অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘বিক্রেতারা চামড়ার দাম কম পাচ্ছেন, বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছেন। সেক্ষেত্রে লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বিক্রেতারা বেশি পাবেন।’
মঙ্গলবার বিকালে বগুড়ার শহরের কলোনি এলাকায় জামিল মাদ্রাসায় কোরবানির পশুর চামড়ার অস্থায়ী সংরক্ষণাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় বাজার ঠিক রাখতে চামড়া সংরক্ষণের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো সাড়ে সাত লাখ মণ লবণ বিনামূল্যে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আশা করি, রাজনৈতিক সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এটির আরও সুদৃঢ় ভিত্তি দান করবেন, মাদ্রাসা ও এতিমখানার হক আদায়ে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক চামড়ার মূল্য ৬শ থেকে ৭শ কোটি টাকার বেশি নয়। বাজারে হাসিল উত্তোলন চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। হাসিলে এতিমখানাকে সম্পৃক্ত করতে চাই। শুধু চামড়া নয়, হাসিলেও তাদের হক থাকা উচিত।’ প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় হাট নীতিতে এ বিষয়ে সম্পৃক্ততা রাখবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা, পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা ও জামিল মাদ্রাসার শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাণিজ্য উপদেষ্টা নাটোরে এবং পরে জয়পুরহাটে কোরবানির পশুর চামড়ার স্থায়ী ও অস্থায়ী সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেন।