সেলগুলো মাঝে-মধ্যে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয়। এগুলো সিরিয়াস কিছু নয়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের দমনে সক্ষম।’

প্রকৃত অর্থে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলার আকস্মিকতা পর্যালোচনায় সরকার জঙ্গিদের দমনে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয় বলেই তারা এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। জঙ্গিরা এখন পুলিশ ও পুলিশ বক্স, থানা এসব স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করছে, যাতে তাদের অস্তিত্বের জানান দিতে সহজ হয়।

‘আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান।’– এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে মূলত বাংলাদেশে মৌলবাদীদের উত্থান ঘটে ১৯৯২ সালে। ২০০৪ সালে সর্বহারা দমনের নামে বাংলাভাই নামে সন্ত্রাস সিনেম্যাটিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২৩ জন মানুষ নিহত হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সশস্ত্র জঙ্গিবাদের উত্থানের সর্ববৃহৎ আলামত দৃশ্যমান হয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জেএমবির ৬১টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে। সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয়। এ হামলায় ৫ জঙ্গিসহ দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২৯ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশের জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। তার আহ্বানে শিক্ষক-ছাত্র, ইমাম- পুরোহিত, সকল ধর্মের গুরু থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই এগিয়ে এসেছে। জনগণ সহযোগিতা করেছে বলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিদের দমন করতে পেরেছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু; ধর্মান্ধ নয়;  ধর্মান্ধ হলে পাকিস্তান থেকে দেশকে স্বাধীন করতো না। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে শোষিত দেশটি কিন্তু ধর্মের মায়াজাল ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছিল। পেয়েছিল একটি নতুন সংবিধান; যার শুরুটা হয়েছিল অসাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে। সুতরাং এদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতা তথা জঙ্গিবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় কখনও দেবে না। বাঙালির মনন মানসেই প্রগতিশীলতার বীজ লুকায়িত আছে, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জনগণের জঙ্গিবিরোধী মানসিকতাই জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য সহজ হয়ে যায়। 

জঙ্গি দমনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধীন বাংলাদেশ পুলিশ, RAB বিশেষ করে তাদের গোয়েন্দা ইউনিটগুলো অগ্রাংশে কাজ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। হলি আর্টিজান হামলার ব্যাপকতা লক্ষ করে তিনি প্রথমে জঙ্গি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর সকল ইউনিটকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার জন্য একত্রিত করেন। তার প্রচেষ্টা বেশ কার্যকর হয়। RAB, পুলিশ, এনটিএমসি, সাইবার টিম সকলের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জঙ্গিদের মনোবল ভেঙে দেয়। 

হলি আর্টিজান হামলার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সারারাত টেলিভিশনের সামনে বসে একের পর এক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছিলেন। একদিকে গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিচ্ছেন, অন্যদিকে আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, উপকমিশনার সবার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা নিয়েও কথা বলে যাচ্ছিলেন। আহত পুলিশ সদস্যদের কার কী অবস্থা; তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার খবর নিয়ে তাকে জানানোর জন্য এই কলাম লেখককেও নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। কমান্ডো অভিযান শেষে সকালে কলাম লেখককে বলেছিলেন, ‘শোনো, জঙ্গি দমনই হবে আমাদের আগামীর চ্যালেঞ্জ।’ 

চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ সফলও হয়েছে বলতে হবে। শুরু করলেন একের পর এক কর্মকাণ্ড। জঙ্গি দমনে পুলিশে নতুন দুটি ইউনিট প্রস্তুত করলেন। এখন পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার এর ল’ফুল ইন্টারসেপশন উইনিট জঙ্গি দমনে সরাসরি কাজ করছে। তাছাড়া র‌্যাব, এনটিএমসি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাও একসঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত জেএমবি, শাহাদাত ই আল হিকমা, জেএমজিবি, হিজবুত তাহরীর, হুজিবি, এবিটি, আনসার আল ইসলাম ও আল্লাহর দল নামে আটটি জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়।

পূর্বেই উল্লেখ করেছি জঙ্গি দমনে সরকার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা; এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কূটনৈতিক তৎপরতা প্রণিধানযোগ্য। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় তাকে এখন বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলা যায়। জাতিসংঘের একটি ফোরামে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেন; সেখানে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘টেকসই শান্তির জন্য দরকার টেকসই  উন্নয়ন, আর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য টেকসই নিরাপত্তা দরকার। সুতরাং টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দদের কাজ করে যেতে হবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সেশনে ১৯৩টি সদস্য দেশের উপস্থিতিতে জাতিসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলের সভায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগুচ্ছে বলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাছাড়া ভারত, চীন ,তুরস্ক, মিয়ানমারের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকেও তিনি জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এতে দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ ও তথ্য শেয়ার হয় ফলে জঙ্গি দমনে সক্ষমতা ত্বরান্বিত হয়।

সিলেট গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অনেক জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযানের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিন্তু ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। অভিযানে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের কারাভ্যন্তরে ডি র‌্যাডিক্যালাইজেশনের মাধ্যমে এরা যে ভুল করছে বা ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে সেগুলো বোঝানো হয়। কারাগারে তাদের কাউন্সেলিং করা হয়। তাছাড়া স্কুল-কলেজে লিফলেট-ফেস্টুন বিতরণ; বেতার, টেলিভিশন পত্রিকায় ফিলার-অ্যাড, সচেতনতামূলক প্রচার উল্লেখযোগ্য। জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে এবং ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষকে জানানোর জন্য সকল ধর্মের ধর্মীয় গুরুদের এক টেবিলে নিয়ে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের নিয়ে দেশের সব বিভাগীয় জেলায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সভা-সমাবেশ করেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এসব ছবি প্রচার হয়েছে বিশ্ব মিডিয়ায়।

মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ সোয়া লাখ আলেমদের নিয়ে জঙ্গিবিরোধী ফতোয়া দেন সেটিও ব্র্যান্ডিং করেন মন্ত্রী। তাছাড়া জঙ্গিদের দ্বারা ধর্মের অপব্যাখ্যায় মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকেও দেশের মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ইমাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিকট নির্দেশনা ছিল। 

ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম: এ ধর্মে বিনা কারণে মানুষ হত্যা সমর্থন করে না সেটা বোঝানো হয়। সরকার এভাবে মানুষকে সচেতন করতে পেরেছিল বলেই আজ জঙ্গিরা কোণঠাসা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কোনও জঙ্গি মারা গেলে তাদের নিকটাত্মীয়রা এমনকি মা-বাবাও তাদের লাশ গ্রহণ করছে না। এসব দেখে অনেক জঙ্গি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। তবে এখনও আত্মতৃপ্তির কোনও কারণ নেই, আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে: ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে কত শত সহস্ত্র দেশ প্রেমিক প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। জঙ্গি তৎপরতাও বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টামাত্র। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ছয়জন পুলিশ সদস্য এবং র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের একজন করে সদস্য শহীদ হয়েছেন। বর্তমানে জঙ্গি দমনে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গির মতো যেকোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। নিকট অতীতে দেশের মানুষের জঙ্গিবিরোধী যে তৎপরতা দেখা গেছে এতে নিঃসন্দেহে আশা করা যায় জঙ্গিদের ‘স্লিপিং সেল’ও ধীরে ধীরে শূন্যে মিলিয়ে যাবে।

লেখক: তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

 

 

 
/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মোহনায় শতাধিক পাইলট তিমি আটক
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ