X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাগড়া বিদ্যালয়কে সরকারি করার দাবি সাফজয়ী ৫ পার্বত্য ফুটবলারের

রাঙামাটি প্রতিনিধি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:০০আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৪

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারকে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঘাগড়া বাজারে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে শোভাযাত্রা করে বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে শিক্ষকরা তাদের বরণ করে নেন।

কৃতী এই পাঁচ ফুটবলারই ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ সময় ফুটবলাররা আজকের সাফল্যের পেছনে এই বিদ্যালয়ের কথা স্মরণ করে এটিকে সরকারি করার দাবি করেন। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার পাহাড়ি এক গ্রামে অবস্থিত ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়। যাকে বলা হয় নারী ফুটবলার তৈরির সূতিকাগার। সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের পাঁচ খেলোয়াড় উঠে এসেছেন ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। এখানে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ফুটবল খেলার হাতেখড়ি সাফজয়ী দলের বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ ফুটবলারের। তারা হলেন– রাঙামাটির রুপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা এবং খাগড়াছড়ি জেলার মনিকা চাকমা, যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।

মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন প্রধান শিক্ষক এ সময় ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্রা দেওয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজসহ স্কুলে তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

ফুটবলাররা বিদ্যালয়ে পৌঁছলে প্রথমে প্রধান শিক্ষক কেক ও মিষ্টি খাওয়ান। পরে তারা স্কুল প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবি তুলে সময় কাটান।

ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘এই স্কুলের শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেখাপড়া ও খেলাধুলা শিখিয়েছেন। আমরা তাদের কাছে ঋণী। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, এই স্কুলটা যেন সরকারি করে দেওয়া হয়।’

ঘাগড়া বিদ্যালয়কে সরকারি করার দাবি সাফজয়ী ৫ পার্বত্য ফুটবলারের রুপনা চাকমা বলেন, ‘আমাকে ঘর করে দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন এই স্কুলটি সরকারি হলে আমরা পাঁচ জন খুবই খুশি হবো। এই স্কুলের কারণে আজ  আমরা এই সাফল্য পেয়েছি।’

ফুটবলার মনিকা চাকমা বলেন, ‘আমাদের এভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে সেটা চিন্তা করতে পারিনি। এই স্কুলে কয়েক বছর আগে পড়ালেখা শেষ করেছি। তখন শিক্ষকরা কত শাসন করেছিলেন আর আজ তারাই বরণ করছেন, বিষয়টি চিন্তা করতেই অন্যরকম লাগছে।’

/এমএএ/
সম্পর্কিত
দু‌দি‌নে আরও ৫ সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলো বাংলাদেশ
‘সাংগ্রাই জলোৎসব’ যেন পাহাড়ে এক মিলন মেলা
সর্বশেষ খবর
উত্তর গাজায় আবারও হামলা জোরদার করলো ইসরায়েল
উত্তর গাজায় আবারও হামলা জোরদার করলো ইসরায়েল
ফরিদপুরে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি
ফরিদপুরে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি
বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়লেন মুসল্লিরা
বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়লেন মুসল্লিরা
সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিতে চাকরি, ৫ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ
সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিতে চাকরি, ৫ ক্যাটাগরির পদে নিয়োগ
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা