X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাইকার সংকটে বরিশালে চামড়ার দাম কম

বরিশাল প্রতিনিধি
১৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:১২আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:২৬

হাটে চামড়া নিয়ে যাচ্ছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বড় অংকের টাকা বকেয়া থাকায় অর্থ সংকটে পড়ে বরিশালে পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীর সংখ্যা কমেছে গেছে। যে ক’জন এ ব্যবসা করছেন তারাও রয়েছেন মূলধন সংকটে। তার মধ্যে ঢাকায় চামড়া পাঠানোর পরও পাচ্ছেন না টাকা। ব্যবসায়ীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ইচ্ছামতো দাম হাঁকছেন পাইকাররা। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকাররা সিন্ডিকেট করে মাত্র দু’জনকে দিয়ে চামড়া কেনানোয় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাইকাররা।

বরিশালে চামড়া ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র নগরীর পদ্মাবতী এলাকা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এখানে চামড়া নিয়ে এসে দাম শুনে হোঁচট খেয়েছেন। বাধ্য হয়ে লোকসানে চামড়া বিক্রি করেছেন। দাম বাড়বে— এই আশায় মাদ্রাসা থেকে চামড়া সংগ্রহকারীরা লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করছেন।

একাধিক মৌসুমী ব্যবসায়ী জানান, পদ্মাবতীতে ১০-১২ জন পাইকার রয়েছেন। তবে এবার সেখানে আছেন এক-দু’জন। এ কারণে তারা ইচ্ছামতো দাম বলেছেন। ছাগলের চামড়া ৫-১০ টাকা এবং গরুর চামড়া ২০০-৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন তারা। পাইকাররা এভাবে সিন্ডিকেট করবে তা তারা বুঝতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত লোকসান দিয়ে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তাদের পক্ষে চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। এরপর অনেকে আর চামড়া কিনবে বলে জানিয়েছেন। দু- একজন সবার সামনে কান ধরে জানিয়েছেন তারা আর এ ব্যবসা করবেন না।

হাটে চামড়া নিয়ে যাচ্ছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ অস্বীকার করে পাইকার জাকির হোসেন বলেন, ‘লবণযুক্ত চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দর ৩৫ টাকা ধরা হয়। সে হিসাবে ২০ বর্গফুট চামড়ার দাম হয় ৭০০ টাকা। শ্রমিকের মজুরি, লবণ ও পরিবহনসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ ওই চামড়ার পেছনে যদি ৪০০ টাকা খরচ হয় তবে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের দেবো কত? আর বিক্রেতারা পাবেন কত?’

তিনি বলেন, এক যুগ আগে চামড়া ব্যবসায়ী ছিলেন ২০ জন। তবে গত বছর মাত্র পাঁচ জন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এ বছর মাত্র দু’জন পাইকার চামড়া কিনছেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী, কোরবানি ছাড়া বরিশাল থেকে বছরে ৩৬ হাজার চামড়া ঢাকার ট্যানারিগুলোতে যায়। কোরবানির সময় যায় ৩০ হাজার চামড়া। কোরবানির আগে বকেয়া আনতে পাইকাররা ঢাকায় গিয়েছিলেন। যাদের ৩-৪ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে তারা মাত্র ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন। ওই টাকা তো যাতায়াতেই খরচ হয়। এ কারণে পাইকাররা চামড়া কেনা থেকে বিরত থাকছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা তাদের ব্যবসার জন্য ঋণ পাচ্ছেন। টাকা নেই অথচ বাড়ি-ঘর তুলছেন, অন্য ব্যবসায় পুঁজি খাটাচ্ছেন। আমরা চাই সরকার কোম্পানি, আড়তদার ও বেপারিদের নিয়ে বসুক। তাহলেই বের হয়ে যাবে আসল দোষী কারা।’

 

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
শিবনারায়ণের চোখে আলো দেখছেন মশিউর ও কালাম
শিবনারায়ণের চোখে আলো দেখছেন মশিউর ও কালাম
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস