বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জকে (২৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রাসেল আহমেদ ও খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-১২ ও র্যাব-৩ তাদের বগুড়া এবং ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে হত্যা মামলার এজাহার নামীয় তিন জন ধরা পড়লো। মঙ্গলবার র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকায় মাদক, জুয়া ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে গুলিবিদ্ধ হয়ে অরেঞ্জ মারা যান। তিনি সোমবার রাত ১১টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে মারা যান। গত ২ জানুয়ারি রাতে শহরের মালগ্রাম এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। হামলার পর অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালি আকতার সদর থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় আহত একই সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটির নেতা মালগ্রাম ডাবতলার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মিনহাজ শেখ আপেল (২৫) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
সদর থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন– শহরের মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), তার ছোট ভাই রাসানী (২৭), মালগ্রাম ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০), মালগ্রাম বেলতলার মতিন শেখের ছেলে শাকিব (২২), জাকির হোসেনের ছেলে হাবিব (২৪) এবং আইনুল কসাইয়ের ছেলে টিপু (২৬)।
র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে বগুড়া সদরের ফাঁপোড় এলাকা থেকে ৩ নম্বর আসামি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া র্যাব-৩ সদস্যরা সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে প্রধান আসামি শুটার রাসেল আহমেদকে গ্রেফতার করেন।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, মামলা দায়েরের পর সাত নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব সদস্যরা রাসেল ও খাইরুল গ্রেফতার করেছে। খাইরুলকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত রাসেলকে থানায় আনা হয়নি। রাসেলের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে গ্রেফতার টিপুর রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকেও আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।