X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

আয়কর দিবস হোক ‘করমুক্ত দিবস’

মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন
৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৬:১৩আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১৬:১৪

মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন আমরা সবাই জানি করোনাভাইরাসের আঘাতে বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মক হোঁচট খেয়ে দিশেহারা। বিশ্বের নানা দেশ নানা কৌশল ভাবছে, হচ্ছে নানা আলোচনা। বিশ্বের কাছে কেবল মাত্র অর্থনীতির চাকা সচল রাখাই একমাত্র মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের প্রথম দিকটা কিছুটা অসুবিধা হলেও সরকারের গৃহীত উদ্যোগের পাশাপাশি জনগণ নিজ নিজ উদ্যোগে কর্মমুখী হয়ে বের হয়ে এসেছে। তবুও মহামারির প্রভাবে কর্মহারা মানুষগুলো তাদের জীবন ও জীবিকা এখনও স্বাভাবিক করতে পারেনি। এর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে করোনার দ্বিতীয় প্রভাব। বর্তমান সংকট কাটিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি প্রণয়ন করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার উপযুক্ত সময় এখন।
আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয়ের সঙ্গে জাতীয় আয়ের বৃহৎ সংযোগ রয়েছে। এই জন্য ক্ষুদ্র অর্থনীতির চাকা যতবেশি সচল রাখা যাবে, জাতীয় অর্থনীতি তত দ্রুত ঘাটতি পুষিয়ে আনতে সক্ষম হবে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল হলে আমাদের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সহজ হবে।

অর্থনীতির স্বাভাবিক চলন ও রাজস্ব বৃদ্ধির একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটির কথা চিন্তাই করা যায় না। তাই সরকারকে সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ও বাস্তবতার নিরিখে তৈরিকৃত পরিকল্পনা নিয়ে দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলো গড়ে উঠতে সহায়তা করতে হবে। হতাশার কথা হলো তরুণ উদ্যোক্তারা যখন কোনও ব্যবসা বা উদ্যোগ শুরু করতে যায়, শুরুতেই তাদের নানা ধরনের আইনের বেড়াজালে আটকে যেতে হয়। ট্রেড লাইসেন্স, বিআইএন, টিআইএন ইত্যাদি খোলার কঠোর পদ্ধতিগুলো মারাত্মভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এগুলো অতিসহজে অনলাইনে পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এবং কমপক্ষে ৩-৫ বছর সকল প্রকার ভ্যাট ও ট্যাক্স  থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। কারণ যখন এই উদ্যোগগুলো তার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পারিপার্র্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে যাবে, তখন সরকারের দীর্ঘদিন ট্যাক্স, ভ্যাট  আদায় করার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের কর্তারা এগুলো বুঝেও না বুঝার মতো কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।    

আয়কর মেলা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর মেলা শুরু করা একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছিল। করদাতাদের মধ্যে কর প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদেরকে কর বিষয়ে সচেতন করা এবং নতুন করদাতা তৈরি করা এই মেলার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া করদাতাদের উৎসাহিত করার, অধিকতর সেবা নিশ্চিত করা, করদাতা ও কর কর্মকর্তাদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির সহায়ক ছিল আয়কর মেলা। ২০১০ সালে প্রথম করমেলা শুরু হয়েছিল ঢাকায় এবং চট্টগ্রামে। এর পর ধীরে ধীরে এ মেলা উপজেলা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। শুরু হওয়ার দশম বছরে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে বৃহৎ আকারে করমেলা না হলেও সার্কেল ভিত্তিক এ মেলা হচ্ছে। চলবে আজ ৩০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত।

আয়কর মেলার উদ্দেশ্য অনেকটা সফল। কারণ করমেলা মানুষের মাঝে একটা ধারণা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যে, বছরের আয়কর মেলা হবে এবং কোনোরূপ ঝক্কিঝামেলা ছাড়াও করদাতাগণ তাদের বাৎসরকি রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এধারা অব্যাহত রাখা জরুরি। আমাদের আয়কর মেলা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য আলাদা একটা ব্যবস্থা বলে মনে করে থাকে। কারণ অনেক উন্নত রাষ্ট্রে নাগরিকদের কর পরিশোধের পদ্ধতিই আলাদা। সেখানে আইন আছে, কার্যকরভাবে আছে এবং সে সব দেশে আয়কর আইনের আওতায় কর দেওয়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সকল নাগরিক ধরেই নিচ্ছে যে, আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। তাই আয়কর সম্পর্কে সরকারকে নতুন করে কোনও পদ্ধতির আবিষ্কার করতে হয় না। বিদেশে এ রকম কর মেলার আয়োজন করার কোনও নজির আছে কিনা আমার জানা নাই। তবে আমাদের এ ধারণা অন্যদেশেও চালু হতে পারে।

আয়কর আইন মেনে করযোগ্য নাগরিকরা আয়ের ওপর বাৎসরিক কর প্রদান করবেন এটাই নিয়ম। রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যয়ের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকারের আয়ের উৎস হচ্ছে নাগরিকদের দেয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর। পরোক্ষ কর বা ভ্যাট আমরা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি এটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ কেউ এর বাইরে নেই। কিন্তু প্রত্যক্ষ কর নিয়ে যত সমস্যা। আমাদের  দেশে করযোগ্য নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই কর দিতে রাজি হচ্ছে না। রাজি না হওয়ার দু’টি কারণ আছে। একটি কারণ হচ্ছে সচেতনতার অভাব/অবহেলা/আইন অমান্য করার প্রবণতা। অন্যটি হচ্ছে করভীতি। কর দিতে গেলেই নাকি ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।

আয়কর আইন প্রয়োগের কর্তাদের কৌশলী হওয়া দরকার। আইনগতভাবে কোনও ব্যবস্থা নিতে গিয়ে যেন করদাতারা অহেতুক কোনও রকমের হয়রানি বা ভয়ভীতির শিকার না হন সেইদিকে এনবিআর এর গভীর দৃষ্টি রাখা জরুরি। বিভিন্ন সময়ে আয়কর অফিসের হয়রানির কথা বলতে গিয়ে এক সময়ের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেছিলেন, ‘কেন জানি এনবিআরের নাম শুনলেই ভয় লাগে, গায়ে জ্বর আসে। এনবিআরকে মনে হয় ভয়ংকর বাঘের মতো’ (সূত্র: প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫)। একজন উচ্চতর করদাতার মন্তব্য যদি এমন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হবে, অনুমান করা যায়। আমাদের এ ভয়ের সংস্কৃতি থেকে করদাতাদের বের করে আনতে হবে, বের করার জন্য উদ্যোগটা নিতে হবে সরকারকে। কথায় কথায় ‘করদাতাকে দায়ী নয়, বরং করদাতার কাছে দায়বদ্ধতাই রাজস্ব বৃদ্ধির নিয়ামক হতে পারে’।

আমাদের কর আদায়ে দায়িত্ববান কর্তাদের আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করার অভ্যাস করতে হবে। আমরা বলছি না সব কর কর্মকর্তাই খারাপ। অনেক ভালো কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু কয়েকজনের কারণে পুরো সেক্টরে তথা পুরো জাতির কাছে একটা ভুল বার্তা চলে যায়। একজন করদাতা যখন কোনও কর অফিসে গিয়ে খারাপ আচরণের শিকার হন, তখন এর নেতিবাচক প্রভাব দ্রুততম সময়ে ছড়িয়ে পড়ে। এটা চরম আকার ধারণ করে নতুন করদাতাদের কর দিতে নিরুৎসাহিত করে। যার কারণে আমাদের ১৬-১৭ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশও করদাতা নাই। এ সংখ্যা আমাদের অর্থনীতির উন্নতির ধারণা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। বছরে ৩-৫ হাজার টাকা বা একটু বেশি কর দেওয়ার মতো লোকের সংখ্যা মাত্র ৪০-৫০ লাখ। আনুমানিক হলেও ৬-৭ কোটি হতে পারে। কিন্তু কর রিটার্ন জমা পড়ে মাত্র ৪০ লাখের কাছাকাছি! করদাতার সংখ্যা কেন এত কম এ নিয়ে নিশ্চয়ই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পর্যালোচনা করবে। আমার মতে বড় সমস্যা আমাদের আইন কার্যকর করার মধ্যে। আমরা সরলভাবে ব্যর্থ হয়ে বসে আছি কর পরিশোধে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা তৈরির কাজে, ব্যাপকভাবে করভীতি দূর করতে, আইনের যথাযথ/কার্যকর প্রয়োগ করতে। মানুষের মাঝে আইন পালনের সংস্কৃতি যেমন জোরদার করতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে করদাতাদের সম্মান দেওয়ার সংস্কৃতিও চালু করতে হবে।

আমরা আগেই বলেছি যে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর আমরা দেই। পরোক্ষ করের জন্য আমরা কোনও আরজি জানাই না। কিন্তু প্রত্যক্ষ কর অল্প হলেও ব্যাপক আপত্তি জানাই, নানা অজুহাত খুঁজতে থাকি। এ মানসিকতা থেকে সকলকে বের হয়ে আসতে হবে। সরকারের রাজস্ব আদায়ে আপনার আমার সরাসরি অংশগ্রহণ একটা বড় গৌরবের। সামান্য আয়কর দিয়ে এ বিশাল গৌরবের দাবিদার থেকে বঞ্চিত হওয়া বড় বোকামি।

আয়কর দিবস: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের কর ব্যবস্থার অনেক পার্থক্য থাকলেও মৌলিক জায়গা কিন্তু এক। সরকারের রাজস্ব ব্যয় ও উন্নয়ন কাজ জনগণের অর্থেই হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৫৫ সাল থেকে ট্যাক্স ডে পালন করা হয়। তাদের ট্যাক্স ডে হলো ১৫ এপ্রিল। এই দিনে সকল করদাতার ট্যাক্স রিটার্ন প্রদানের শেষ দিন। ওই দিনে তারা সকল করদাতার বার্ষিক কর ফাইল চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত করে থাকেন।  ভারতবর্ষে ১৮৬০ সালে জুলাই মাসে প্রথম ট্যাক্স চালু হয়। সে দিক দিয়ে আমাদের ট্যাক্স ডে’র বয়স ১৬০। অর্থাৎ ২০২০ সালে আমরা ১৬০তম ট্যাক্স ডে পালন করতে যাচ্ছি। ১৬০ বছরে পৃথিবীর রূপ বৈচিত্র্য, শাসন ব্যবস্থা, মানুষের জীবন ও জীবিকার ধরন, কৃষি শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, তথ্য প্রযুক্তির সংযোজন হয়ে এখন গোটা পৃথিবীকে মানুষ বন্দি করে নিয়েছে হাতে মুঠোয়। তাই রাজস্ব আহরণে এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে পরিবর্তন আনা বড় জরুরি। বর্তমানে করোনা মহামারি আমাদের পরিবর্তনের এক কঠিন বার্তা দিয়েছে। কিন্তু আমরা কি পারছি পরিবর্তনের পথে হাঁটতে?। অবশ্য বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে কর দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে আসছে।

ডিজিটাল রিটার্ন না দিতে পারায় নেতিবাচক বার্তা: আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ২০২০ সালে ফেইসলেস আয়করনীতি গ্রহণ করেছে। ভারতে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) ঘোষণা করেছে, ২০২০ থেকে করাদাতা, তাদের পরামর্শক ও আয়কর কর্মকর্তা তাদের কেউ মুখোমুখি হওয়ার দরকার নেই। তারা রিটার্ন জমা দেবে অনলাইনে, কোনও ভুল হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ভুল ধরিয়ে দেবে এবং সংশোধনের প্রক্রিয়াও বলে দেবে। করদাতা তা করতে না পারলে বা তার হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকলে কর পরামর্শকের সহযোগিতা নেবে। কিন্তু যথাসময়ে করদাতা তার ট্যাক্স ফাইল সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সেবা পাবে।

আমাদের অর্থমন্ত্রী সংসদে ঘোষণা দিয়েও অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার কাজটি নিশ্চিত করতে পারলেন না। এটা আমাদের করদাতাদের দারুণভাবে আঘাত করেছে। ফলে মারাত্মকভাবে একটা নেতিবাচক বার্তা কর বিভাগের ওপর পড়েছে। অনেকে ধরে নিয়েছেন, এটা কর কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্র। অনলাইন হলে অনেকের অবৈধ আয় করার পথ হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি নানা কথা বাতাসে ভাসছে। সরকার থেকে এই বিষয়ে কোনও পরিষ্কার বক্তব্য আসেনি, আসা দরকার ছিল। আমাদের আগের মতোই সরাসরি আয়কর সার্কেলে গিয়ে ধাক্কা-ধাক্কি করে লাইন ধরে ট্যাক্স ফাইল জমা দিতে হয়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকলেও আমাদের তা করতে হয়েছে, এটা বাস্তবতা। করোনাভাইরাসের কারণ মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ঢাকা ট্যাক্স বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সময়সীমা ২ মাস বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়াকে সময়োপযোগী করার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান বছরে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা কমপক্ষে দুই মাস বৃদ্ধি করার দাবি যৌক্তিক। করদাতাকে দায়ী নয়, বরং করদাতার কাছে দায়বদ্ধতাই রাজস্ব বৃদ্ধির নিয়ামক হতে পারে।

করমুক্ত দিবস ঘোষণার দাবি: আমাদের দেশে করযোগ্য লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু করদাতার সংখ্যা হতাশাজনক। এর কারণ কলামের শুরুতে আলোচনা করেছি। সরকার করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে একটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিতে পারে। তাহলে বছরে একটা দিনকে করমুক্ত ঘোষণা করা (প্রস্তাবিত ৩০ নভেম্বর)। ওই দিনে করদাতার সকল প্রকার আয় করমুক্ত থাকবে। করদাতা ওই দিনের জন্য চিকিৎসা সেবাসহ সকল প্রকার সেবা থেকে ভ্যাট অব্যাহতি পাবে। খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের ওপর থেকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ কর অব্যাহতি পাবে। তবে এ সুবিধা থাকবে শুধুমাত্র করদাতাদের জন্য। করমুক্ত দিবসের দু’টি সুবিধা আছে। একদিকে করদাতাকে প্রণোদনা দেওয়া, উৎসাহিত করা বা করদাতাকে মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে যারা নিয়মিত ফাইল করতে আগ্রহী না, তাদেরকে কর ফাইল করতে আগ্রহী করে তোলা। এতে করে নতুন নতুন করদাতা তৈরি হবে এবং রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ‘করদিবস’ হোক ‘করমুক্ত দিবস’।

লেখক: আয়কর আইনজীবী
[email protected]

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ