X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ছবিটা আর বানানো হলো না অধ্যাপক রেজাউলের

দুলাল আবদুল্লাহ, রাজশাহী
২৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৯:৫৯আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৬, ২৩:০০

দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শনিবার নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী ছিলেন আপাদমস্তক একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। শিক্ষকতার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চা, সাহিত্য সাধনা সব কিছুতেই তিনি ছিলেন অন্তঃপ্রাণ। এছাড়াও চলচ্চিত্র নির্মাণ, ভিডিওগ্রাফির ঝোঁক ছিল তার। এমনকি হারিয়ে যাচ্ছে যে লোকসাহিত্য সেগুলো সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করার তাগিদও অনুভব করতেন তিনি। এলাকাবাসীর কাছে তার পরিচয় সদালাপী ভালোমানুষ আর  গ্রামের লোকজন তাকে শ্রদ্ধা করতেন শিক্ষানুরাগী ও গরিব শিক্ষার্থীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার ধারক এই অধ্যাপক শিক্ষকতার পাশাপাশি চমৎকার বাঁশি ও সেতার বাজাতেন, বের করতেন লিটল ম্যাগাজিন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও চমৎকার সম্পর্ক ছিল তার। এ কারণে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যাকাণ্ড তার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছেন এমন অনুসারীরা জানিয়েছেন, শেষবেলায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এজন্য ক্যামেরা কেনার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। সর্বশেষ গত বুধবারও এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু, সেই সাধ আর পূরণের সময় পেলেন না অধ্যাপক রেজাউল করিম। 
যে গলিপথে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যা করা হয়েছে সে স্থান থেকে মাত্র ১৫ গজ দূরে নগরীর শালবাগান বটতলা মোড়। রবিবার সকালে এই মোড়েই তার পরিচিত এক ফল ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউন-এর। ওই ব্যবসায়ী বলেন, মানুষ দোষ-গুণে সমাজে বেড়ে উঠে। কিন্তু রেজাউল স্যারের সম্পর্কে কাউকে কখনও খারাপ কিছু বলতে শুনিনি। অথচ তাকে কে বা কারা মেরে পালিয়ে গেলো এটা মেনে নেই কী করে।
একই এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এসএন ভ্যারাইটি স্টোর। এই দোকানের মালিক নাসিম সরকার বলেন, এই মোড়ে তিনি তেমন একটা আড্ডা দিতেন না। তবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য বাজারে আসতেন তিনি। নাসিম সরকার ম্যাটাডোর কোম্পানির পাঁচটি জেল পেন দেখিয়ে বলেন, তার জন্য আমি এই কলমটা দোকানে রাখতাম। শুধু এই কলম কেনার জন্য তিনি আমার দোকানে মাঝে মধ্যে আসতেন। কথা-বার্তা একটু কমই বলতেন। আমার জন্মের পর থেকে তাকে দেখে আসছি। ঝুট-ঝামেলাহীনভাবে চলাফেরার জন্য আমরা সবাই তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতাম। তবে আমার দোকানের কাছেই খুব সকালে তার এমন করুণ মৃত্যু হবে এটা কল্পনাও করিনি। ওই সময়ে আমরা দোকানে ছিলাম না। আমাদের দোকান বন্ধ ছিল।

রেজাউল করিম শিক্ষকতার পাশাপাশি ছিলেন সংস্কৃতি ও মুক্তমনা মনের মানুষ। তিনি ভালো বাঁশি বাজাতেন। ভালো সেতারও বাজাতে পারতেন। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় ৬ মাস আগে তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগামারার দরগামারিড়ায় একটি গানের স্কুল তৈরি করেছিলেন। সেই স্কুলটি তিনি নিজেই পরিচালনা করতেন। কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

তার স্বজনরা আরও জানান, রাজশাহী নগরীর সপুরাস্থ শালবাগান এলাকার ১৬১ নম্বর বাড়ি  দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির বাম দিকের ছোট্ট ঘরটিতে একটি সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র ও ছোট আকারের লাইব্রেরি গড়ে তুলেছিলেন ড. রেজাউল। এই ঘরে তিনি সকাল-বিকাল কখনওবা রাতে সেতার, তানপুরা আর বাঁশি বাজাতেন।

আরও পড়তে পারেন:

রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যা মামলা: জড়িত সন্দেহে যুবক আটক, মামলা ডিবিতে রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যাকাণ্ড

সোমবার শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর ঘরে প্রবেশ করেই চোখে পড়লো বিছানার ওপরে পড়ে আছে সেতার। তার পাশেই ছোট খাটের ওপরে পাতা বিছানার ওপরে পড়ে আছে একটি ফোমের মোটা বালিশ আর তিনটি তুলার বালিশ। খাটের নিচে একটি কাঠের পুরাতন  চেয়ারের ওপরে রাখা একটি ল্যাপটপ। খাটের পশ্চিম পাশে মেঝেতে মাথার সামনেই ছিল কালো কাপড়ে ঢাকা একটি হারমোনিয়াম আর একটি একতারা। এছাড়াও ছোট ঘরটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে লোকজ সাংস্কৃতিক চর্চার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। খাটের সামনে সেলফ ভর্তি নানান ধরনের বই। বইয়ের মাঝেই শিক্ষক রেজাউল করিমের একটি ফ্রেমে বাঁধানো ছবিও রয়েছে।

কথা হয় তার সহকর্মী ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন,‘স্যার খুব ভালো মানুষ ছিলেন। পার্টি-পলিটিক্স কিছু করতেন না। বিভাগের মিটিংয়েও তেমন আসতেন না। তবে ক্লাস নিতেন নিয়মিত। ক্লাস শেষে বেশির ভাগ সময় শহিদুল্লাহ কলা ভবনের ২২৭ নম্বর রুমে সময় কাটাতেন। তানপুরা ও বাঁশিও বাজাতেন। স্যারের সঙ্গে কারও বৈরিতার খবর আমার জানা নেই। তাকে বিভাগের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিই হিসেবে চেনেন’।

ইংরেজি বিভাগের এই শিক্ষক আরও জানান, সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি রেজাউল করিম মুক্তমনা লেখকদের নিয়ে অনিয়মিতভাবে ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি ছোট আকারের পত্রিকা বের করতেন।

তার পত্রিকার নিয়মিত পাঠক ছিলেন রাজশাহীর নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও তার এক সময়কার ছাত্র হামিদুর রহমান। তিনি তার প্রিয় শিক্ষকের পত্রিকা সম্পর্কে জানান, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন থেকেই এ পত্রিকা বের করতেন তিনি। প্রগতিশীল ও মুক্তমনা লোকদের কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ করে স্বল্প আয়োজনে স্যার বের করতেন কোমলগান্ধার পত্রিকা। খুব বেশি কপি করতেন না, তবে ছাত্র-শিক্ষকসহ লেখক বুদ্ধিজীবীদের কাছে তার পত্রিকাটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। তার এ ধরনের মৃত্যু আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।

আরও পড়তে পারেন:

তোতা-মিয়া-ও-ফুয়াজ-আলী রানা প্লাজার উদ্ধার কাজের সেই নায়কেরা

ড. রেজাউলের প্রতিবেশী আসমা খাতুন তার সম্পর্কে বলেন, আমার ছেলেমেয়েদেরও তিনি নিজের সন্তানের মতো দেখতেন। এলাকার মানুষও তাকে খুব ভালোবাসতেন। তবে কেউ সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ দেখালে তাকে একটু বেশি ভালোবাসতেন। প্রতিবেশীরাও তার সঙ্গীতচর্চাকে পছন্দ করতেন। কেউ এটা খারাপ চোখে দেখতো বলে জানি না।’

শিক্ষক রেজাউল করিমের চাচাতো ভাই সিহাবুর রহমান জানান, ‘মাস ছয়েক আগে উনি ( রেজাউল করিম সিদ্দিকী) তার গ্রামের বাড়ি দরগামাড়িয়ায় একটি গানের স্কুল খোলেন। সেখানে প্রতি শুক্রবার শিশুদের সঙ্গীতচর্চা শেখানো হয়। ওপরে টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি ওই স্কুলে মাঝে মাঝে গিয়ে তিনি নিজেও শিশুদের সঙ্গে সঙ্গীত চর্চায় মেতে উঠতেন। আবার কখনও কখনও এলাকার বৃদ্ধদের নিয়েও তিনি খোস-গল্পে মেতে উঠতেন। লোকজ সাহিত্য-সংস্কৃতির সংগ্রহশালা গড়ে তোলার ব্যাপারেও তার ছিল প্রচণ্ড আগ্রহ।  মূলত সাহিত্য-সংস্কৃতিই ছিল তার আসল নেশা। পাশাপাশি প্রচুর বই পড়তেন তিনি। 

নিহত রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সঙ্গে খুব কাছ থেকে মিশেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার ও বাঁশিবাদক ড. হাসান রাজা। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে হাসান রাজা বলেন, ‘‘দুই বছরে আগে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করার সময় স্যারের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি আবৃত্তি কর নাকি?’ জবাবে আমি বললাম, ‘স্যার আবৃত্তি করি বাঁশিও বাজাই।’ এটা শুনে উনি খুশি হলেন। এরপর বললেন, ‘তাহলে তোমরা আমার ২২৭ নম্বর কক্ষটি ব্যবহার করতে পারো। আমি পত্রিকাও বের করি, সেতারও বাজাই।’’

‘কোমল-গান্ধার নামে তার পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল। এই নামেই শিল্পসাহিত্য বিষয়ক পত্রিকাটি বের করতেন তিনি। আমরাও ‘শিল্পলোক’ নামের একটি পত্রিকা তার হাতে তুলে দিই। এটা দেখে উনি আমাদের বলেন, তাহলে আসো একসঙ্গে কাজ করি। এরপর থেকেই তার সঙ্গে আমরা জড়িয়ে পড়ি। মুক্তমনা এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ শুরু করি আমরা। তার পত্রিকার প্রচ্ছদও আমি করে দিয়েছি। ’-বলেন হাসান রাজা।

তিনি আরও বলেন, ‘ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে ছেলেমেয়েরা। তাই শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির একটা সেতুবন্ধন তৈরির ভাবনা ছিল স্যারের মাথায়। এজন্য এমনকি নিজের বেতন তুলে তার এসব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।’

আরও পড়তে পারেন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যা: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার দাবি

 

হাসান রাজা আরও বলেন, ‘অনেক সময় দুপুরে কলাইয়ের রুটি খেয়ে বিকেল পর্যন্ত রুমে থেকে যেতেন। অনেকদিনই দুপুর বেলা তাকে সেতার কিংবা বাঁশি বাজাতে দেখেছি।  মাঝেমাঝে আমাকেও বলতেন বাঁশিতে একটা রাগ তোলো। আমিও চেষ্টা করতাম তার অনুরোধ রাখতে। তার রুমে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের আসা-যাওয়া।

হাসান রাজা আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে ১৬ বছর কাটিয়েছি। কিন্তু সেখানে এমন ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পাইনি অন্য কোনও শিক্ষকের সঙ্গে। স্যার অহংকার পছন্দ করতেন না। আবার  নিজে আত্মকেন্দ্রিকও ছিলেন না। তিনি বাংলা সিনেমা দেখতেন। এমনকি চেষ্টা করতেন সত্যাজিত রায়ের মতো নির্ভেজাল, নিটল জীবনের ছবি তৈরি করা। এজন্য তিনি নিজের চার বছর প্রযুক্তি খাটিয়ে একটি ভিড়িও ট্রলি তৈরি করেছিলেন। সেই ট্রলি ও তার ক্যামেরা নিয়ে তার পৃষ্ঠপোষকতায় আমি লালনের ঘাঁটিতে গিয়ে তৈরি করেছিলাম ‘সাধুসঙ্গ’ নামে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। এই ছবিটি পুরস্কারও পায়। তিনি ভিডিওগ্রাফি করতেও ভালোবাসতেন।

এমনকি নতুন একটি সিনেমা তৈরি করার জন্য গত বুধবার (২০ এপ্রিল) নতুন ভিডিও ক্যামেরা কেনার বিষয়েও আলোচনা করেছিলেন আমার সঙ্গে।

বিভিন্ন সময়ে তিনি আমাদের বলেছিলেন, আমার গ্রাম এখনও অন্ধকারাছন্ন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি আর আমার এলাকার ছেলেমেয়েরা সংস্কৃতি ও শিক্ষা থেকে পিছিয়ে থাকবে এটা হয় না। তাই তিনি এলাকার ছেলেমেয়েসহ তাদের অভিভাবকদের আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করতেন। এমনকি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও তার আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত হয়নি কখনও। তিনি বলতেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হলেই যে, জঙ্গি হবে তা না। তিনি বাগমারা ভবানিগঞ্জের বিল নিয়ে প্রামাণ্য চিত্রও তৈরি করেছিলেন।

তার সহচর হাসান রাজা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭ নম্বর কক্ষটি অধ্যাপক রেজাউল করিমের নামে নামকরণ করে তার স্মৃতিগুলো রেখে দেওয়া হোক।

 /টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শেখ জামালের জন্মদিন আজ
শেখ জামালের জন্মদিন আজ
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস আজ
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস আজ
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার বিএনপির
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার বিএনপির
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু