প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। ফসলের মাঠ, ঘাসের ডগায় জমছে হেমন্তের শিশির। এ ঋতুতে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে ভোরে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল করছে। রোদের কারণে দিনে গরম থাকলেও রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা থাকায় বিভিন্ন রোগবালাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২২ ডিগ্রিতে ওঠানামা করলেও বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় দিনের বেলা সর্বোচ্চ ২৮ থেকে ৩১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
শহরের ইসলামবাগ এলাকার রফিকুল হাসান বলেন, ‘শেষ রাতে ঠান্ডা পড়ছে। এ সময় কাঁথা বা কম্বল গায়ে চাপাতে হয়। আবার দিনের বেলা গরমের কারণে ফ্যান চালাতে হয়।’
শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার শিক্ষক কামরুজ্জামান কামু বলেন, ‘রাতে শীত আর দিনে গরম আবহাওয়ার বিরাজ করায় বিভিন্ন রোগবালাই হচ্ছে।’
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মাহবুব উল আলম বলেন, ‘এ সময় বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে অ্যাজমা, হাঁপানি জাতীয় রোগ বেশি হয়।’
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া মুকুল বলেন, ‘দিন ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্য বেশি থাকায় আমরা আবহাওয়ার এমন বিচিত্র রূপ দেখতে পাচ্ছি। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাতে কুয়াশা ঝরছে। এ কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে। অন্যদিকে সকালে সূর্যের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দিনে বেশ গরম পড়ছে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, কুয়াশার কারণে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত আবহাওয়া ঠান্ডা থাকছে। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে অক্টোবরের শেষে তাপমাত্রা আরও কমে যাবে। নভেম্বরের শুরু থেকেই পুরোপুরি শীত নামবে।