X
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ সাত জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড

যশোর প্রতিনিধি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৪৭আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:১১

আদালত

দুর্নীতি মামলায় নড়াইলের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ সাত জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ও মেয়র মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ছাড়া অন্য পাঁচ সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নড়াইল পৌরসভার সাবেক কমিশনার শরফুল আলম লিটু, মুশফিকুর রহমান, আহম্মদ আলী খান, রফিকুল ইসলাম, তেলায়েত হোসেন। এ ছাড়াও মামলার অপর আসামি ভারপ্রাপ্ত সচিব (প্রাক্তন প্রধান সহকারী) মতিয়ার রহমান মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন আদালতে হাজির হননি। বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

তিনি আরও জানান, বিচারক প্রত্যেক আসামিকে ফৌজধারি কার্যবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় তিন বছর ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া আত্মসাতকৃত এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে আসামি সোহরাব হোসেন বিশ্বাস নড়াইল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ওই সময় রূপগঞ্জ পশুহাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এইচএম সোহেল রানা পলাশ নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬৫ হাজার ৫শ’ ৫৫ টাকায় ওই হাটের ইজারা পান এবং তিনি দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক ড্রাফট (বিডি) হিসেবে ৩৩ হাজার টাকা জমা দেন। পরে তিনি দরপত্র মূল্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে ইজারা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। ওই আবেদনে তৎকালীন পৌর কমিশনার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ ছয় কমিশনার (কাউন্সিল) ও ভারপ্রাপ্ত সচিব সুপারিশ করেন এবং মেয়র হিসেবে সোহবার হোসেন তা মঞ্জুর করেন। এরপর ইজারাদাতাকে তার জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নতুন করে ইজারা আহ্বান না করে তারা (মামলার আসামিরা) ওই হাট তিন বছর খাস দেখিয়ে এক লাখ ৯৬ হাজার টাকা আদায় করে তা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট আট জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস। 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই: পুলিশের এসআইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই: পুলিশের এসআইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এক এজেন্সির ২৬০ হজযাত্রীর কারও ভিসা হয়নি, কারণ দর্শানো নির্দেশ
এক এজেন্সির ২৬০ হজযাত্রীর কারও ভিসা হয়নি, কারণ দর্শানো নির্দেশ
‘দরিদ্ররা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না’
‘দরিদ্ররা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না’
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান ‘শনাক্ত’, সুসংবাদের প্রত্যাশা
সর্বাধিক পঠিত
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ