বান্দরবান সদর হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা এক ব্যক্তিকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে মোহিন নামের এক যুবককে তিন মাসের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১১মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আফছার উদ্দিন চৌধুরী নামে এক বিকাশ কর্মচারী বান্দরবান আসলে তাকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবক মোহিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বিকাশ কর্মচারীর জন্য ইফতারি নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আফছার উদ্দিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে অনেক খোঁজার পর কোনও সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার ঘটনায় মোহিনকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হাসান।
তবে মোহিন দাবি করেছেন, ‘আমি হাসপাতালের এক আয়ার মাধ্যমে আমার অফিস কলিগ মো. আফসার উদ্দিনের কাছে ইফতারি পাঠিয়েছিলাম। ইফতারি নিয়ে কলিগের সঙ্গে কথা বলা তো দূরের কথা, দেখাও করিনি। অহেতুক এ ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে মোহিন নামে স্থানীয় এক যুবক ইফতারি সরবরাহ করেছিল। এরপর থেকে কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের ধারণা মোহিনের সহযোগিতায় কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই ব্যক্তি পালিয়েছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুল হাসান বলেন, মো. আফসার উদ্দিন চৌধুরী নামে এক লোক বান্দরবানে আসায় তাকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে দেওয়া হয়েছিল। পরে স্থানীয় এক যুবক মোহিন নামে ওই কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। তাই তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ মাস কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ছে।
এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মোহিনের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।