X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাকা ধানে আগুন দিয়ে আরেক কৃষকের প্রতিবাদ

এ কে বিজয়, টাঙ্গাইল
১৪ মে ২০১৯, ১৬:২৬আপডেট : ১৪ মে ২০১৯, ১৮:০৫

বাসাইলে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে কৃষকের প্রতিবাদ

টাঙ্গাইলে ধানের দাম কম ও ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি বেশি থাকায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক কৃষকের পর এবার বাসাইলের আরেক কৃষক তার নিজের পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোমবার (১৩ মে) বিকালে বাসাইল উপজেলার কাশিল গ্রামের নজরুল ইসলাম খান নামের এক কৃষক নলী বিলের বোরো ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে রবিবার (১২ মে) দুপুরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের আবদুল মালেক তার রোপণকৃত পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে এ প্রতিবাদ করেন।

বাসাইলের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য প্রায় এক হাজার টাকা। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫শ’ টাকা করে। এছাড়া ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের শীষ চিটা হয়ে শুকিয়ে গেছে। বারবার স্থানীয় কৃষি অফিসে জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রায় ৫৬ শতাংশের ধান কেটেছি। এই ৫৬ শতাংশ জমিতে মাত্র চার মণ ধান হয়েছে। ৫৬ শতাংশ জমিতে আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকার ঘাটতি হয়েছে। তাই দিশেহারা হয়ে ২০ শতাংশ পাকা ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেই। তবে স্থানীয়রা এসে নিভিয়ে দেয়। আমি এবার ১২ পাকি জমিতে বোরো আবাদ করেছি। এর ৮ পাকি জমির ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে চিটা হয়েছে। এবার আমার বোরো আবাদে অনেক টাকা ঘাটতি হবে।’

বাসাইল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুপালী খাতুন বলেন, ‘ধানে আগুন দেওয়ার বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শ্রমিকের দাম বেশি ও ধানের দাম কম হওয়ায় ওই কৃষক দিশেহারা হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দেন।’

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় এবার ১১ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকজন কৃষকের ৯ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। পরে তাদের পরামর্শ দেওয়া হলেও তারা দুইবার স্প্রে করেননি। এর ফলে কয়েকজন কৃষকের ধান নষ্ট হয়।

এর আগে রবিবার (১২ মে) দুপুরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের আবদুল মালেক তার পাকা ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করেন। কৃষক আবদুল মালেক বলেন, ধান কাটতে শ্রমিককে দিতে হচ্ছে প্রায় এক হাজার টাকা। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান কেটে বাড়িতে আনতে এক মণের মূল্য প্রায় এক হাজার টাকা করে পড়ছে। ধান বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ৫শ’ টাকা করে। প্রতিমণে আমাদের ঘাটতি পড়ছে ৫শ’ টাকা করে।

ওই কৃষক আরও বলেন, ‘শ্রমিকের জন্য বাজারে গিয়ে কয়েকবার ফেরত এসেছি। ক্ষেতে ধান পাকলেও তা ঘরে তুলতে পারছি না। তাই দিশেহারা হয়ে এই কাজ করেছি।’ তবে তার লাগানো আগুন অন্য কৃষকরা নিভিয়ে ফেলেন।

আরও পড়ুন- ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে কৃষকের প্রতিবাদ

/এফএস/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট