X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি

রাজশাহী প্রতিনিধি
০১ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৮আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৮

হঠাৎ করে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্দোলন শুরু করায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। চাকরির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও স্বপদে বহাল থাকার দাবিতে অন্য চিকিৎসকদের নিয়ে আন্দোলনে নামার অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালে প্রভাবশালী এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তিনি হলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মহিবুল হাসান।

সোমবার (১ মার্চ) সকাল থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়। তবে একই দাবিতে মঙ্গলবার আবারও মানববন্ধন করা হবে বলে আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন চিকিৎসক মহিবুল হাসান নিজেই। তবে মহিবুল হাসান দাবি করেন তাকেসহ মামুন উর রশিদ নামের অপর একজন চিকিৎসককে অযৌক্তিকভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। এমনকি ছাঁটাই করার জন্য তাদের কোনও নোটিশও করা হয়নি। অথচ শিক্ষার্থীদের সামনে পরীক্ষা। এ অবস্থায় তাদের দুজনকে ছাঁটাই করা হলে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়বেন। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন তিনি।

চিকিৎসক মহিবুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুইজন চিকিৎসকসহ রাজশাহী ইসলাম ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাত-আট জন চিকিৎসক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করেছে কোনও নোটিশ ছাড়া। এছাড়াও ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনও চাকরি বিধিমালা তৈরি হয়নি। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ছয় মাস করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। চুক্তির মেয়াদ খেয়াল খুশিমতো নবায়ন করা হয়। নিয়োগপত্র শর্ত অনুযায়ী এক মাসের আগাম নোটিশ ছাড়াই অসম্মাজনকভাবে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। ছয় বছর ধরে কোনও বেতন স্কেল পরিবর্তন করা হয়নি। সেজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের সবার বেতন সরকারি বেতনের চেয়ে অনেক কম। আবার অফিস সময়ের বাইরেও কর্মচারীরা কোথাও খণ্ডকালীন চাকরি করতে পারেন না। চূড়ান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় সেটিও তারা করতে পারেন না। নিয়মিত নিয়োগ ও পদ্দোন্নতি কমিটির সভা হয় না। এর ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ একই পদে চাকরি করতে বাধ্য হন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে শিক্ষার মান খারাপ হচ্ছে। নিয়মিত নিয়োগ না হওয়ায় অনেক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই।

এদিকে ইসলামি ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হাবিব বলেন, ‘দুইজন চিকিৎসকের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু তার পরেও তারা স্বপদে বহাল থাকতে চান। অথচ তাদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির করার সুযোগ আমার হাতে নেই। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন ওই দুই চিকিৎসকের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে। কারণ ফাউন্ডেশন থেকেই সবার নিয়োগ হয়। কিন্তু ওই দুই চিকিৎসকের মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় তারা এখন অন্য চিকিৎসকদেরও জোর করে আন্দোলন করাতে বাধ্য করাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। আবার হাসপাতালের চিকিৎসা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় রোগীরাও বিপাকে পড়েছিলেন। কিন্তু এটি তারা করতে পারেন না। কারণ নিয়ম অনুযায়ী ওই দুই চিকিৎসক আর আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনও দায়িত্বে নেই।’

অধ্যক্ষ আনোয়ার হাবিব আরও বলেন, ‘ওই চিকিৎসকরা আমাকেও কলেজে প্রবেশে বাধা দেন। পরে প্রশাসনের সহায়তায় আমি কলেজ ও হাসপাতালে প্রবেশ করি। কিন্তু তারা এখন প্রতিষ্ঠানটিকে নানাভাবে ষঢ়যন্ত্র করছে।’

এদিকে, রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসকদের অভ্যন্তরীণ কিছু দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তবে দুপুর থেকে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।’

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানে ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে
সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানে ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে
আজকের আবহাওয়া: ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে স্কটল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা
ভারতের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
ভারতের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান