X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা পজিটিভ: ধন্যবাদ বাংলাদেশ

মোস্তফা মল্লিক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৪২আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৪৪

মোস্তফা মল্লিক হাজারো সচেতনতার পরেও যখন দেখলেন আপনার রেজাল্ট এসেছে করোনা পজিটিভ, তখন সব ভাবনাতেও থাকতে হবে পজিটিভ। অর্থাৎ এই পৃথিবীতে খারাপ বলতে কিছু নেই, পৃথিবী মানেই হচ্ছে সুখের। পৃথিবী মানেই হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য। এরকম সুখময় কল্পনা আপনাকে বাঁচাতে সহায়তা করবে। চিকিৎসকরা বলে থাকেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর দৃঢ় মনোবল এক ধরনের ওষুধ। সুতরাং চারপাশের সব কথা বাদ দিয়ে শুধুই চিকিৎসকের ভালো পরামর্শ শুনতে হবে, প্রচুর খেতে হবে, আর সাহস রাখতে হবে।
সবার জানা এ কথাগুলো আমিও আর দশজনের মতো জানতাম। তবে এই জানাটা কতটা জরুরি সেটা বুঝতে পেরেছি যখন আমি নিজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। অর্থাৎ পজিটিভ হয়েছি। তার আগ পর্যন্ত ‘মনে সাহস রাখা প্রয়োজন’ এটা নিজের জন্য প্রয়োগ করা হয়নি। টেস্টে করোনা পজিটিভ হওয়ার পর যখন প্রয়োগ করলাম তখন দেখলাম মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এরকম সাহস তাদেরই তৈরি করে দেন, যাদের তিনি বাঁচিয়ে রাখতে চান। আর তাদেরই এমন সাহস তৈরি হয়, যারা বেঁচে থাকতে চান মৃত্যু না হওয়ার আগ পর্যন্ত। অর্থাৎ মারা যাওয়ার আগেই যারা স্রেফ করোনা হয়েছে বলে মারা যান, আমার ধারণা সৃষ্টিকর্তার কাছে তারা অকৃতজ্ঞও বটে।

প্রশ্ন হচ্ছে এসবের সঙ্গে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ কেন? সেই প্রসঙ্গেই এখন যাচ্ছি সরাসরি। সাংবাদিকতা করার কারণে বিশ্বের প্রায় ১৯টি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে আমার। উন্নত দেশে যা যা দেখেছি, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে আমার জীবনে। আমার প্রিয় লাল সবুজের বাংলাদেশে এমন কিছু হবে তা ভাবনাতে থাকলেও খুব একটা হয়নি, যা হয়েছে এবার। এজন্যই ধন্যবাদ দিয়ে শুরু করেছি লেখাটি।

সব ধরনের উপসর্গ থাকায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার আজিমপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে স্ত্রীকে টেস্ট করতে পাঠালাম। এটা সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ইংরেজি নামে অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হলেও বাংলা নামে সবার কাছেই পরিচিত। আজিমপুর মাতৃসদন কেন্দ্র। এখানে স্ত্রীকে টেস্ট করতে পাঠাবো কি পাঠাবো না এ নিয়ে ছিলাম বেশ চিন্তিত। কারণ তিন হাজার আটশ’ টাকায় বেসরকারি হাসপাতালে টেস্ট করানো হয়, এটা তো জানাই ছিল। তবে এরকম বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতালের করোনা রিপোর্ট করাতে গ্রাহকদের হতাশার কথাও কিছুটা জানা ছিল আমার।  শিশু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আতিকুল ইসলামকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় ভালো হয়? ডাক্তার আতিকুল ইসলাম এবং তার চিকিৎসক স্ত্রী ও সন্তানও করোনা পজিটিভ ছিলেন। তিনিও পরামর্শ দিলেন মাতৃসদনে করাতে। মাত্র একশ’ টাকায় কেমন টেস্ট হবে এমন নানা চিন্তা থেকে স্ত্রীকে পাঠালাম। টেস্ট করানোর পর বাসায় এসে ও যে বর্ণনা দিলো সেটা পরের দিন আমি টের পেলাম। কারণ পরের দিন করোনা টেস্ট করতে যেতে হয়েছে আমাকেও। প্রচন্ড শরীর ব্যথা নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে দশটার দিকে গেলাম মাতৃসদনে। মূল ভবনের পেছনে অর্থাৎ পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বিভাগীয় অফিসে ঢোকার আগেই বাম দিক দিয়ে যে প্রবেশপথ, সেখান দিয়ে এগিয়ে ঝকঝকে তকতকে একটা রুম। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। দেখলে বোঝাই যায় করোনার টেস্ট করাতে যারা আসবেন তাদের জন্যই প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে এই কক্ষ। বসার জন্য বেশ কিছু চেয়ার আর কিছু টেবিলও আছে। কিন্তু টেবিল কেন? কিছুক্ষণ পরই ওই টেবিলের ওপরে ফরম রেখে নিজের তথ্য পূরণ করতে হয়েছে আমাকে।

রুমের ভেতরে প্রবেশের আগেই একজন বললেন, টেস্ট করাবেন? জি বলে সামনে আগালাম। তিনি একটা কাগজ বের করে দেখিয়ে দিলেন কী কী পূরণ করতে হবে আমায়। এরপর একশ’ টাকা নিলেন তিনি। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লেগেছে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড। ফরম পূরণ করে দেওয়ার পর আরেকজনের কাছে জমা দিলাম। তিনি একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, বাইরে অপেক্ষা করুন। এরও ৫/১০ মিনিট পর একটা স্বচ্ছ কাচের বাক্সের সামনে দেওয়া চেয়ারে বসানো হলো আমাকে। ভেতরে থাকা একজন নারী তার হাতে লাগানো বিশাল গ্লাভস দিয়ে আমাকে আলতো করে ধরে নাকের ভেতরে কটনবাডের মতো কিছু একটা দিলো। একটু ব্যথ্যাও পেলাম। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জনই এ সময়ে বলে উঠলেন, সরি। সরকারি দু’জন কর্মচারীর একসঙ্গে অন্যের কষ্টে এমন দুঃখ প্রকাশ আমার কাছে ভালো লেগেছে। সম্প্রতি ড্রাইভার মালেকের বাড়ি আর একাধিক ফ্ল্যাটের খবর যেভাবে ভাইরাল হয়েছে, আমার কাছে মনে হয়েছে এই যে প্রয়োজন।

যাই হোক দু’দিন পরে মোবাইলে বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হলো আমার স্ত্রী করোনা পজিটিভ। আর একদিন পর আমিও বার্তা পেলাম করোনা পজিটিভ। পরিচিত চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধের তালিকা নিলাম আর সঠিক নিয়ম মেনে শুরু করলাম শরীরে করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন জীবন।

পরের দিন খুব সম্ভবত ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটা নম্বর থেকে স্ত্রীর নম্বরে ফোন এলো। দীর্ঘক্ষণ কথা হলো ওদের মধ্যে। সে বিষয়ে না বলে আমার জন্য ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোর কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি আপনাদের। যারা করোনাভাইরাস বহন করছেন কিংবা সব ধরনের উপসর্গ থাকার পরেও টেস্ট করাচ্ছেন না, তাদের কাছে এই উদাহরণগুলো বেশ কাজে দেবে।

দু’দিন বাদে আমার যখন পজিটিভ রিপোর্ট এলো এর একদিন পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি নম্বর থেকে একটা ফোন এলো। অপরপ্রান্তে নারী কণ্ঠের একজন নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘খুবই দুঃখিত যে আপনি পজিটিভ হয়েছেন। বি পজিটিভ। টেনশন করবেন না। এখন শরীর কেমন।’ তাকে বললাম, এই তো কোনোরকম চলছে। তিনি জানতে চাইলেন, ওষুধ কী খাচ্ছি। তাকে বিস্তারিত বললাম। তিনি বললেন, ‘প্যারাসিটামল একটার জায়গায় দুটো করে দিন। সকালে দুটো আর রাতে দুটো। আর অন্য ওষুধ ঠিক আছে।’ নম্বরটা সেভ করে রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি। জানালেন, শরীর যদি খুব খারাপ হয় তাহলে যেন তাদের নম্বরে ফোন করে পরামর্শ চাই। আমার কথা বলতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল। তারপরেও বললাম, যদি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় কিংবা অক্সিজেন বা অ্যাম্বুলেন্স সাপোর্ট লাগে? তিনি বললেন, ‘কোনও সমস্যা নেই। এই নম্বরে ফোন করবেন, আপনাকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’

আমার করোনা পজিটিভ-সহকর্মীরা এই সংবাদ জেনে যায় খুব দ্রুত। সাংবাদিক এস এম আব্বাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে দেয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আমার করোনার পজিটিভের সংবাদ। ক্ষুদে বার্তায় আসতে থাকে হাজারো সমাধান। মেসেঞ্জারে আসতে থাকে চিকিৎসকদের নানা প্রেসক্রিপশন। সব প্রায় একই ওষুধের নাম। বিভিন্নজন জানতে চান ফোন করবেন কিনা। কথা বলতে সমস্যা কিনা, এমন নানা প্রশ্ন।

বাংলাদেশ কর্মকমিশনের সদ্য যোগদান করা চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন স্যার ফোন করে জানতে চান, কিছু লাগবে কিনা আমার? কথা বলতে সমস্যা নেই তো? চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে তো? স্যারকে জানালাম, আমার উপসর্গ যখন ছিল তখন বেশ কষ্ট হচ্ছিল, এখন কিছুটা ভালো। সোহরাব হোসাইন স্যার বললেন, যেকোনও সমস্যায় যেন তাকেই সবার আগে ফোন দেই। সদ্য করোনা পজিটিভ হওয়া একজন নিম্নবিত্ত সাংবাদিক আর তার স্ত্রীর সামনে যখন পুরো আকাশ ভেঙে পড়া অবস্থা, যখন তাদের ছোট্ট তিনটি সন্তান কীভাবে আলাদা রাখা যায় ছোট্ট দু’রুমের বাসার মধ্যে এমন হাজারো চিন্তা, তখন রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের এমন ফোন সত্যিই কিছুটা হলেও বুকে আশা জাগায়-এ পৃথিবীতে কেউ অসহায় নয়।

মেসেঞ্জার ভরে যায় আমার, সেখানে নানা পরামর্শ। সব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ বাসায় আসতে চায়, কেউ বাজার করে দিতে চায়, টাকা পয়সার সমস্যা আছে কিনা জানতে চায় হাজারো মানুষ। যাদের অধিকাংশের সঙ্গেই পরিচয় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। না সাংবাদিকতা করে তাদের ব্যক্তিগত কোনও উপকারে আসিনি কখনও, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্রেফ ভালোবাসার।

আজিমপুরের মাহমুদা ইয়াসমিন দম্পতি তো কয়েকদিনের খাবার একসঙ্গে তৈরি করে বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। শান্তিবাগের তাজিন আর জাহিদ দম্পতি খাবার পাঠালেন একাধিক দিন। সে অন্য ভালোবাসা, সুযোগ হলে হয়তো কখনও বলবো। ফিরে আসি আবারও মূল প্রসঙ্গে। আজ ১০/১১ দিনের মতো হলো আমার। এই সময়ের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সরকারি ফোন পেয়েছি। অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ফোন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানতে চেয়েছেন নানা বিষয়। কেন বেশি খেতে হবে, কেন বেশি বেশি ঘরে থাকতে হবে, এমন নানা পরামর্শ তাদের। একদিন তো দিনে দুবার আবার বিকেলে আরও একবার মোট তিনবার ফোন করে কথা বলেছেন তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মনটা ভরে গেছে।

হাজারো খারাপ সংবাদের মধ্যে আমার মতো একজন নগণ্য মানুষকে এতটা গুরুত্ব দিয়ে টানা ফোন আমাকে সত্যিই আলো দেখিয়েছে। প্রতিবার ফোন পেয়েছি আর নিজেকেই প্রশ্ন করেছি আমি বাংলাদেশের নাগরিক। সরকার আমাকে ফোন দিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছে। এক গাড়িচালক মালেকের শ’কোটি টাকার সংবাদ যদি আমাকে অস্থির করে তোলে, তাহলে আমার আর আমার স্ত্রীর মতো একজন সাধারণ নাগরিককে দফায় দফায় এমন সরকারি ফোন আমাকে শান্তি দেয়। মনে হয় নিজের স্বজনদের পরেও আছে আরও অনেক স্বজন।

অফিস থেকে বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খানসহ সকল সহকর্মী, এফবি বন্ধু, শিক্ষামন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তা, বিদেশে থাকা পরিচিত-অপরিচিত মানুষদের বারবার খোঁজ নেওয়াটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে কেউ একা নয়। এক সময়ের মহামারি করোনাভাইরাসের সঙ্গে এখন যুদ্ধ করছে সবাই। সেই যুদ্ধটা হয়তো শীতে আরও বাড়বে, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। যদিও কেউ কেউ বলছেন, করোনাভাইরাস এখন দুর্বল। যারা অসুস্থ তাদের জন্য স্বজনদের এমন কথা কিছুটা চিন্তা মুক্ত করলেও যার করোনা হয়েছে তিনি বুঝতে পারেন আসলেই কতটা অসহায় তারা। এই যেমন ক’দিন আগে বুকের তীব্র ব্যথা, শ্বাস নিতে কত কষ্ট, এটা সেই বুঝবে যার হযেছে। অবশ্য যারা এরকম কষ্ট ছাড়া পজিটিভ হয়েছেন, তাদের কথা ভিন্ন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যখন ফোন করেছে আর তাদের কষ্টের কথা বলেছি, তখন তারাও  আপনের মতো দিয়েছেন পরামর্শ।

উন্নত দেশে আগে এমন গল্প শুনতাম টেলিফোন করলেও গাড়ি চলে আসে, আসে স্বেচ্ছাসেবক। যেহেতু সাংবাদিকতা করি, দেশকে আর সবার মতোই সেরা দেখতে চাই আমরা, তাই আমারও কল্পনায় ছিল এমন একটা বাংলাদেশের ছবি। ট্রিপল নাইনের সুফল প্রত্যক্ষ করছে পুরো দেশ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটা অসহায় অবস্থা, তখন করোনাভাইরাসের টেস্ট থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রের এমন খোঁজ খবর নেওয়া আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমার ভাবনার জগৎকে দিয়েছে বিশালতা। আর একটি কথা বারবার মনে হচ্ছে, যখন করোনাভাইরাসে আক্রমণ করবে তখন চারপাশের এমন খোঁজ খবর নেওয়াদের সংখ্যা যত বাড়বে ততই পরাস্থ হবে করোনাভাইরাস। নিজেকে গুটিয়ে একসময় পালিয়ে যাবে পাতালে। ভালো থাকুক সবাই, ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ।

লেখক: বিশেষ প্রতিনিধি, চ্যানেল আই। সভাপতি, বাংলাদেশ এডুকেশ রিপোর্টার্স ফোরাম।
[email protected]

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
রানা প্লাজা ধস: ১১ বছরেও শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
রানা প্লাজা ধস: ১১ বছরেও শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: মন্ত্রী
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ