X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

'বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না'

পিরোজপুর প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০১৭, ০৯:৩৮আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:২৬

পিরোজপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রী পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না। আমাদের দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ধার নিয়ে কাজ করছি, কোনও ধরনের সাহায্য নয়। এদেশের মানুষ আর না খেয়ে আত্মহত্যা করে মারা যাচ্ছে না।’

বৃহস্পতিবার বিকালে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প সিইআইপি-১ ফেজ-১ এর আওতায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার চরখালীতে বেড়িবাঁধ, স্লুইচ গেট, খাল পুনর্খনন এবং নদী ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ বাস্তবায়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত  জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আইলা ও সিডরের মত ভয়াবহ বন্যা ও জলোচ্ছাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে এ এলাকায় বেড়িবাঁধ, নদীভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ, স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হবে।’

অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এদেশের ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল স্বাধীনতার দাবি বাস্তবায়ন করতে। উন্নয়নের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকলে উন্নয়নকেও কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। অনেকগুলি লাঠি একত্রে থাকলে ভাঙা যায় না।’

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,  পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতিক), পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান টুলু।

উল্লেখ্য চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চংকিং ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ৪৫৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় উপজেলা ভাণ্ডারিয়া এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, খাল খনন, স্লুইচ গেট নির্মাণ, বাঁধের ঢাল প্রতিরক্ষা কাজ, নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, বন্যা প্রতিরোধ কংক্রিটের দেয়াল নির্মাণ, বাঁধ এবং এর ওপর পাকা রাস্তা নির্মাণের কাজ করবে।

/এফএস/

আরও পড়ুন- 


শহরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ
ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ
নিজ বুদ্ধিমত্তায় যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
নিজ বুদ্ধিমত্তায় যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন