X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এখনও মেরামত হয়নি

তৈয়ব আলী সরকার, নীলফামারী
২১ মার্চ ২০১৮, ১৮:১৩আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৮, ১৮:৪১

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক রাস্তা (ছবি- প্রতিনিধি)

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় গত বছরের বন্যায় বিভিন্ন গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তা বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ রাস্তাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বন্যার পানি নেমেছে সেই কবে, অথচ ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারে এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে তাদের দুর্ভোগও লাঘব হচ্ছে না।

উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। এতে এসব এলাকার বাড়িঘর, গ্রামীণ রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ডুবে যায়। জুলাই মাসের শেষ দিকে পানি কমে যায়। কিন্তু সরকার থেকে ঘোষণার পরও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার করা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়কেই পিচের অস্তিত্ব নেই। শুষ্ক মৌসুমে ধুলা আর বর্ষায় কাদা-পানির দৌরাত্ম্যে এসব সড়ক দিয়ে পায়ে চলা দায়। এ অবস্থায়ও ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান-রিকশা-টেম্পুর পাশাপাশি ভারী যানবাহন চলাচল করছে। তবু এসব রাস্তাঘাট মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ।

বিভিন্ন এলাকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা জানায়, খানাখন্দের কারণে রিকশা-ভ্যানে এসব রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। অনেক সময় বেশি ভাড়ার প্রস্তাবেও রিকশা-ভ্যান চালকরা এসব রাস্তা দিয়ে যেতে চান না। এতে প্রায়ই নির্ধারিত সময়ে তারা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।

উপজেলার হাজারীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কুলছুম আকতার বলে, ‘আমার বাড়ি থেকে উপজেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ১২ কি.মি.। উপজেলা শহরেই আমার স্কুল। কিন্তু খানাখন্দে ভরে থাকায় এ রাস্তা দিয়ে রিকশা-ভ্যান চালকরা আসতে চায় না। আর আসলেও ভাড়া অনেক বেশি দাবি করে। এ রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়াও কষ্টকর।’

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কাশিরাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সব ক’টি রাস্তাই ভাঙা। বন্যার সময় এসব রাস্তা বিধ্বস্ত হলেও এখনও তা সংস্কার করা হয়নি। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার মানুষকে।

ওই এলাকার বাসিন্দা নজু মামুদ, আলমগীর হোসেন জানান, রাস্তাগুলো সংস্কার না করায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে।

চলাচলের উপযোগী করতে ব্রিজের দুই পাশে মাটি ফেলেছেন স্থানীয়রা (ছবি- প্রতিনিধি)

কাশিরাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন রাজা বলেন, ‘আমরা নিজ উদ্যোগে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে ব্রিজের সামনের রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কার করেছি। তাই কষ্ট হলেও সাময়িকভাবে ওই রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল করতে পারছে। তবে ব্রিজের সামনের ওই অংশ ছাড়া আরও ৫টি পয়েন্ট রয়েছে, সেগুলো চলাচলের অযোগ্য।’

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন গত ১৬ মার্চ রাস্তাগুলো পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি কশিরাম ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করার আশ্বাসও দেন। এরপর থেকে আর কোনও খবর নেই।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পুল, কালভার্ট, গ্রামীণ রাস্তাঘাট সংস্কার ও মেরামত করছি।’

এলজিইডির নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ‘মেরামত ও সংস্কার কাজ শুরু করেছি। শিগগিরই গ্রামীণ সড়কগুলোও সংস্কার করা হবে।’

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরে জলাবদ্ধতা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস