X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ছোট ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিলেন রাষ্ট্রপতি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০২০, ২১:৫৬আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২০, ২২:৪৩

ছোট ভাই ও একান্ত সচিব আবদুল হাইয়ের কফিনে ফুল দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও তাঁর সহকারী একান্ত সচিব, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে তাঁর নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ছোটভাইয়ের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন। এ সময় তিনি ছোটভাইয়ের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে দুপুর দুইটার দিকে হেলিকপ্টার যোগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মরদেহ জন্মস্থান মিঠামইনের কামালপুর হেলিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অর্নার দেওয়া হয়। জানাজার আগে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক এ আফজল।

রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের কফিনে ফুল দিয়ে জানাজার পর দোয়ায় অংশ নেন উপস্থিত সর্বস্তরের মানুষ

পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়ির প্রাঙ্গণে প্রয়াত আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কঠোর নিরাপত্তা ও একেবারে সীমিত পরিসরের জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অংশ নেন। প্রথম জানাজা শেষে হেলিকপ্টার যোগে রাষ্ট্রপতি মিঠামইনে অবতরণ করেন।

পরে মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে আবদুল হাইকে সমাহিত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরে গত ৫ জুলাই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১২ জুলাই থেকে তাঁকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে চিকিৎসক ও একমাত্র ছেলে প্রকৌশলী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম হাজী তায়েব উদ্দিন এর ৫ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন পঞ্চম।


/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের নিয়ে আ.লীগ কী ‘ইউটার্ন’ নিচ্ছে!
উপজেলা নির্বাচনমন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয়দের নিয়ে আ.লীগ কী ‘ইউটার্ন’ নিচ্ছে!
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
ভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগ, সেমিফাইনালভিনিসিয়ুসের জোড়ায় প্রথম লেগে বায়ার্নকে জিততে দেয়নি রিয়াল
সর্বাধিক পঠিত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস