X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

টানা বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির, ভূমি ধসের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:২০আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:৩৪

পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং

গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নগরজীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন নগরীর খেটে খাওয়া মানুষেরা। বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ কারণে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করছেন, টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লাগাতার বৃষ্টিপাতে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে কোথাও ভূমি ধস বা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সর্তক রয়েছে।’

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে এসময় চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও ভূমি ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত থেমে থেমে এই বৃষ্টি বর্ষণ চলবে।’

আজ (শুক্রবার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুপুর ১২টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে পাহাড়ি এলাকাগুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এই মাইকিং আজও চলছে।

জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার রমিজ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকালের মতো আজও মতির্ঝণাসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এটি ছাড়াও নগরীর অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় আরও ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে।’

মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘সকাল ১১টায় আমরা মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান শুরু করি। এরপর আশপাশের বাটালিহিল, পোড়া কলোনি ও একে খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। এপর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিকালে নগরীর বায়েজিদ, আমিন কলোনি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

এদিকে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে থেমে থেমে চলা এই বৃষ্টিতে নগর জীবনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল কমে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। শুক্রবার ছুটির দিনেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় গোঁড়ালি থেকে হাঁটুপরিমাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, হালিশহর, সিডিএ আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

নগরীর লালখান বাজারে ফুটপাতে বসে ডিম বিক্রি করতেন আব্দুর রহিম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হতো। কিন্তু গত তিন দিন তেমন বেচাকেনা নেই। রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা অনেক কম। এ কারণে বেচাকেনাও কম।’

 

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
অপেক্ষা আরও বাড়লো পিএসজির  
অপেক্ষা আরও বাড়লো পিএসজির  
মেসির জোড়া গোলে মায়ামির আরেকটি জয় 
মেসির জোড়া গোলে মায়ামির আরেকটি জয় 
সর্বাধিক পঠিত
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে