বরগুনা পৌর শহরের পশু হাসপাতাল সড়ক এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বসতঘর ও আবাসিক হোটেলসহ ১৪টি স্থাপনা পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।
সোমবার (৭ মার্চ) রাত পৌনে দশটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (৭ মার্চ) রাত পৌনে দশটার দিকে বরগুনা পৌর শহরের পশু হাসপাতাল সড়কে একটি তুলার দোকানে আগুন লাগে। এর ১০-২০ মিনিটের মধ্যে আশপাশের লেপ-তোষক, বই, বসতঘর ও ওষুধের কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আনুমানিক এক কোটিরও বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সোয়া দশটার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আমাদের একার পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে খবর দিলে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।