X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহে ছেলের বিরুদ্ধে মা ও নানীকে হত্যার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০৪আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৭

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ

মহেশপুরের নওদাগা গ্রামে ইমরান হোসেন নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে মা মর্জিনা বেগম (৫০) ও নানি শামসুন্নাহার (৭০) প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে পৌরসভার নওদা গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হাসান তুহিন একই বিভাগের ডাক্তার আহমেদ তারেক শামসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম নিহতের খবর নিশ্চিত করে জানান, ভারসাম্যহীন যুবক ইমরান হোসেন (২৮) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ইমরান পৌর এলাকার নওদা গ্রামের এনায়েত হোসেনের ছেলে।
নিহতদের প্রতিবেশী মশিয়ার রহমান জানান, রাত দুইটার দিকে তারা খবর পান ইমরানদের বাসায় গণ্ডগোল হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসার গ্রিলে তালা দেওয়া। ভেতরের দরজা খোলা এবং ঘরের চালের টালি সরানো।

স্থানীয়রা দেখতে পান, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় মর্জিনা এবং তার মা শামছুন নাহার বিছানায় পড়ে রয়েছেন। পরে ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত মর্জিনার চাচাতো ভাই কুদরত আলী বলেন, রাত ৩টার দিকে খবর পাই, আমার ভাগ্নে ইমরান তার মা মর্জিনা বেগম ও নানি শামছুন নাহারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তারা বেঁচে আছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি রাশেদুল আলম জানান, ১৯৯৯ সালে ইমরানের বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। গত ৪ মাস আগে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন ডাক্তার তার চিকিৎসা করেছেন। ইমরান ওষুধ খেতে চাইতো না। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই তার বাকবিতণ্ডা হতো। গেল রাতেও সে তার মা ও নানীর সঙ্গে ঝগড়া করে এবং এক পর্যায়ে তাদের কুপিয়ে আহত করে। প্রতিবেশিরা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে ইমরান পলাতক রয়েছে।

ওসি আরও জানান, বাড়িতে ইমরান, তার মা ও নানী বাস করতেন। তার মা মহেশপুর গালর্স স্কুলের ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে চাকরি করতেন।

তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ইমরান মাদকাসক্ত ছিল। টাকার জন্য সে প্রায়ই তার মাকে মারধর করতো। রাতেও তার মায়ের কাছে নেশার জন্য টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইমরান।

/এসএসএ/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্রাজিলে বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮, এখনও নিখোঁজ অনেকে
ব্রাজিলে বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮, এখনও নিখোঁজ অনেকে
হারিয়ে গেছে প্রাণ, নদীর বুকে বুনছে ধান
হারিয়ে গেছে প্রাণ, নদীর বুকে বুনছে ধান
টিভিতে আজকের খেলা (৬ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৬ মে, ২০২৪)
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?