X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে ফিরে যেতে প্রস্তুত দেড়শ’ রোহিঙ্গা

টেকনাফ প্রতিনিধি
১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৩আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ২০:১৪

বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা (ফাইল ছবি) বৃহস্পতিবার ৩০ পরিবারের দেড়শ’ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) আবুল কালাম। বুধবার বিকাল ৫টায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রথম দফায় পাঠানো হচ্ছে ৩০ পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে। প্রথম দফা প্রত্যাবাসনের জন্য সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত।’ এ বিষয়ে বুধবার (১৪ নভেম্বর) সারা দিন সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম।

প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে আবুল কালাম বলেন, ‘প্রথম দফায় প্রত্যাবাসন হবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাট দিয়ে। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরের মধ্যে প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত করা ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে ঘুমধুমে স্থাপিত ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার জন্য মিয়ানমারও পুরোপুরি প্রস্তুত। আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবাসনের সময় ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পের ওপারে মিয়ানমার সরকারের একজন মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

তবে রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের বিষয়টি গত কয়েক দিনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে অবগত করেছে। রোহিঙ্গারা ইউএনএইচসিআরের কাছে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কী ধরনের মতামত পোষণ করেছে সে বিষয়ে সরকার এখনো অবগত নয়।

এ প্রসঙ্গে আবুল কালাম বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি পাওয়া যাবে। আমরা আশাবাদী কাল (বৃহস্পতিবার) সুষ্ঠুভাবে প্রথম দফা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে।’

এদিকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘প্রথম তালিকার প্রথম পর্যায়ের দুই হাজার দুইশ’ ৬০ জনের মধ্যে কিছু কিছু শরণার্থীর বাড়িঘর ধ্বংস হয়নি। সেসব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের অভ্যর্থনা কেন্দ্র থেকে সরাসরি তাদের বাড়িঘরে নিয়ে যাওয়া হবে। যেসব শরণার্থী নৌকায় ফিরবেন তাদের নাগখুয়া কেন্দ্র থেকে এবং যারা সড়কপথে ফিরবেন তাদের তাং ফো লেওয়ে কেন্দ্র থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার আওতায় নেওয়া হবে।’

নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না নিয়ে রোহিঙ্গারা ফিরতে চায় না বলে জানিয়েছেন নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর এক নেতা মোহাম্মদ ছব্বির। তিনি বলেন, ‘রাখাইনে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার– আমরা বিশ্বাস করি, এ মুহূর্তে সেখানে ফিরে যাওয়ার সহায়ক পরিবেশ নেই। ফলে প্রত্যাবাসন তালিকায় নাম রয়েছে এমন লোকজন ভয়ে রয়েছেন। এ অবস্থায়, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সমর্থন করতে পারি না।’

গত বছর ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরাতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে ২২ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা, কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার।

/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে তীব্র গরমে মরছে মুরগি, আতঙ্কে খামারিরা
রাজশাহীতে তীব্র গরমে মরছে মুরগি, আতঙ্কে খামারিরা
বাকি না দেওয়ায় দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
বাকি না দেওয়ায় দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার কর্মকর্তা নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চার কর্মকর্তা নিহত
ঢাকা কর কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
ঢাকা কর কমিশনারের কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে