কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় ৩১ জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। শনিবার ভোর রাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার শাহ পরীর দ্বীপের নাফ নদীর জলসীমানা দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ফেরত পাঠানো জেলেদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, টেকনাফের ওই এলাকায় নাফ নদীর মোহনার জলসীমানা দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা তাদের অনুপ্রবেশে বাঁধা দিয়ে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠায়।
শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘ফেরত পাঠানো ৩১ রোহিঙ্গার মধ্যে ২ জন পুরুষ গুরুতর আহতবস্থায় আছে। সে দেশের সেনা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক ধরে মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে জঙ্গি বিরোধী তল্লাশির নামে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ধরপাকড় শুরু করেছে। আরকানের কিছু কিছু এলাকায় রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে নির্যাতনের কথাও বলছে রোহিঙ্গারা। এর আগে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরের পর একইভাবে আরকানে সেনা মোতায়েন করেছিল মিয়ানমার সরকার। সে সময় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হয় অমানবিক দমন-পীড়ন নির্যাতন। সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের অন্তত শতাধিক গ্রামে আগুন দেয়। হত্যা করে এক হাজারের বেশি নিরীহ ব্যক্তিকে। নিখোঁজ হয় বহু রোহিঙ্গা। ধর্ষিত হয়েছে অনেক নারী ও শিশু। বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। সে সময়ে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাখাইন রাজ্যে সেনা সদস্যদের আনাগোন কিছুটা কমে আসলেও এখন নতুন করে আবার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে আশংকা করছেন সীমান্তে বসবাসরত অনেকই।
/জেবি/