বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই সদস্যের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত নারী সদস্যকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার পর পুলিশ দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার দুপুরে এ ঘটনার পর ওই নারী সদস্য মামলা করলে পুলিশ সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মন্তাজ আলী জানান, গ্রেফতার দুই ইউপি সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার দুই ইউপি সদস্য হলেন– বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নামুজা বগারপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮) এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নামুজা শাহপাড়ার গরিবুল্লাহর ছেলে বজলুর রশিদ (৫১)।
এজাহারে নামুজা ইউনিয়নের ২নং সংরক্ষিত আসনের (ওয়ার্ড ৪, ৫ ও ৬) নারী ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন, গত ১৩ মার্চ দুপুরে পরিষদে টিসিবির কার্ড নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা শেষে অনেকেই চলে যান। বেলা ২টার দিকে সদস্য রুবেল হোসেন তাকে হল রুমে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকেই অপর ইউপি সদস্য বজলুর রশিদ বসেছিলেন। এ সময় রুবেল হোসেন ও বজলুর রশিদ তাকে মার্কেটে কেনাকাটা করার জন্য টাকার প্রলোভন দেন। এরপর যৌন নিপীড়ন করলে তিনি চিৎকার করেন। পরদিন ১৪ মার্চ সদর থানায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতেই তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
নির্যাতনের শিকার ইউপি সদস্য যৌন নিপীড়নে জড়িত দুই সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, নারী ইউপি সদস্যের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার দুই ইউপি সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নামুজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম জানান, ওই নারী সদস্য ও দুই পুরুষ সদস্য পরিষদে প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে ইয়ার্কি করে থাকেন। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি ইউএনও অফিসে মিটিংয়ে ছিলেন। নারী সদস্য তার কাছে অভিযোগ করেছেন, তাকে রুবেল ও রশিদ যৌন নিপীড়ন করেছেন। তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।