পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও এক স্কুলশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শাম্মী আক্তার (৪০) মঠবাড়িয়া পৌর শহরের থানা পাড়ার বাসিন্দা। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের ছেলে সাইম আলম (১৮) বাদী হয়ে সৎবাবা সিরাজুল সালেকিন ও স্কুলশিক্ষিকা আয়শা খানমকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
গ্রেফতার সিরাজুল সালেকিন (৩০) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে। আয়শা খানম রোজি (৫০) কেএম লতিফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষিকা। তার স্বামী এমাদুল হক ব্যাংক কর্মকর্তা। বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রাজাপুরে। সম্পর্কে সালেকিন ও আয়শা আত্মীয়।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নারী উদ্যোক্তা শাম্মী আক্তার কেএম লতিফ সুপার মার্কেটের দোতলায় ১০ বছর ধরে 'শাম্মী বিউটি পার্লার' দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রথম স্বামী ফিরাজ আলমের সঙ্গে ১৩ বছর আগে বিচ্ছেদ হয়। সেই সংসারের দুই সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের থানা পাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই বছর আগে তার সঙ্গে সিরাজুল সালেকিনের বিয়ে হয়। সালেকিন ঢাকায় ব্যবসা করেন। গত রবিবার সকালে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে সালেকিন বাসায় আসেন। ওই দিন আয়শা খানমও বাসায় আসেন। রাতের খাবার শেষে সালেকিন ও শাম্মী ঘুমিয়ে পড়েন। আয়শা অন্য রুমে ঘুমাতে যান৷ গভীর রাতে স্বামীর সঙ্গে আয়শাকে দেখেন শাম্মী। এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। একপর্যায়ে আয়শার সহযোগিতায় বালিশ চাপা দিয়ে শাম্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সালেকিন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আয়শা ও সালেকিন। হত্যায় ব্যবহৃত বালিশটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।